সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

প্রতারনার নয়া কৌশল. আসুন জেনেনি। সকলকে জানাই এবং সকলে সচেতন থাকি।

প্রতারনার নয়া কৌশল..!
১) বিক্রয় ডট কমে একটা অ্যাড দেখল ফারহান, ম্যাকবুক এয়ার ল্যাপটপ মাত্র ২৫০০০টাকা,দেখেই মাথা খারাপ। এত কম কেন? অ্যাডে আবার লেখা বিদেশ থেকে পাঠিয়েছে ব্যবহার করতে পারিনা বলে সেল করে দিচ্ছি। ফারহান ভেবে নিল অন্তত আর যাই হোক নষ্ট তো না, ইউজ করতে পারেনা বলে সেল করে দিচ্ছে। অ্যাডের নাম্বারে ফোন দিতেই এক সুকন্ঠি মেয়ে ফোন ধরে বলল, বিদেশ থেকে গিফট দিয়েছে আঙ্কেল, ইউজ করা হয়না বলে কম দামে সেল করে দিবে। ফারহান আর অত চিন্তা করল না, তাকে বলে দিল সে নিবে। মেয়েটি জানাল মগবাজার থেকে কালেক্ট করতে হবে। ভালো লাগলে ক্যাশ টাকা দিতে হবে। খুশিতে বাগবাকুম হয়ে মগবাজার গেল। ল্যাপটপ তো দূর সাথে যা ছিল সব রেখে দিল সেই অ্যাড দেয়া ছিনতাইকারী দল।
২) সেল-বাজারে আইফোন ৫ এর অ্যাড দেখে ফোন দিল ওমর ফারুক। দাম অনেক কম মাত্র ১৬ হাজার। লোকেশন চট্টগ্রাম। এত কম দামে পেয়ে সাথে সাথেই ফোন। কথা হল সব কিছু ঠিক ঠাক। ৩০% টাকা এডভান্স বাকিটা এস এ পরিবহনে পণ্য পেয়ে। অ্যাডভান্স দিয়ে দিল।
তারপর অ্যাড উধাও, নাম্বার অফ !আর আসেনি তার আইফোন ৫।
৩) রিক্সায় করে ফার্মগেট থেকে বসুন্ধরা সিটিতে শপিং করতে যাচ্ছিল সবুজ।
হঠাৎ রিক্সাওয়ালা নীরব এক জায়গাতে রিক্সা থামাল। ভয় পেয়ে গেল সবুজ। রিকশাওয়ালার শরীর কাঁপছে। লুঙ্গির কাছা থেকে একটা ছোট্ট প্যাকেট বের করে বলল এক মহিলা যাত্রী ফেলে গেছে এই গহনা টা। স্বর্ণের! ১ ভরির উপরে হবে। রিক্সাওলা বলে কোন দোকানে সেল করতে পারব না। সবুজ কিনবে কিনা? যা দিবে তাই নেবে। দেখে আর না করতে পারলনা। পকেটে ১১ হাজার টাকা ছিল, সব দিয়ে কিনে নিল। ১১ হাজার টাকায় ৪৫ হাজার টাকার উপরে পাবে। শপিং তো হবেই সাথে একটা দামি মোবাইলও নেয়া যাবে। বসুন্ধরা সিটি তে গিয়ে জুয়েলারি দোকানে এটার দাম জিজ্ঞেস করতেই সেলসম্যান বলে দিল আমরা ইমিটিশন কিনি না !!!
৪) ফার্মগেটে হাঁটছে রাজীব। পথে একলোক দাড়া করিয়ে বল আমার কাছে ২০ ডলার আছে, আমি ড্রাগ নেই তাই ইমার্জেন্সি টাকা দরকার। মাত্র ৫০০টাকা দিলেই হবে। রাজীব ভাবল নিয়ে নেই বন্ধুর মানি একচেঞ্জ থেকে ক্যাশ করে নিব। লাভ হবে অনেক টাকা। ৫০০টাকায় নিয়ে নিল। জিজ্ঞেস করল আর আছে কিনা। লোকটা বলল এসব সাথে নিয়ে ঘুরল পুলিশ ধরবে, জানেনই তো টানা মাল। এক বিদেশীরে পাইছিলাম, মালদার পার্টি। ফোন নাম্বার নিয়ে নিল রাজীব, বলল ওই ডলার যাতে কাউকে না দেয়, সব সে নিবে। ফোন করে জানালেই কত ডলার সে পরিমাণ টাকা নিয়ে আসবে। ওই ২০ ডলার ক্যাশ করে নিল, কোন সমস্যা হয়নি। পরের দিন ধার টার করে ২০ হাজার টাকার মত নিয়ে আসল, ৫০০ ডলার দিবে। এবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ তার নেশা নাই এখন আর। রাজীব ভাবল তারপরেও প্রায় ডাবল লাভ। ফার্মগেট পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, লোকটার দেখা নেই, মনে মনে ভাবছে লোকটা বেচে দিল না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর দূর থেকে লোকটাকে দেখা গেল। কাছে আসতেই একটা খাম ধরিয়ে বলল পুলিশ পিছনে পরছে তাই টাকা টা দিয়ে কেটে পরতে। রাজীব তাই করল। বাসায় আসার আগে খুলেও
দেখেনি খামে কি আছে। কি আর হতে পারে একগাদা কাগজ ছাড়া !
৫)গাবতলি বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে কথা বলছে রাজু, বাসা থেকে ফোন দিয়েছে মা, মা জিজ্ঞেস করছে টাকা ঠিকঠাক রেখেছে কিনা। সেও মাকে জানাল হা টাকা ঠিক আছে, সাবধানেই যাচ্ছে সে। যাবে আদাবর, বোনের বাসা, সেখান থেকে পরের দিন আইডিবি থেকে ছোট ভাইয়ের ল্যাপটপ কিনবে। একটু পরেই একটা মেয়ে আসল,টুকটাক কথা বার্তায় রাজু তাকে জানাল আদাবর যাবে, মেয়েটি বলল আমি ঢাকার তেমন কিছু চিনি না, যাবো আঙ্কেলের বাসায়, বাসাটা শ্যামলীতে। কিভাবে যাব? রাজু প্রস্তাব দিল তার সাথেই যেতে। শ্যামলীতে নামিয়ে দিয়ে যাবে। মেয়েটা সামনের সিএনজি দেখেয়ে প্রস্তাব দিল সিএনজি তে যাবে এবং রাজুকে ভাড়া দিতে দিবেনা। হাসি মুখে রাজু মেনে নিল।
ফলাফল - দিনে দুপুরে পথে পিস্তল ধরে ব্যাগ মানিব্যাগ, মোবাইল সহ যা যা ছিল রেখে নামিয়ে দিয়ে সিএনজি উধাও ...!
৬) শফিক সাহেব বাসে করে অফিসে যাচ্ছেন হঠাৎ তার ফোনে অদ্ভুত নাম্বার থেকে কল আসল। বলা হল রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি। আমাদের সিগনালে কিছু সমস্যা হচ্ছে,আপনার মোবাইল ঠিক মত সিগনাল ধরতে পারছেনা এতে এমন হতে পারে যে সেটের ব্যাটারি শর্টসার্কিট হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। আপনি দয়া করে আগামী ২ ঘণ্টা মোবাইল অফ করে রাখবেন। ভুলেও মোবাইল অন করবেন না। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। শফিক সাহেব অত কিছু না ভেবে মোবাইল বন্ধ করে দিলেন। কি দরকার অন রেখে বিপদে পরার। ওই দিকে উনার ওয়াইফের কাছে ফোন দিল কেউ, বলল শফিক সাহেবের বাস এক্সিডেন্ট করেছে। উনি ইমার্জেন্সিতে আছেন, জরুরী কিছু ওষুধ, ইঞ্জেকশন এবং অক্সিজেনের জন্য টাকা লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই কিছু টাকা বিকাশে দিতে হবে তা না হলে সাহায্যকারী কিছু করতে পারবেন না, তিনি স্টুডেন্ট হাতে টাকা নেই। ভদ্র মহিলা দিশেহারা হয়ে তার মেয়ে কে বললেন শফিক সাহেবের মোবাইলে কল দিতে, মোবাইল বন্ধ। উনারা বিশ্বাস করলেন যে শফিক সাহেব আসলেই এক্সিডেন্ট করেছেন যেহেতু উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতেই অনেক সময় লেগে যাবে তাই বাসায় যা ছিল বিকাশ করে দিলেন এবং মা মেয়ে আত্মীয় স্বজন কে জানিয়ে সিএনজিতে করে মতিঝিলের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিলেন। টাকা পাঠানোর পর কথা হলেও সিএনজি থেকে কল দিয়ে আর ওই লোকের ফোন অন পাওয়া যায়নি। মতিঝিল যে ঠিকানা দিয়েছিলসেখানেও কোন হাসপাতাল নেই। অনেক পরে শফিক সাহেবের ফোন অন পাওয়া গেল এবং বুঝতে পারলেন যে উনারা প্রতারিত। শফিক সাহেব সুস্থ আছেন।
৭) স্যামসাং এস ৪ কিনতে বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিল সাদি। অনেক দোকান ঘুরেও যখন দাম কমাতে পারছিল না তখন একটা ছেলে বলল একটা টানা সেট আছে লাগবে কিনা? মাত্র ১৫হাজার টাকা দিলেই হবে। সাদি চিন্তা করল কম দামে যখন পাওয়া যাচ্ছে খারাপ কি। দরদাম করে ১০ হাজার টাকাতে ঠিক করে ফেলল। যে বসুন্ধরা সিটির পেছন থেকে সেট টা হাতে নিবে এমন সময় দেখল আরও কয়েকজন বখাটে মতন ছেলে ওই দিকে আসছে। ভয় পেয়ে গেল সাদি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটে ছুড়ি ধরে টাকা, মোবাইল, এটিএম কার্ড সহ যা পেল নিয়ে গেল সাদি কিছুই করতে পারল না!
৮) ফেসবুকে রিয়ার পরিচয় নিলয়ের সাথে। দেখতে অনেক স্মার্ট, বড়লোকের ছেলে। ঈদের শপিং সাথে নিলয়ের সাথে দেখা ২টাই হবে ভেবে নিলয়কে বসুন্ধরা সিটিতে আসতে বলল। যদিও নিলয় বলেছিল পিঙ্ক সিটিতে দেখা করতে। বসুন্ধরা সিটি তে দেখা হল দুজনের। দেখতে বেশ স্মার্ট। নিলয় জানাল সে মোবাইল কিনবে। রিয়া যেটা চয়েস করবে সেটাই কিনবে। খুশীতে বাকবাকুম হয়ে রিয়া নিলয়ের সাথে মোবাইল দেখতে গেল, কয়েকটা দোকান ঘুরে রিয়ার পছন্দ হল সনি এক্সপেরিয়া জেড। নিলয়ও বলল এটা নিয়ে নিবে। দাম দর হয়ে গেল। মোবাইলে সিম লাগিয়ে নিলয় বলল তুমি একটু বস আমি সামনেই আছি, এখানে নেটওয়ার্কে সমস্যা। কল করে চেক করে আসি। দোকানের সামনে থেকে কখন যে হারিয়ে গেল নিলয়, রিয়া টেরও পেল না। নিলয়ের নাম্বার ও বন্ধ। ফেসবুক আইডিও ডিএকটিভ। কোন ছবিও সেভ করে রাখিনি সে। দোকানদার কিছুক্ষণ পরপর জিজ্ঞেস করছে যে সাথের লোক কই? এখন রিয়া কিভাবে বলবে সে নিলয়ের প্রতারণার স্বীকার। ওর শপিং এর টাকা এবং জমানো টাকা থেকে মোবাইলের দাম দিতে হবে।
৯) নিউমার্কেট থেকে জিনিস কিনল আতিক। দোকানে মারাত্মক ভিড়। ১ হাজার টাকার নোট দিয়ে পে করল সে। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসবে এমন সময় জাঁদরেল মত এক লোক হাত চেপে ধরল। বলল টাকা না দিয়ে কই যান? আতিক যতই বলে টাকা দিয়েছে সেলস-ম্যান গুলোও বলে না টাকা দেয়নি। আতিক কোনভাবেই বুঝাতে পারে না টাকা টা সে আসলেই পে করেছিল। জাঁদরেল মত লোকটি বলল তাড়াতাড়ি টাকা দেন নাহলে চোর বলে গণধোলাই দিব। দিশেহারার মত চারদিকে তাকালেও কারো চোখে তার প্রতি সহমর্মিতার ছোঁয়া দেখতে পেল না। এভাবেই কিছু মানুষ সহজ সরল পেয়ে টাকা রেখে দেয়।
১০) আসলাম বাবুর অভিজ্ঞতা: জুলাই ১২, ২০১৪, রাত ১০;৩০ মিনিট এ মহাখালি ফ্লাই ওভার ব্রিজ এর গোঁড়া থেকে বাস এ উঠবো, অপেক্ষায় আসি ২৭ নাম্বার বাস এর জন্য। এই মুহূর্তে একটা বাস আসল অন্য একটা বাস,খালি বাস দেখে আমার সাথে আরও ২ জন ছিল, তাদের সাথে আমিও বাস এ উঠলাম, একটু পরে বাস ভাড়া দিলাম ১০ টাকা, খিলখেত নামবো। শুধু দেখলাম বাস এর মেইন দরজা লাগিয়ে দিল আর সাথে সাথে ৪-৫ জন লোক আমার গলা চেপে ধরল হাত আর চোখ বেধে ফেললো সাথে থাকা iPhone, ৩০০০ টাকা নগত, নরমাল Symphony Mobile নিয়া নিল। আর ফেলে দিলো আশুলিয়া এর মধ্যে একটা ঝোপ এর ভিতর। সাথে আর ও ২ জন কে। কোন রকম জানে বেঁচে ফিরলাম। কিছু দূর সামনে এসে একটা চা এর দোকান এ কিছু লোককে বললাম তারা সাহায্য করলো, রুম মেট কে কল দিলাম, আজিমপুর থেকে নিয়া আসল বাসায়। গলায় দাগ হয়ে আছে। এখন সুস্থ আছি।
- সংগৃহীত

