সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

অনলাইনে কাজ পেতে হলে আপনাকে যা করতে হবে।

ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় বা অনলাইনে কাজ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। গত কয়েক বছরে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ক্ষেত্রটি দ্রুতগতিতে জনপ্রিয় হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টের এক জরিপে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ২০০৮ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বেড়েছে। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইল্যান্স, ওডেস্ক ও ফ্রিল্যান্সার। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পোস্ট করার হারও বেড়েছে।
সম্প্রতি ইল্যান্সের এক জরিপে দেখা গেছে,  স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় ৯০ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার নিজেকে সুখী মনে করেন এবং বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়া স্বত্বেও অর্ধেকের বেশি ফ্রিল্যান্সার চিন্তিত নন।
ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে সফলতা দেখে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। অনেকে বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। তবে দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলেও  ফ্রিল্যান্সিং করা যায়; এক্ষেত্রে ইচ্ছা, পরিশ্রম ও ধৈর্য থাকতে হয়।
বাংলাদেশে ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, দেশে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সম্ভাবনা অনেক। নতুন ও আগ্রহীদের জন্য বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
লক্ষ্য নির্ধারণ করা
লক্ষ্য নির্ধারণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি করতে চান বা আপনার কোন সেবা বিক্রি করতে চান সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটি করে, তা হল অন্যরা কি করছে তা অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে বা আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি নির্বাচন করা। আপনি যদি গণিতে ভাল হন, তাহলে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রোগ্রামিং। আর যদি আঁঁকাআঁঁকি ভালো লাগে তাহলে আপনার জন্য গ্রাফিকস ডিজাইন সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। যদি লেখালেখি ভালো লাগে তাহলে লেখালেখিতেই ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। লিখতে পারেন ব্লগ, একাধিক ভাষা জানা থাকলে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করতে পারেন। যদি ভালো গবেষণা করতে পারেন তবে গবেষক, পরিকল্পনাবিদ থেকে শুরু করে প্রযুক্তি দক্ষতার সব রকম কাজই পাবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। কাজের দক্ষতাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার চাবি।
ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা
ফ্রিল্যান্সাররা প্রথমেই যে মূল সমস্যায় পড়েন তা হচ্ছে প্রোফাইল তৈরি। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবেন যে, কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই কেবল প্রোফাইল তরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। সুন্দর প্রোফাইল আগে তৈরি করা যেতে পারে তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়। এজন্য আগে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।
যাঁরা নতুন তাঁদের অনেকের প্রশ্ন থাকে কোথায়, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে কাজ শুরুর আগে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কী ধরনের কাজ হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। অ্যাকাউন্ট খোলা, সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরি করা। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করা। কাজের জন্য ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো পরিচিত সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন পাশাপাশি আপনার দক্ষতার কাজগুলোকে সাইটের কাজের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে অনুশীলন করুন। দক্ষতা না থাকলে শুরুতেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করবেন না। কাজে দক্ষ হয়ে তবে বিড করুন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এখন কয়েকটি বিষয় খুব জরুরি। সাবলীল ইংরেজি বলা, লেখা ও ইংরেজি বোঝা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও দরকার। স্কাইপ ব্যবহার জানতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকা সবার আগে দরকার।
প্রোফাইল তৈরির নিয়মকানুন
প্রোফাইল তৈরিতে দক্ষতা ও কাজের বর্ণনা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।  আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেটিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন। প্রোফাইল সুন্দরভাবে গোছান, শতভাগ প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে কাজ শুরু করার আগে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেই বিষয়গুলোতে পরীক্ষা দিন এবং ভালো ফল করতে চেষ্টা করুন। যে বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন, সে বিষয়ে আগে কিছু পড়াশোনা করে তবে পরীক্ষা দিন। আপনার কাজের নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করুন। আপনার নমুনা কাজগুলো বায়ারকে আকৃষ্ট করতে পারে আর আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কাজটি এনে দিতে পারে।
প্রোফাইল তৈরির সময় খেয়াল রাখবেন যে, আপনি একজন পেশাদার হিসেবে এখানে কাজ করবেন। আপনার অদক্ষতা যেমন আপনার জন্য বায়ারের কাছ থেকে খারাপ ফিডব্যাক দেবে তেমনি দেশের অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কেও নেতিবাচক ধারণা দেবে। তাই প্রোফাইলে সব সময় সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত্।
প্রোফাইল তৈরি সম্পূর্ণ হলে  এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি কাজ পাওয়ার আবেদন করার জন্য প্রস্তুত।
ইচ্ছা, ধৈর্য আর পরিশ্রম করলে অনলাইনে অভিজ্ঞতা ছাড়া ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে যারা নতুন ও আগ্রহী, তাঁদের জন্য অনলাইনে আয় বিষয়ক এই পরামর্শ দিয়েছেন ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া
নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা একেবারে না থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারই এ ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের গ্রুপে প্রশ্ন করে থাকেন। অথচ, প্রতিটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তাঁদের হেল্প সেন্টার থাকে, যেখানে অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। একজন ফ্রিল্যান্সারের নিয়মিত এই পোস্টগুলো দেখা উচিত। ভালোভাবে জানার পরেই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করা বা কাজ করা উচিত।
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা
আমরা যেমন একটি কম্পিউটার কিনতে গেলে শুধু একটি কম্পিউটারের কেসিং বা বক্স কিনি না, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও কিনি। তেমনি, যখন কোন ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজে নিয়োগ দেন তাঁর কাছ থেকে কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ও দক্ষ পেশাদারিত্বই আশা করেন। এক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাজটি করার জন্য তাঁর কি যোগ্যতা আছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে একজন ফ্রিল্যান্সার দুটি কাজ করতে পারেন-
দক্ষতার পরীক্ষা
একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল টেস্টের মাধ্যমে তিনি কি কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে জানতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা আছে, যেখান থেকে স্কিল টেস্ট দিয়ে আপনার দক্ষতা যাচাই করা খুবই সহজ। এই টেস্টগুলো বিনামূল্যে  দেওয়া যায় এবং কেউ যদি টেস্টে খারাপ করেন তাহলে ফলটি লুকিয়ে রাখতেও পারবেন এবং আবার  ১৪ দিন পরে পরীক্ষা দিতে পারবেন। যদি ফ্রিল্যান্সার তাঁর প্রোফাইলে ভালো স্কোর দেখাতে পারেন, তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
পোর্টফোলিও তৈরি
স্কিল টেস্ট প্রমাণ করে বৈষয়িক জ্ঞান, আর পোর্টফোলিও প্রমাণ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফোলিও সংযোগ করা। ওয়েব ডেভেলপার তাঁর ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিন-শট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিকস ডিজাইনার তাঁর ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সংযুক্ত করতে পারেন স্কিল হিসেবে। সার্ভিস হোল্ডাররা তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞতা হিসেবে। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফোলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে।
নিজের প্রচারণা চালানো
নিজের ঢোল নিজে পেটানো কথাটি খারাপ শোনালেও একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে যেহেতু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে তাই আপনার পরিচিতি থাকা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে আপনার ত্রুটিমুক্ত প্রোফাইল এর পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই সম্ভব হলে নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইল ও পেজের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার বিভিন্ন সেবা তুলে ধরতে পারেন। অবশ্যই প্রফেশনাল ছবি ও তথ্য শেয়ার করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পার্সোনালটি নষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা উচিত নয়।  অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন।  এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এছাড়াও আপনার দরকার কঠিন মনোবল, কারন অনলাইনে আয় করতে গেলে নানা ধরনের বাধা এবং হতাশা আসতেই পারে, এইগুলো অতিক্রম করতে পারলেই আপনি ইনশা-আল্লাহ্‌ সফল হতে পারবেন।

