কৃত্রিম জীবন তৈরির পথে বড় ধরনের সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন
গবেষকেরা। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকেরা
প্রথমবারের মতো কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি করেছেন।
বংশগতির প্রধান উপাদান ক্রোমোজোম। জীব কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লীয় প্রোটিন জাতীয় পদার্থ নির্মিত যে জটিল তন্তুর মাধ্যমে জীব তার সব ধরনের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশানুক্রমে পরিবাহিত করে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যসমূহ বজায় রাখে, তাকে ক্রোমোজোম বলে। ক্রোমোজোম সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবের কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট। প্রতিটি ক্রোমোজোম ক্রোমোজোম বহুসংখ্যক জিন দ্বারা গঠিত।
গবেষকেদের দাবি, তাঁরা পূর্ণাঙ্গ এবং কার্যকরী যে ক্রোমোজোম তৈরি করেছেন তা কৃত্রিম জীবন তৈরির পথে বড় ধরনের অগ্রগতি। আগামী শতকে চিকিত্সা ও জৈব-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই উদ্ভাবন বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরির প্রধান গবেষক জেফ বোয়েক জানিয়েছেন, তাঁরা ইস্ট থেকে এই কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি করছেন। ইস্ট একপ্রকার এককোষী ছত্রাক।
গবেষক জেফ বোয়েক আরও জানান, প্রায় সাত বছর ধরে এই গবেষণা চলছে। তাঁরা আশা করছেন আগামী চার বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ সিনথেটিক ইস্ট জিনোম তৈরিতে সফল হবেন। গবেষক জেফ বোয়েক জানিয়েছেন, এর আগে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের ক্ষেত্রে কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি হয়েছে। তবে এবার আরও জটিল গঠনের ও নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াসযুক্ত ক্রোমোজোম তৈরি করা হয়েছে। দরকারি রাসায়নিক, ওষুধ, জ্বালানির মতো বিভিন্ন কাজে লাগানো যাবে এই গবেষণার ফল।
কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি প্রসঙ্গে বোয়েক জানিয়েছেন, আমরা শুধু কম্পিউটারে নকশা পরিবর্তনের মতো কাজ করেই সীমাবদ্ধ থাকিনি, আমরা ক্রোমোজোমের মধ্যে শত শত পরিবর্তন করেছি আর আমরা সেই ক্রোমোজোম ইস্টের মধ্যে বসিয়ে দেখেছি। আর তার ফল দেখেছি যে, কৃত্রিম ক্রোমোজোমের ইস্টটি সাধারণ ইস্টের মতো কার্যকর। তবে এর মধ্যে সাধারণ ইস্টের তুলনায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
জেফ বোয়েক বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, জিনগত পরিবর্তন করা মানে আমরা জুয়া খেলতেই বসেছি। জিনগত এই পরিবর্তনের সময় সামান্য ভুল হয়ে গেলে কোষের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারত। আমরা ডিএনএ কোডের মধ্যে ৫০ হাজার পরিবর্তন এনেছি আর সুখবর হচ্ছে সেই ইস্টটি বেঁচে গেছে।
বংশগতির প্রধান উপাদান ক্রোমোজোম। জীব কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লীয় প্রোটিন জাতীয় পদার্থ নির্মিত যে জটিল তন্তুর মাধ্যমে জীব তার সব ধরনের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশানুক্রমে পরিবাহিত করে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যসমূহ বজায় রাখে, তাকে ক্রোমোজোম বলে। ক্রোমোজোম সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবের কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট। প্রতিটি ক্রোমোজোম ক্রোমোজোম বহুসংখ্যক জিন দ্বারা গঠিত।
গবেষকেদের দাবি, তাঁরা পূর্ণাঙ্গ এবং কার্যকরী যে ক্রোমোজোম তৈরি করেছেন তা কৃত্রিম জীবন তৈরির পথে বড় ধরনের অগ্রগতি। আগামী শতকে চিকিত্সা ও জৈব-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই উদ্ভাবন বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরির প্রধান গবেষক জেফ বোয়েক জানিয়েছেন, তাঁরা ইস্ট থেকে এই কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি করছেন। ইস্ট একপ্রকার এককোষী ছত্রাক।
গবেষক জেফ বোয়েক আরও জানান, প্রায় সাত বছর ধরে এই গবেষণা চলছে। তাঁরা আশা করছেন আগামী চার বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ সিনথেটিক ইস্ট জিনোম তৈরিতে সফল হবেন। গবেষক জেফ বোয়েক জানিয়েছেন, এর আগে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের ক্ষেত্রে কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি হয়েছে। তবে এবার আরও জটিল গঠনের ও নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াসযুক্ত ক্রোমোজোম তৈরি করা হয়েছে। দরকারি রাসায়নিক, ওষুধ, জ্বালানির মতো বিভিন্ন কাজে লাগানো যাবে এই গবেষণার ফল।
কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরি প্রসঙ্গে বোয়েক জানিয়েছেন, আমরা শুধু কম্পিউটারে নকশা পরিবর্তনের মতো কাজ করেই সীমাবদ্ধ থাকিনি, আমরা ক্রোমোজোমের মধ্যে শত শত পরিবর্তন করেছি আর আমরা সেই ক্রোমোজোম ইস্টের মধ্যে বসিয়ে দেখেছি। আর তার ফল দেখেছি যে, কৃত্রিম ক্রোমোজোমের ইস্টটি সাধারণ ইস্টের মতো কার্যকর। তবে এর মধ্যে সাধারণ ইস্টের তুলনায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
জেফ বোয়েক বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, জিনগত পরিবর্তন করা মানে আমরা জুয়া খেলতেই বসেছি। জিনগত এই পরিবর্তনের সময় সামান্য ভুল হয়ে গেলে কোষের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারত। আমরা ডিএনএ কোডের মধ্যে ৫০ হাজার পরিবর্তন এনেছি আর সুখবর হচ্ছে সেই ইস্টটি বেঁচে গেছে।