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে এইচআইভি থেকে মুক্তি

 
ক্যানসার সারাতে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করে দুইজন এইডস রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অসুস্থ ওই দুই ব্যক্তির একজন দুই বছর এবং অন্যজন প্রায় চারমাস ওষুধ ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং তাদের দেহে ভাইরাস ফিরে আসার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির একটি মতবিনিময় সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহাম অ্যান্ড ওমেন’স হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন। 
সাধারণত খুব সহজে এইচআইভির সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মানব দেহে ডিএনএ’র ভেতরে লুকিয়ে থাকে।
অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল জাতীয় ওষুধ রক্তপ্রবাহ থেকে এইচআইভি ভাইরাস দূরে রাখে। কিন্তু যখন ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা হয় তখনই ওই ভাইরাস আবার ফিরে আসে।
যে দুইজন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারা ৩০ বছর ধরে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
তারা উভয়েই এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার পর ক্যানসার, লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত হন। ফলে তাদের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর তাদের দেহে এইচআইভি ভাইরাস আর ফিরে আসে নি।
যেহেতু অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে দেহে সম্পূর্ণ নতুন রক্ত কোষ তৈরি হয় তাই ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই তাদের দেহে আর কোনো এইচআইভি ভাইরাস ফিরে আসেনি। 

খালি পেটে জলপান

প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলপান খুব উপকারী। আজকাল জাপানে খুব জনপ্রিয় এ চর্চা। ভারতবর্ষে প্রাণায়ম ও যোগব্যায়ামে এটি অনুষঙ্গ হিসেবে আছে বহু বছর ধরে।
বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করে এর হিতকরী দিক খুঁজে পেয়েছেন।
মাথা ধরা, শরীর ব্যথা, হূদ্যন্ত্রের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, দ্রুত হূৎস্পন্দন, মৃগীরোগ, স্থূলতা, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, কিডনি ও প্রস্রাবের রোগ, বমি, গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, পাইলস, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠবদ্ধতা, চোখের রোগ, নাক ও গলার রোগ ঋতুস্রাব সমস্যা— সবগুলোতে এই জলপান চর্চা বড় উপকারী।
জাপানে চিকিৎসা অঙ্গনে এ চিকিৎসা বহুল প্রচলিত।