ঘরে বসে ইনকাম এর সবচেয় উত্তম মাধ্যম গুগল এডসেন্স

আইটি ডেস্ক :

এডসেন্স কি ?

এডসেন্স গুগল এর একটি প্রতিষ্ঠান,গুগল এডসেন্স অনলাইন ভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দাতা সংস্থা। সহজ ভাষায় এডসেন্স হচ্ছে ব্লগ বা অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সব চেয়ে ভাল মাধ্যম। আপনার যদি একটি ভাল মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই শত শত ডলার ইনকাম করতে পারবেন এডসেন্স এর মাধ্যমে।

এডসেন্স কেন ?

আপনার অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করাই এডসেন্স এর কাম্য। বতর্মান সময়ে প্রায় সকল ধরনের জি্নিষপপত্র অনলাইনেই পাওয়া সম্ভব,তাই অনেকেই তাদের পন্য বিক্রির জন্য অনলাইন ভিত্তিক এড দিয়ে থাকে,আর যেহেতু অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উত্তম মাধ্যম হচ্ছে এডসেন্স,তাই সবাইনির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে এডসেন্স কেই বেছে নেয়।সেই সকল এড আপনার অয়েব সাইট এ প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি ডলার ইনকাম করতেপারবেন, যদি আপনার একটি ভালো মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে,সেই সাইটে যদি এডসেন্স এর এড ব্যবহার করেন আর সেই এড এ যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে এডসেন্স সেই ক্লিক এর জন্য আপনাকে টাকা প্রদান করবে।

এডসেন্স কিভাবে পাবেন ?