কীভাবে করবেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করার আগে ১৬০ মিলিলিটার চার গ্লাস পানি পান করুন। (৪:১৬০ মিলিমিটার পরিমাণ জল)
এরপর দাঁত ব্রাশ করুন ও মুখ পরিচ্ছন্ন করুন। তবে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কিছু খাবেন না।
৪৫ মিনিট পর স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করুন।
প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজন ও রাতের খাবারের ১৫ মিনিট পর দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো কিছু খাবেন না বা পান করবেন না।
যাঁরা বৃদ্ধ ও দুর্বল এবং সকালে চার গ্লাস পানি পান করতে সমর্থ নন, তাঁরা প্রথমে কম জলপান করে ক্রমেই বাড়াতে বাড়াতে চার গ্লাস পর্যন্ত পানি পান করবেন।
সুস্থ জীবনযাপনের বড় সহায় এই চর্চা।
প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলপান খুব উপকারী
প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলপান খুব উপকারী
যেসব রোগে এই জলপান চর্চা কয়েক দিন উপকারী তা-ও বলেছেন বিজ্ঞজনেরা।
ক. উচ্চরক্তচাপ (৩০ দিন), খ. গ্যাস্ট্রিক (১০ দিন) গ. ডায়াবেটিস (৩০ দিন), ঘ. কোষ্ঠ (১০ দিন) আর্থ্রাইটিস প্রথম সপ্তাহ তিন দিন, এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন। এই চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রথম দিকে একটু বেশি প্রস্রাব হতে পারে মাত্র। এই পানি পানকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিলে সর্বাঙ্গীণ কুশল হবে।
পানি পান করুন এবং থাকুন সক্রিয়, সজীব, সবল ও সুস্থ।
চীনা ও জাপানিরা খাবারের সঙ্গে পান করে গরম চা, ঠান্ডা পানি নয়।
হয়তো খাবার গ্রহণের সময় এই পানীয় গ্রহণের অভ্যাস আমাদের নিলে ভালো হয়।
খাওয়ার পর ঠান্ডা জলপান করলে খাওয়া তৈলাক্ত খাদ্যকে কঠিন করে ঠান্ডা জল। ধীরগতি করে পরিপাক ক্রিয়া। এই আঠালো খাদ্যমণ্ড যখন অম্লরসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, এটি ভেঙে যাবে এবং কঠিন খাদ্যের চেয়ে দ্রুত শোষিত হয় অন্ত্রে।
তবে এটি আস্তরণ ফেলে অন্ত্রে, চর্বিস্তর, ফল ভালো হয় না। বরং খাওয়ার পর হট স্যুপ বা কুসুম গরম জল পান ভালো।

মজার গণিতঃ ২=৫ এর প্রমাণ!!!

গণিতে আরও একটি অবাস্তব প্রমাণ নিয়ে আজ হাজির হলাম! ২=৫ এর প্রমাণটি আজকে আপনাদের দেখাতে যাচ্ছি! :P ! গণিত দিয়ে আপনি খুব সহজেই এমন অনেক "অবাস্তব/ মিথ্যা" প্রমাণ করতে পারেন! গণিতের "অসংজ্ঞায়িত/ অনির্ণেয়" টার্মগুলো দিয়েই সাধারণত এই প্রমাণগুলো হয়ে থাকে!
এমনকি এই "অসংজ্ঞায়িত/ অনির্ণেয়" টার্মগুলো দিয়ে "পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান" প্রমাণ করা যায়!!! কি? মজার না??? "পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান" প্রমাণটি অন্য একদিন দেখিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ :)
এই প্রমাণগুলো যদিও  সত্য নয়, তবুও এই প্রমাণগুলো দেখলে/ জানলে, গণিত হয়ে উঠে "মজার গণিত"!!! তাই, আজকেও সেইরকম একটা অনির্ণেয় টার্ম দিয়ে ২=৫ প্রমাণ করে দেখালাম! গত প্রমাণের মত আজকের প্রমাণের ভুলও আমি আপনাদের দেখিয়ে দিবো না! আপনাদেরকেই আজকের ২=৫ প্রমাণের ভুলটি ধরতে হবে! তাই, নিচের প্রমাণের ভুল খোঁজার চেষ্টা করুন। ভুল না ধরতে পারলেও মন্তব্য করুন। কারন, অনেকে যদি ভুল না ধরতে পারে, সেক্ষেত্রে আমিই ভুলটি দেখিয়ে দিবো :) তাই, নিচের প্রমাণটি ভালোমতো লক্ষ্য করুন ... ... ...
প্রমাণঃ
      14 = 14
বা, 10 + 4 = 10 + 4
বা, 10 - 10 = 4 - 4
বা, 5(2-2) = 2(2-2)
বা, 5=2 [উভয় পক্ষকে (2-2) দ্বারা ভাগ করে]
অতএব, ২=৫
[প্রমাণিত]
নোটঃ  এই প্রমাণের ভুল খোঁজার চেষ্টা করুন এবং নিচে মন্তব্য করুন ↓ ↓ ↓

ফেসবুক সৃষ্টির ইতিহাস ও অনেক অজানা তথ্য

ফেসবুক ডট কম। কে না চিনে? যে ফেসবুক চিনে না সে কোনদিন এই লেখা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেনা বলে আমার ধারনা।
যাই হোক, ফেসবুক হলো সোশিয়াল নেটওয়ার্ক জায়ান্ট। নয় গুগল পেজ র‍্যাঙ্ক নিয়ে এলেক্সা ডট কমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সাইট। মাঝ খান দিয়ে একবার অনেক দিন বিশ্বের এক নাম্বার সাইট ছিলো।



ফেসবুক প্রথম পাতা
 ফেবুকের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে আজকে একটু গভীরভাবে জানবো।

১৯৮৪ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম নেওয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। ২০০৪ হলো ফেবুকের প্রতিষ্ঠা সাল। আমরা তার একটু আগে ফিরে যাবো।

 মার্ক জুকারবার্গ ও ফেসবুক
২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ফেসম্যাশ ডট কম নামে একটি সাইট প্রতিষ্ঠা করে। এই ফেসম্যাশ সাইটের কাজ খুব একটা ভালো কিছু ছিলোনা। এই সাইটে দুইটা ছবি পাশাপাশি রাখা হত। এই দুই ছবি থেকে ভিজিটররা কে “হট” আর কে “হট না/নট” তা তুলনা করতো।


এই রকমঃ
 
মার্ক জুকারবার্গ খুব ভালো কম্পিউটার প্রোগ্রামার স্কুল থেকেই ছিলেন, মানে আছেন এখনো। পরে তিনি হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। ফেসম্যাশ সেই সময়কার কথা। হার্ভার্ড কলেজের ডাটাবেজ হ্যাক করে স্টুডেন্টদের ছবি নিয়ে তা ফেসম্যাশে ব্যবহার করে ভিজিটরদের “হট” অথবা “নট” বের করার সুযোগ দেন।
পরে কলেজের স্টুডেন্টরা এই সাইট বন্ধ করতে তাকে বাধ্য করে। 





 এ ব্যপারে মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলো;
“ একটা ব্যপার পরিষ্কার এই সাইট বানানোর জন্য আমি একটা জার্ক! যাই হোক, কেউ না কেউ এটা এমনেই করতো। ”
হাউজসিস্টেম নামে হার্ভার্ড কলেজে একটা ওয়েব সার্ভিস ছিলো। এরপর ঐ বছরই  “দি ফেসবুক” কনসেপ্ট আসে এই হাউজ সিস্টেমের একটা নতুন ফিচার হিসেবে। ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এরন গ্রীন্সপ্যান নামে এক স্টুডেন্ট আনেন এটি।
জুকারবার্গ পরে হার্ভার্ড কানেকশন নামে একটা সাইটে তার কিছু বন্ধুর ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) জন্য কাজ করা শুরু করেন।
মার্ক জুকারবার্গ  ২০০৪ সালের ১১ই জানুয়ারী দিফেসবুক ডট কম ডোমেইন কিনে নেন।  দি ফেসবুক ডট কমের চেহারা অনেকটা এরকমঃ
এই সেই... দি ফেসবুক
দি ফেসবুক ডট কম চালুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুকারবার্গ ১২০০ জন স্টুডেন্ট এর রেজিস্ট্রেশন দেখতে পান। এখানে তার সাথে কাজ করেন তার রুমমেট এডুয়ারড সারভেরিন,আন্ড্রো ম্যাক্কোলাম, ডাস্টিন মস্কভিটয।  মূলত হার্ভার্ড কানেশন ডট কমে কাজ করার সময়কার ফিচার এই দি ফেসবুক ডট কম। তাই জুকারবার্গ এর সেই বন্ধুরা ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) ছয় দিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির অভিযোগ আনে।
কিন্তু সে দিকে দেখে কে! ফেসবুকের ইউজার সংখ্যা খুব দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। ২ মাসের মাথায় হার্ভার্ড ছড়াও আরো বেশ কিছু কলেজে দি ফেসবুক পরিচিতি পায়।  জুন মাসের মধ্যে সাইটে প্রায় দেড় লাখ ( ১৫০,০০০ ) ইউজার প্রোফাইল খুলেছিলো। দি ফেসবুকের সম্ভাবনা দেখে ওই মাসেই পেপাল এর ফাউন্ডার ফেসবুকের ১০ দশমিক ২ পারসেন্ট এর শেয়ার কিনে নেয় পাঁচ লাখ ইউ এস ডলারে।
কিন্তু সেপ্টেম্বার মাসে এসে জেগে উঠে সেই পুরনো সমস্যা। ক্যামেরুন, টেলর ও ডিভিয়া মামলা করে বসে দি ফেসবুকের নামে।  যদিও সেই বছর ডিসেম্বারেই ১ মিলিয়ন ইউজার হয়ে যায় ফেসবুকে।
২০০৫ এর মে মাসে এক্সেল পারটনারস ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে দি ফেসবুক ডট কমে।
২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে দি ফেসবুক ডট কম কিনে নেয় ফেসবুক ডটকম ডোমেইনটি। তবে সহজে নয়, এতে তাদের গুনতে হয়েছে দুই লাখ মার্কিন ডলার।
২০০৬ সালে দেখা যায় গতবছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ফেসবুক সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলারের উপরে লস করে। এরপর ২০০৬ এর সেপ্টেম্বারে ১৩ বছর বয়সের উপরে সবার জন্য ফেসবুক ওপেন করে দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ফেসবুকে আরো বিশাল অঙ্কের দুটি ইনভেস্টমেন্ট দেখা যায়। হং কং এর এক লোক ষাট মিলিয়ন ডলার ও মাইক্রোসফট ২৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেসবুকের এক দশমিক ছয় পারসেন্ট কিনে নেয়।
২০০৮ এ এসে ফেসবুক আইনগত সমস্যাগুলো সমাধান করে এবং প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানীতে রুপ নেয়। ২০০৯ এসে দেখা যায় মাই স্পেস ডট কমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ফেসবুক, এবং তারা ফেসবুক থেকে আয় শুরু করেছে।
এরপর ফেসবুককে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১২ সালে দেখা যায় মার্ক জুকারবার্গ এর সম্পত্তির পরিমান প্রায় সাড়ে নয় বিলিয়ন ডলার। জুকারবার্গ নিজ যোগ্যতায় হওয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ বিলিনিয়র।
২০১১ তে এসে ফেসবুকে ১০০ বিলিয়নের বেশি ছবি আপলোড করেছে ইউজাররা। এরপর ওই বছরই ফেসবুক ভিডিও কল এর জন্য স্কাইপ ও হিরুকুর সাথে চুক্তি করে ফেসবুক এর এপ্স অন্য প্ল্যাটফর্ম এ নিয়ে কাজ করানোর জন্য।  ২০১১ এর শেষ দিকে ফেসবুকে যোগ হয় টাইমলাইন ফিচার।
অক্টোবর ২০১২ তে ফেসবুকে ১ বিলিয়ন ইউজার রেজিস্ট্রেশন করে। এবং ২০১২ তেই মার্ক জুকারবার্গ বিয়ে করেন প্রিসিলা চ্যানকে। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসোন অব দি ইয়ার হন ফেসবুকের জনক মার্ক জুকারবার্গ!










বাংলাসংবাদ২৪


লবণ কম খান, দীর্ঘজীবী হোন

প্রতিদিন যে পরিমাণ লবণ খান, তা কিছুটা কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও নানা ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এতে আয়ু বেড়ে যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এদকল বিজ্ঞানীর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকী হাইপারটেনশন গত সোমবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মার্কিন নাগরিক প্রতিদিন লবণের এক চা-চামচের কিছু পরিমাণ কম খেলে এক দশকের মধ্যে তা কমে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এতে দুই লাখ ৮০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ মানুষের উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে। তাঁরা দীর্ঘজীবী হবেন।

ভোক্তা পর্যবেক্ষক সংগঠন সেন্টার ফর সায়েন্স ইন দ্য পাবলিক ইন্টারেস্টের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জ্যাকবসন বলেন, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় সোডিয়াম খাওয়া কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তিনি জানান, গবেষকেরা তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে পৃথক পদ্ধতি অনুসরণ করে গবেষণা চালিয়ে একই ফল পেয়েছেন।
একজন মার্কিন নাগরিক দিনে যে পরিমাণ খাবার খান তাতে গড়ে তিন হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম লবণ থাকে।

বাংলাসংবাদ২৪

অনলাইনে জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের চিঠি

জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের লেখা কয়েক হাজার ব্যক্তিগত চিঠি প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্প ডারউইন করেসপনডেন্স প্রজেক্ট এ উদ্যোগ নেয়।


এসব চিঠিতে এই প্রকৃতি বিজ্ঞানীর ভিন্ন এক পরিচয় পাওয়া গেছে। যেমন তার ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জোসেফ হুকারের কাছে লেখা একটি চিঠিতে দেখা যায় তার পুত্রবধূ অ্যামির মৃত্যুতে তিনি কতোটা শোকাহত হয়েছিলেন। ১৮৭৬ সালে হুকারকে লেখা এক চিঠিতে পুত্রবধূর মৃত্যুতে বিপর্যস্ত ডারউইন লিখেছেন, ‘তুমি জেনে ব্যথিত হবে যে, পেশির সংকোচনে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে অ্যামি (পুত্রবধূ) কষ্ট পাচ্ছিল। এরপর সে সংজ্ঞা হারায় এবং আমার চোখের সামনে আজ সকাল ৭টায় মারা যায়।’
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বিবর্তনবাদী তত্ত্বের প্রবক্তা ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডারউইনের সবচেয়ে বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত লেখাপত্র সংগ্রহের কাজ করেছে। ডারউইনের সমসাময়িক নেতৃস্থানীয় অন্য চিন্তাবিদকে লেখা চিঠিসহ প্রায় ৯ হাজার চিঠি এ লাইব্রেরির সংগ্রহশালায় আছে। এর মধ্যে বিগল নামক জাহাজে চেপে সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ডারউইনের লেখা নোট এবং তত্ত্ব নির্মাণে সহায়ক প্রথম দিককার পাণ্ডুলিপিও আছে।
তবে প্রকল্পের সহযোগী পরিচালক অ্যালিসন পিয়ার্ন মনে করেন, হুকার ও ডারউইনের পরস্পরকে লেখা চিঠিগুলো থেকে অন্য চিঠিগুলো ডারউইন কিংবা পণ্ডিতদের কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। ১৮৪৩ সাল থেকে ১৮৮২ সালে ডারউইনের মৃত্যু পর্যন্ত লেখা ওই চিঠিগুলোতে চল্লিশ বছর বয়েসী বন্ধু জোসেফ হুকার ও ডারউইনের বন্ধুত্বের উষ্ণতা সম্পর্কেও একটা ধারনা পাওয়া যায়।
এর আগে পদার্থ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের লেখাপত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে জৈব বিবর্তনতত্ত্বের সহ-আবিষ্কারক আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেসের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বিভিন্ন চিঠি লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক অ্যান্ড্রু ডব্লিউ মেলন ফাউন্ডেশন এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে। প্রায় চার হাজার চিঠি ঐ ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য সংগ্রহ করা হইয়েছিল। ডারউইনসহ অন্যদের প্রতি ওয়ালেসের নিজের লেখা এবং তাঁর প্রতি অন্যদের লেখা চিঠি এই সংগ্রহে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


খবর  - sciencetch24

জিমে না গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ

সারা বিশ্বে এখন স্লিম ফিগারের জয়জয়কার। মেদবিহীন ছিপছিপে আকর্ষণীয় দেহের গড়ন সবার প্রিয়। এই প্রত্যাশা পূরণ খুব একটা কঠিন কাজ নয়। পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে স্বাভাবিক ওজন আর সুস্থ শরীরের অধিকারী হওয়া সহজেই সম্ভব। এর জন্য খুব বেশি প্রচেষ্টা কিংবা নিয়মিত জিমে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই।