 এডসেন্স একাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তদের সকল শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই আপনার একটি মানসম্মত ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকতে হবে। যদি থাকে তাহলে http://www.google.com/adsense এই সাইট এ গিয়ে সাইন আপ এ ক্লিক করুন এবার যে ফর্ম টি আসবে তাতে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এডসেন্স এক থেকে দুই দিন এর মধ্যে আপনাকে জানাবে যে আপনি এডসেন্স এর যোগ্য কিনা।যদি এডসেন্স থেকে আপনার সাইট টি এপ্রুভ করা হয় তাহলে আর দেরি না করে এডসেন্স থেকে এড কোড নিয়ে আপনার সাইট এ কোড গুলি বসিয়ে দিন আর শুরু করে দিন ডলার ইনকাম।

আপনি কি পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে?

হ্যাঁ আপনিও পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে,কিন্তু তার জন্য আপনাকে সামান্য পরিশ্রম করতে হবে। ক‌য়েকটি গুন আপনার মধ্যে থাকতেই হবে যেমনঃ আপনাকে কিছুটা ইংরেজি জানতে হবে,ইন্টারনেট সম্বন্ধে ধারনা থা্কতে হবে,,ইনকাম করার জন্য ধৈয‍‌ ধারন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার অয়েব সাইটে ভাল মানের ভিজিটর থাকতে হবে, আর সাইটে প্রচুর ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুইটি পোষ্ট করতে হবে। পোষ্টগুলি অবশ্যই আপনার নিজের লেখা হতে হবে,তাহলেই আপনার সাইটে ভিজিটর বারবে ,আর যত ভিজিটর আসবে তত ক্লিক এর সংখ্যা বারবে তখন ইনকামও বারবে। চেষ্টা করে দেখুন আপনিও পারবেন অনলাইন থেকে ঘরেবসে ইনকাম করতে।আপনার মতোই হাজারো বাঙালি ঘরে বসে ইনোকাম করছে তাহলে আপনি পারবেন না কেন? আসাকরি ছোটবেলার কথাটা ভুলে যাবেন না কখনোই "এক বার না পারিলে দেখ শত বার"।


কোথায় এডসেন্স ব্যবহার করা যায়?

এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে একটি প্রাইমারি ডোমেইন থাকতে হবে,যেমনঃwww.abcd.com, তবে যারা প্রথম দিকে টাকা খরচ করে com ডোমেইন কিনতে চান না তদের জন্যও ব্যবস্থা আছে, আপনি প্রথম দিকে http://www.blogger.com সাইট থেকে একটি ব্লগ বানিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনার ব্লগে বা সাইটের সার্চ বক্স এর মধ্যেও এড বসাতে পারবেন।ইউটিউব এ এড বসিয়েউ ইনকাম করা যায়।তবে ব্লগারে এড ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।

কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা প্রদান করা হয় ?

এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে চেক, এডসেন্স চেক এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে,আপনার ইনকাম যখন ১০ ডলার অতিক্রম করবে তখন এডসেন্স আপনার এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য একটা চিঠি পাঠাবে আপনার দেয়া ঠিকানায়, যদি এড্রেস টি ভেরিফাইড হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইনকাম ১০০ ডলার অতিক্রম করলেই এডসেন্স আপনাকে চেক পাঠিয়ে দিবে।

 

এডসেন্স ব্যবহার করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?অনেকেই এডসেন্স কে সোনার হরিণ বলে মনে করেন। এডসেন্স এর ইনকাম এর অনুপাত দারাবে আপনার কঠোর পরিশ্রম এর উপর,আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।প্রতিদিন যদি আপনার সাইটে ১০০০ ভিজিটর আসে তাহলে ৪-৬ ডলার এর মত আয় করতে পারবেন,তবে ভাল কিওয়ার্ড থাকলে আর বেশি আয় করতে পারবেন।এডসেন্স প্রতি ক্লিক এর জন্য .১ সেন্ট থেকে শুরু করে ২ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।চলুন দেখে নেয়া যাক কিছু অয়েব সাইট এর ইনকাম...............
Ranking by earnings Website   AdSense Earnings $ Views per month
#1 Mashable  600,000 25million
#2 Digital Point    500,000
#3 Plenty Of Fish 400,000
#4 Digg 250,000 30million
#5 TechCrunch 240,000
#6 Tweetmeme 225,000
#7 Perez Hilton 200,000 30million
#8 Weblogs 190,000 25million
#9 Shoe Money 140,000
#10 Click India 85,000 5.5million

এই অয়েব সাইট গুলি প্রতি মাসে লাখ লাখ আমেরিকান ডলার আয় করছে শুধু মাত্র এডসেন্স এর এড ব্যবহার করে,আসা করি কিছুটা হলেও ধারনা হয়েছে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।






বাংলাসংবাদ২৪

educarebd24 educarebd24