মোটা হওয়ার কারণ
সাধারণত বংশগত কারণেই মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে।

অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ মোটা হওয়া বা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।
পরিশ্রমহীন অলস জীবনযাপনও মোটা হওয়ার কারণ।
আধুনিক জীবনযাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।
অ্যালকোহল এনার্জি/হেলদি ড্রিঙ্কস, সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদি ফ্যাশনিবল কোমল পানীয় মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে সুষম খাদ্য তালিকা, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড এবং ফাইবার আছে, মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। এজন্য যা করতে হবে—
িআপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এবং আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবার বর্তমান খাদ্যাভ্যাস এবং আপনার কাজের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা তৈরি করুন।
িখাদ্য তালিকায় যাতে আঁশযুক্ত খাবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
িঅতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া কমাতে সব ধরনের চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
িশরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাক-সবজি খাবেন।
িঅসময়ে খিদে পেলে স্বাস্থ্যসম্মত স্ন্যাক্স খাবেন।
িদুপুর এবং রাতের খাবারের মাঝে অথবা খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি, টোস্ট বিস্কুট, মৌসুমি ফল, ফলের রস, সবজির রস, কিংবা সিদ্ধ শাক-সবজি বা সালাদ খেতে পারেন।
িহেলদি ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদি কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। মনে রাখবেন, যে কোনো ধরনের কোমল পানীয় মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়।
িবার বার অল্প করে খাবেন। তবে লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অবশ্যই কম খাবেন।
িরাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
িকখনোই স্টাভেশন ডায়েট বা উপোস করবেন না। এ পদ্ধতিতে দ্রুত ওজন কমানো গেলেও শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে নানাবিধ রোগব্যাধি দেখা দেয়।

বাড়িতে ব্যায়ামের কিছু পদ্ধতি
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে নিচের ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়ামগুলো করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি কর্মক্ষম বা ফিট থাকতে পারবেন এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হবে না।
স্পট জগিং : শরীর সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির বারান্দা বা যে কোনো জায়গায় ২ থেকে ৫ মিনিট স্পট জগিং করবেন।
স্টেচিং : বিভিন্ন ধরনের স্টেচিং ব্যায়াম। যেমন আর্ম স্টেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এটি ২ থেকে ৫ মিনিট করবেন। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের ফ্যাট ঝরে।
আর্ম ফ্রন্ট রাইজ এবং সাইড রাইজ : সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত সোজা করে একসঙ্গে সামনের দিকে মাথার ওপরে তুলবেন এবং নামিয়ে আনবেন ১৫ থেকে ২৫ বার। একইভাবে দু’হাত সোজাভাবে শরীরের দু’পাশ থেকে মাথার ওপর তুলবেন এবং নামাবেন ১৫ থেকে ২৫ বার।
ফ্রন্ট ব্যান্ডিং এবং সাইড ব্যান্ডিং : সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাতের তালু মাথার পেছনে রাখুন, এরপর পিঠ সোজা রেখে সামনের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকবেন এবং আবার দ্রুত সোজা হবেন, এভাবে ১০ থেকে ১৫ বার ফ্রন্ট ব্যান্ডিং করুন। এরপর দু’পা পরস্পর থেকে ২ থেকে ৩ ফিট দূরত্বে রেখে মাথার পেছনে দু’হাতের তালু রেখে প্রথমে ডানদিক যতটা সম্ভব ঝুঁকুন এরপর দ্রুত সোজা হয়ে আগের অবস্থানে আসুন। একইভাবে বাম পাশে ঝুঁকুন এবং দ্রুত সোজা হোন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার এই সাইকেলটি রিপিট করুন।
পুশ-আপস : পুশ-আপস বা বুকডন করলে চেস্ট এবং আর্মস মাসলের শক্তি বাড়ে। পুশ-আপসের সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন হাঁটুতে ভাঁজ না পড়ে এবং হাঁটু, কোমর বা পিঠ একই সমতলে থাকে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ বার এই পুশ আপস বা বুকডন করবেন।
সিটস-আপস : ভুঁড়ি কমাতে এবং পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়াতে সিটস-আপস অত্যন্ত কার্যকর। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে দু’হাত বিপরীতে কাধের ওপর (ডান হাত বাম কাঁধের ওপর এবং বাম হাত ডান কাঁধের ওপর) রাখুন। এরপর কোমরের ওপর ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশ আস্তে আস্তে মাটি থেকে যতটা সম্ভব তোলার চেষ্টা করুন (সম্ভব হলে বসুন) এবং মাঝামাঝি অবস্থানে ৫ সেকেন্ড থাকুন। আবার আস্তে আস্তে শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। এভাবে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি সিটস-আপস করবেন।
স্কিপিং : স্কিপিং বা দড়িলাফ, দড়ি ছাড়াও করা যেতে পারে। দু’হাত দু’দিকে সোজাভাবে প্রসারিত করে কাঁধ বরাবর রাখুন। এবার পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে ১ মিনিট লাফান। এরপর ১ মিনিট করে বিরতি দিয়ে ৩ থেকে ৫ বার সাইকেলটি রিপিট করুন।
মনে রাখবেন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি আপনার হাতেই। তাই ধূমপান, মদ্যপানসহ সব ধরনের বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন। মিষ্টি, চর্বি জাতীয় সব খাবার এবং ভাজাভুজা খাবার এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যাই ঘটুক না কেন সময় ও সুযোগ করে নিয়ে বাড়িতে থেকেই নিজে নিজে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে নিন। স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম— এ দুটি হচ্ছে জিমে না গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার মূলমন্ত্র।
লেখক : মেডিকেল অফিসার
কিডনি রোগ (নেফ্রোলজি) বিভাগ
বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা

হার্ট এ্যাটাক এবং করণীয়:

হার্ট এ্যাটাক কি?
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসনকে কথ্য ভাষায় হার্ট এ্যাটাক বলা হয়। প্রতি মিনিটে প্রায় ৭২ বার স্পন্দনের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র সারাদেহে পাম্পের মত রক্ত সরবরাহ করে। এই হৃদযন্ত্র হঠাৎ ঠিকমত কাজ না করলে সেটা সারা দেহের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে।

 
হৃদযন্ত্রের পেশীর দূর্বলতা কিংবা কিংবা কোলস্টেরল জমে ধমনীর রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ফলে হৃদযন্ত্রে রক্তাল্পতা জনিত কারণে অক্সিজেনের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে হার্ট এ্যাটাক হয়। হার্ট এ্যাটাকের সময় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। অবশ্য অনেক সময় রোগী বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং সেটা কিছু সময় পর সেরে যায়। এটি অ্যাঞ্জিনা পেক্টোরিস নামে পরিচিত।
 
কারণ
স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত চর্বি হৃদপিন্ডের ধমনীতে জমে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এটি। তখন রক্ত জমাট বেঁধে যায়।
 
যাদের ঝুঁকি বেশি:
  • মধ্য বয়সী,
  • রক্তে কোলস্টেরলের পরিমাণ বেশি আছে এমন ব্যক্তি,
  • ডায়বেটিস রোগী,
  • ধূমপায়ী,
  • অতিরিক্ত ওজন আছে এমন ব্যক্তি,
  • উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তি,
  • পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস,
  • চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি।
 
হার্ট এ্যাটাকের লক্ষণ
  • বুকে প্রচন্ড ব্যথা, বুকে চাপ, যন্ত্রণা, ভারী লাগা। সাধারণত বুকের সামনের দিকের মধ্যভাগের হাড়ের পিছনে ব্যথা শুরু হয়। ব্যাথা থেকে তীব্রতর হতে থাকে এবং অধিক ওজন বোধ করে।
  • Angised (glyceryl trinitrate)বড়ি জীহবার নীচে রাখলেও ব্যাথা কমে না।
  • বিস্তারঃ ব্যথা বুক থেকে গলার বাম দিকে, বাম বাহু ও হাত পর্যন্ত বিস্তৃত হতে থাকে।
  • বমি বা বমির ভাবহাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসা,
  • মাথা ঝিমঝিম করা,
  • প্রচুর ঘাম,
  • দম বন্ধ হয়ে আসা, শ্বাস কষ্ট,
  • ভয়, উদ্ধেগ, আকুল মুখচ্ছবি,
  • ক্ষীণ ও দ্রুত পালস (নাড়ির গতি),
  • মৃত্যুর ভয়,
  • নিম্ন গতি ও রক্তচাপ ইত্যাদি
  • ১৫/২০ ভাগ ক্ষেত্রে হার্ট এ্যাটাক নীরব বা বেদনাহীন বিশেষতঃ প্রবীণ ব্যক্তিদের বেলায়।
 
করণীয়:
হার্ট এ্যাটাক হয়েছে মনে হলে বা বুকে ব্যাথা অনুভব করলে প্রথমেই জিভের নিচে Angised  বা অন্য কোন glyceryl trinitrate ট্যাবলেট কিংবা স্প্রে নিতে হবে। পরিস্থিতি গুরুতর মনে হলে ৩০০ মিলিগ্রামের অ্যাসপিরিন বড়ি পানিতে গুলে কিংবা চিবিয়ে খেতে হবে। অ্যাসপিরিন রক্তকে তরল করে, জমাট বাঁধতে দেয় না। অ্যাসপিরিন কিভাবে কখন খেতে হবে সেটা আগেই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
এরপর যত দ্রত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। হৃদরোগের চিকিৎসা দেয়া হয় এমন হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করা উচিত। ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতাল, ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে হৃদরোগীদের জন্য জরুরি বিভাগ আছে।

হাসপাতালে পোঁছার পূর্ব পর্যন্ত রোগী যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিরোধ:
  • ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে, সিগারেটের নিকোটিন রক্তনালীকে সংকুচিত করে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে,
  • দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে
  • ওজন, ডায়বেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,
  • হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রাখতে হবে, ব্যায়্যাম করতে হবে,
  • সম্পৃক্ত চর্বি; যেমন গরুর মাংস, মাখন, ঘি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে,
  • অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন সয়াবিন তেল, মাছ, মাছের তেল, ইত্যাদি ভালো,
  • মদ্যপান এবং কফি পান পরিহার করতে হবে,
  • লবণ খাওয়া কমাতে হবে,
  • আঁশ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে,
  • নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে, চিকিৎসক না বললে ওষুধ বাদ দেয়া যাবে না।
 
হার্ট এ্যাটক হলেই মৃত্যু অবধারিত নয়, সময় মত ব্যবস্থা নিলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। এরপর নিয়ম মেনে জীবনযাপন করলে পুনরায় হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

এলার্জি, এ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে মুক্তির জন্য কিছু বিষয় রোগীদের পালন করা জরুরী

এলার্জি, এ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে মুক্তির জন্য কিছু বিষয় রোগীদের পালন করা জরুরী। ঔষুধ ছাড়া শুধু নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই রোগীদের চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়।





করণীয়
  • কার্পেট ব্যবহার না করা।
  • সম্পূর্ণ রুপে ধূমপান পরিহার করা।
  • বাসায় কোন প্রকার পোষা প্রাণী না রাখা।
  • মশার কয়েল বা স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা
  • উচ্চ মাত্রার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
  • ধূলাবালি থেকে বাচতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা।
  • ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় নাকে মুখে মাস্ক, তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করা।
  • বিছানা বা কার্পেট, পুরাতন বই পত্র অন্য কাউকে দিয়ে ঝেড়ে নেওয়া।
  • টিভি, মশারি-স্ট্যান্ড, সিলিং ফ্যানের উপর জমে থাকা ধূলা-বালি সপ্তাহে অন্তত একবার অন্য কাউকে দিয়ে পরিস্কার করে নেওয়া 
  • বাস, মোটরগাড়ী বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক ব্যবহার করা।
  • শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুঁয়ে ব্যবহার শুরু করা।
  • লেপ ভাল করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা।
  • শীতের সময় উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি/ জিন্সের কাপড় ব্যবহার করা।
  • পুরাতন/ বাক্সবন্দী জামা-কাপড় ধুঁয়ে রোদে ভাল করে শুকিয়ে ইস্ত্রী করে ব্যবহার করা।
  • যেকোন স্যাঁতস্যাঁতে স্থান এড়িয়ে চলা।
  • হাটার সময় ঘাস পরিহার করা।
  • ছোট বা বড় ফুল ধরা গাছের নিচে / পাশে না বসা।
  • রান্না করার সময় মশলার ঝাঁঝাঁলো গন্ধ এড়াতে মাস্ক বা গামছা ব্যবহার করা।
  • ফ্রীজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে গ্রহন করা।
  • ঘরে ধূঁপ ব্যবহার না করা।
  • ব্যবহৃত বিছানায় চাদর, বালিশের কভার এবং মশারীর সপ্তাহে একবার ধুঁয়ে ফেলা।
  • ঘর থেকে ছারপোকা, তেলাপোকা চিরতরে নির্মূল করা।
  • ঠান্ডা পানি এবং খাবার পরিহার করা।

যেসব খাবার পরিহার করা উচিত
  • মাছ-ইলিশ, চিংড়ি
  • মাংস-গরুর মাংস
  • দুধ
  • ডিম-হাঁসের ডিম (সাদা অংশ)
  • সবজি-মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন
  • ফল-আপেল, কলা

পালনীয়
  • প্রতিদিন সকালে ও বিকালে মুক্ত পরিবেশে ১০ (দশ) মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়।
  • সুযোগ পাইলে জোরে জোরে শ্বাস টানা।
  • শ্বাস গ্রহনের পর প্রায় ১৫ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার অভ্যাস করা।
  • দুই ঠোট শীষ দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করা।
  • শ্বাসকষ্ট বেশী হলে ভেন্টোলিন/ এ্যাজমাসল/ সালটলিন ইনহেলার ২ কাফ করে ৫ মিনিট নেওয়া।
  • শ্বাসকষ্ট এতে শ্বাসকষ্ট না কমলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • সবসময় হাসি-খুশি থাকলে ভালো হয়।
  • ভয়, হতাশা ও চিন্তাগ্রস্থ না হওয়া।
  • ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ মেনে চলা ভালো।

!! ল্যাসিক অপারেশন করিয়ে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের ঝামেলা থেকে মুক্তি !!



Laser Assisted In-Situ Keratomileusis এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে LASIK, যাদের চোখে পাওয়ারজনিত সমস্যার কারণে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে হয়, তারা ল্যাসিক অপারেশন করিয়ে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বিশেষ করে যারা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চান কিংবা শোবিজ জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে চান তাদের জন্য ল্যাসিক এক সুবর্ণ সুযোগ।

 
ল্যাসিক কি?
আমাদের চোখের ভেতরে প্রাকৃতিকভাবেই একটি লেন্স থাকে। ক্যামেরা বা টেলিস্কোপের লেন্স সামনে পেছনে সরিয়ে ফোকাস করতে হয়। কিন্তু চোখের লেন্সের ফোকাস করার পদ্ধতিটি ভিন্ন। চোখের লেন্স তার আকার বদলাতে পারে। চোখের পেশীর মাধ্যমে এই আকার বদলানোর কাজটি হয়।
 
ফলে ফোকাসিং এর মাধ্যমে আমরা কাছের বা দূরের যেকোন জিনিস দেখতে পাই। বিপত্তি ঘটে চোখের এই লেন্সের ফোকাসিং ক্ষমতা কমে গেলে বা বেড়ে গেলে। কাছের বা দূরের বা উভয়ক্ষেত্রেই চোখের লেন্স ব্যবহার করে স্পষ্ট দেখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
 
তখন বাইরে থেকে লেন্স ব্যবহার করতে হয় চোখের প্রাকৃতিক লেন্সকে সাহায্য করার জন্য। এটা চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স হতে পরে। 
 
তবে লেজার রশ্নি ব্যবহার করে কর্ণিয়ার কিছু অংশ তুলেও কাজটি করা যায়। নতুন গঠনের কর্ণিয়া লেন্সের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তখন আর চশমা প্রয়োজন হয় না। রোগী চশমা ছাড়াই স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন।
 
কখন এবং কাদের ল্যাসিক অপারেশন করা যায়?
মাইনাস বা প্লাস দু’ধরনের পাওয়ারের ক্ষেত্রেই ল্যাসিক চিকিৎসা দেয়া যায়। 
 
যেসব ক্ষেত্রে ল্যাসিক অপারেশন করানো যায়:
  • ক্ষীণ দৃষ্টি বা মায়োপিয়ায় পাওয়ার -২.০০ থেকে -২০.০০ ডায়াপ্টার এর মধ্যে হলে।
  • দূরদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়ার ক্ষেত্রে পাওয়ার +২.০০ থেকে +৮.০০ এর মধ্যে হলে।
  • বিষমদৃষ্টি বা অ্যাসটিগম্যাটিজম এর ক্ষেত্রে পাওয়ার ১.০০ থেকে ৭ ডায়াপ্টার এর মধ্যে হলে।
 
১৮ বছরের আগে ল্যাসিক অপারেশন করানো উচিত নয়, এসময় চোখের পাওয়ার দ্রুত বদলায়।
 
যেসব অবস্থায় ল্যাসিক অপারেশন করানো যায় না:
  • যাদের চোখের পাওয়ার স্থিতিশীল হচ্ছে না, দ্রুত বদলাচ্ছে তাদেরও ল্যাসিক অপারেশন করা হয় না।
  • রেটিনায় সমস্যা, চোখে গ্লুকোমা, ছানি বা অন্য কোন ভাইরাসজনিত অসুখ থাকলে ল্যাসিক করানো যায় না।
  • এইচ আই ভি, রিউমাটয়েড, অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকলে ল্যাসিক অপারেশন করানো যায় না।
  • লেজারের কারণে ভ্রূণের ক্ষতি এড়ানোর জন্য গর্ভবতী মহিলাদেরও ল্যাসিক অপারেশন করা হয় না।
 
 
প্রস্তুতি
ল্যাসিক অপ্যারেশনের আগে একট পরীক্ষা করাতে হয়, একে প্রি-ল্যাসিক টেস্ট বলা হয়। রোগীকে আদৌ ল্যাসিক চিকিৎসা দেয়া যাবে কিনা এ পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি দেখা হয়।
 
এ পরীক্ষার আগে কয়েকদিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হয়।
 
অপারেশনের দিন সকালে হালকা খাবার এবং ওষুধ (যদি দেয়া হয়ে থাকে) খেয়ে হাসপাতালে যেতে বলা হয়। চোখের মেকআপের জন্য কোন উপকরণ এসময় ব্যবহার করা উচিত নয়।
 
অপারেশন পদ্ধতি:
কর্ণিয়াকে অবশ করে এ অপারেশন করা হয় বলে রোগী ব্যথা অনুভব করেন না। কর্ণিয়ার একটি পাতলা স্তর তৈরি করে সেটি উল্টে রাখা হয়। এরপর ১৫ থেকে ৬০ সেকেন্ড লেজার প্রয়োগ করা হয়। কিভাবে কতটা সময় লেজার প্রয়োগ করা হবে সেটা পাওয়ারের ওপর নির্ভর করে এবং কম্পিউটারের সাহায্যে তা হিসাব করে নেয়া হয়। পুরো অপারেশনে ১০ মিনিটের মত সময় লাগে। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট  অবস্থানের পর রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারেন।
 
প্রথম দিন রোগী কিছুটা ঝাপসা দেখতে পারেন, কয়েকেদিনের মধ্যেই রোগী অপারেশনের কার্যকারিতা বুঝতে পারেন। তবে পুরো ফল পেতে এক মাস লেগে যেতে পারে। ল্যাসিকের সময় এবং পর রোগী দুই-তিন ঘন্টা চোখে কিছুটা ব্যথা ও চাপ অনুভব করতে পারেন।
 
প্রয়োজনে কয়েক বছর পর আবার ল্যাসিক করানো যায়।
 
ফলোআপ:
২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুনরায় রোগীকে পরীক্ষা করা হতে পারে এবং ছয় মাস পর পর রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স দেয়া হতে পারে।
 
সাধারণত রোগীর অবস্থা বুঝে কিছু চোখের ড্রপ নিতে বলা হয় কিছুদিন পর পর ড্রপ বদলও করা হতে পারে।
 
জটিলতা
ল্যাসিকের মাধ্যমে কর্ণিয়ায় যে পরিবর্তন আনা হয়, তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না।
 
৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই ল্যাসিক অপারেশন সফল। তবে অনেকসময় কিছু জটিলতাও দেখা দেয়। সূর্যের আলোয় অসুবিধা, চোখ শুকিয়ে আসা, চোখে রংধনু দেখা, কালার ভিশন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
 
মাঝে কিছুদিন দৃষ্টির ওঠানামা বা পাওয়ারের দ্রুত হ্রাসবৃদ্ধি ঘটতে পারে। এরকম সমস্যা হলে সেটা চিকিৎসককে জানানো উচিত, তিনি সে মোতাবেক ওষুধ দিতে পারেন।
 
চল্লিশের পরে ল্যাসিক
বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ল্যাসিকের পদ্ধতি একটু ভিন্ন হতে পারে। কারণ এসময় অনেকেরই কাছে এবং দূরে দেখা দুক্ষেত্রেই পাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ল্যাসিক অপারেশনের মাধ্যেমে কেবল একটি পাওয়ার ঠিক করা যায়।
 
এ সমস্যার একটি সমাধান হচ্ছে মনোভিশন। অর্থাৎ ল্যাসিকের মাধ্যমে রোগীর দু’চোখে দু’রকম পাওয়ারের ব্যবস্থা করা। রোগী এক চোখে কাছের জিনিস দেখেন এবং অন্য চোখে দূরের জিনিস দেখেন।
 
আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে দু’চোখেই দূরে দেখার ব্যবস্থা করা। দূরে দেখার জন্য ল্যাসিক করালে কাছে দেখার জন্যও পাওয়ার অর্ধেক হয়ে যায়।
 
চিকিৎসক নন, রোগীই সিদ্ধান্ত নেন কোন পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করবেন।
 
বিতর্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন যখন ল্যাসিক সার্জারির অনুমোদন দেয় তখন এটা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ল্যাসিকের পর রোগীদের বিভিন্ন জটিলতার কথা বলে আরও বিতর্ক হয়েছে।
 
ল্যাসিক একেবারে ঝুঁকিমুক্ত কোন অপারেশন নয়, ল্যাসিক করানোর আগে হাসপাতালটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত।
 
কোথায়?
ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, মিরপুরের ওএসবি লেজার ভিশন সেন্টার, গুলশানের ল্যাসিক সাইট সেন্টার এসব জায়গায় ল্যাসিক অপারেশনের ব্যবস্থা আছে।
 
খরচ     
হাসপাতাল
প্রি-ল্যাসিক টেস্ট
দু’চোখের ল্যাসিক
ওষুধ
হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

৩,০০০ টাকা
৪৫,০০০ টাকা
৫০০-১০০০ টাকা
ওএসবি লেজার ভিশন সেন্টার
২,৫০০ টাকা
৩৫,০০০ টাকা
৫০০ থেকে ১০০০ টাকা
ল্যাসিক সাইট সেন্টার
৩৬০০ টাকা
৪৫,০০০ টাকা
৫০০ থেকে ১০০০ টাকা
 
 

ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার থেকে ফ্রি কল করুন যেকোন মোবাইলে,ল্যান্ডফোনে

এই টিপসটি প্রথম আমি পেয়েছিলাম অন্য একটি ব্লগে।কিন্তু তখন আমি নিজেই টিপসটি প্রয়োগ করতে পারিনি।কত চেষ্টা করেছি তাও ফ্রি কল যায় না।আমি ভাবলাম যে এটি ভুল টিপস।কিছুদিন আগে কি মনে করে যেন আবার ট্রাই করলাম।ওমা! এবার দেখি ঠিকঠাক সব হলো !!আসলে ফ্রি কলের সেবাগুলো মোবাইল অপারেটরগুলো টের পেয়ে ব্লক করে দেয়।
যার কারনে অনেক সময় ইন্টারনেট থেকে ফ্রি কল করতে গেলে আমরা অনেক সময় বাধাপ্রাপত হই আর ভাবি আসলে এটি ভুয়া।কিন্তু বিষয়টি জেনে রাখলে মাঝে মাঝে ফ্রি কল পেতেও পারেন।আর ইয়াহুর ফ্রি কল আনলিমিটেড।যাহোক কথা আর না বাড়িয়ে চলুন জেনে নিই কিভাবে ইয়াহু থেকে ফ্রী কল করা যায়।
১. ইয়াহু ম্যাসেন্জার খুলুন।
২.contacts লেখার নিচে ফাকা বক্সে (ছবিতে দেখানো স্থানে)১৮০০৩৭৩৩৪১১ নম্বরটি লিখে ইন্টার চেপে কল দিন।
৩.এখন ইয়াহু থেকে স্বয়ক্রীয় কিছু কথা শোনা যাবে শুনতে থাকুন এবং অপেক্ষা করুন কখন "ফ্রি কল'' কথাটি উচ্চারন করে ওপাশ থেকে।
৪.যেই বলবে 'ফ্রি বল' আপনিও একটু জোরে বলুন ,'ফ্রি কল'
৪.যদি প্রথম চেষ্টায়ই আপনার কাজ হয়ে যায় তাহলে তো ভালোই।নয়তো কল কেটে দিয়ে আবার একই নিয়মে কল করুন এবং ফ্রি কল চালুর চেষ্টা করুন।তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,ফ্রী কল কথাটি বলার আগেই কল কেটে যায়,আবার অনেক সময় network busy দেখায়।তাই যে সময় network ফ্রি থাকে সেসময় চেষ্টা করুন।একবার ফ্রি কল হয়ে গেলে যতক্ষন খুশী কথা বলতে পারবেন যেকোন মোবাইলে।

এবার, মাউস হিসাবে কাজ করবে আপনার নিজের মাথা, গ্যারেন্টী সহ

আশা করি সবাই বিন্দাস আছেন, কোনও কারন বসত যদি না থাকেন, ১০০% গ্যারেন্টী দিচ্ছি, এটা ব্যাবহার করলে হয়ে যাবেন।
মাত্র ১২.৪৩ MB-র দ্বারা আপনার মাথা কে-ই বানিয়ে ফেলুন আপনার কম্পিউটার-এর মাউস।
আজ নেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে এই আদ্ভুত সফটওয়্যার টি আচমকাই খুঁজে পেলাম। তাই, শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। : )

এবার আমার স্টাইলে দেখে নিন Software টির Details:
Name: Camera mouse 2012
Size: ১২.৪৩ MB
License: Freeware (অর্থাৎ লাইসেন্স কি-এর গল্প নেই)
OS: Windows XP / Vista / 7 / 8 32-bit
Released on: 24th November, 2012
*Requirements: One computer, Electricity, & Webcam

শুধু ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিলেই হবে।
এবার বলি সফটওয়্যার টি কি করবে, আপনি যখন সফটওয়্যার টি ওপেন করবেন, তখন স্ক্রীন-এ আপনার ছবি ওয়েবক্যাম-এর মাধ্যমে আসবে, এরপর আপনাকে, আপনার মুখের যে কোনও অংশ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সফটওয়্যারটি আপনার দেখিয়ে দেওয়া স্থান কে  ক্রমাগত trace করবে, আর সেই মত মাউস পয়েন্টার-ও নড়বে। তবে মুখের একটি অংশ সিলেক্ট করার সময় নাক কে বাছলেই ভালো হয়, কেননা ওটা মোটামুটি স্ক্রীন-এর মাঝে থাকে, তাই স্ক্রীন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে।
আর কয়েকটি কথা বলি, সফটওয়্যার টি প্রচণ্ড সংবেদনশীল, তাই শুরু করার সময়ের জন্য কিছু সেটিংস্‌ recommend করছি, যাতে আপনাদের ব্যাবহার করতে সুবিধা হয়।

প্রথমে, Settings থেকে “Clicking” ট্যাব-এর সব কটি box-এ tick মেরে দিন।
চিত্রঃ 
এর পর “Control” tab-এও সব box-এ tick দিন।
চিত্রঃ

এরপর “Gains”-এর দুটো option-এই “very low” select করুন।
চিত্রঃ

এরপর “Misc.” tab থেকে প্রথম option টি কে Extreme করুন।
চিত্রঃ

এরপর Alt+D press করে OK করে দিন।
ব্যাস কাজ শেষ।
এরপর আরামে ব্যাবহার করুন।
ঐ যাঃ , কি কাণ্ড দেখেছেন, আর একটু হলেই Download link দিতেই ভুলে যাচ্ছিলাম :p
বেশ, তবে ৩ টে লিঙ্ক দিচ্ছি, যেটা থেকে খুশি Download করুন।

পোস্টটা কেমন হল জানাবেন, কোনও সমস্যা হলেও জানাবেন কিন্তু নির্দ্বিধায়।

নতুন সফটওয়্যার, বই, গান, গজল, সংবাদ, লাইভ স্কোর এর আপডেট পান আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে … একদম ফ্রী …

আসসালামু আলাইকুম । আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমি আরেকটি পোস্ট লিখতে বসেছি । আমি জানি না আমাকে আপনাদের কততুকু ভাল লাগে ! আমার পোস্টগুলু আপনাদের কোন উপকারে আসে কি না তাও জানি না । যদি আমার পোস্টগুলু ভাল লেগে থাকে তাহলে পোস্টগুলু পড়বেন এবং যথাযথ মন্তব্য করবেন ।


আমি যে সিস্টেমের কথা বলছি তা মূলত twitter এর মাধ্যমে । এখন শুরু করা যাক । প্রথমে আপনার একটি twitter অ্যাকাউন্ট লাগবে, যদি থাকে তো ভাল না থাকলে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, এজন্য twitter.com ঢুকুন আপনার ব্রাউজার থেকে । এখন ডান পাশ থেকে নিচে দেখুন New to Twitter? Sign up আছে । এখান থেকে form fil-up করে sing up for twitter এ ক্লিক করুন এখন আরেকটি ফর্ম আসবে এটাও তথ্য পুরন করে সাবমিটকরুন । আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলা শেষ ।
 এখন টুইটারে আপনার মোবাইল setup করতে হবে এজন্য twitter এ ঢুকে ডানে উপড়ে 
বাটনে ক্লিক করুন, ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে Settings এ ক্লিক করুন , তারপর মোবাইলে ক্লিক করুন । এখন আপনি এই ছবির মত পেজ দেখতে পাবেন ।

এখন Phone Number filed এ আপনার নাম্বার লিখুন । (Airtel Citycell ব্যাবহারকারীরা শুধু এখন এই সুবিধা উপুভোগ করতে পারবেন । কারন এছাড়া অন্য operator এখনও twitter সাপোর্ট করে না । তবে মনে হয় খুব শিগ্রই অন্যান্য ফোন অ্যাক্টিভ করা যাবে ।) এবার Active Phone এ ক্লিক করুন । এখন আপনি এই ছবির মত পেজ দেখতে পাবেন ।
এখন আপনি যে নাম্বার এখানে দিয়েছেন সে নাম্বার থেকে Go লিখে 9594 এ এসএমএস পাঠাতে হবে । মেসেজ ডেলিভারড হলে আপনার ফোন অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে ।

এখন আপনাকে নতুন সফটওয়্যার, বই, গান, গজল আপডেট মোবাইলে পেতে হলে http://twitter.com/oshadharonfans  এই ঠিকানাই যেতে হবে এবং
তে ক্লিক করতে হবে । এখন মোবাইল এ আনতে 

 এই বাটনে ক্লিক করে 

Turn on mobile notifications এ ক্লিক করুন করুন ।
এভাবে সংবাদ মোবাইলে পাওয়ার জন্য https://twitter.com/ProthomAlo_Web এ ঠিকানাই গিয়ে follow এবং Turn on mobile notifications এ ক্লিক করুন করুন ।

এভাবে Live Score মোবাইলে পাওয়ার জন্য https://twitter.com/LiveCricInfo এ ঠিকানাই গিয়ে follow এবং Turn on mobile notifications এ ক্লিক করুন করুন ।

এভাবেই আপনি নতুন সফটওয়্যার, বই, গান, গজল, সংবাদ, লাইভ স্কোর এর আপডেট পান আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পেতে পারেন একদম ফ্রী …

এখনই চালু করে নিন । মোবাইলে ফ্রীতে আপডেট পান সকল বিষয়ের । কোনও সমস্যা হলে মন্তব্য করুন আমি সমাধান করার চেষ্টা করব । আর যদি কোনও উপকারে আসে তাহলে অন্তত ধন্যবাদ জানবেন ।
সবাই ভাল থাকুন । আল্লাহ্‌ হাফেয …


কিভাবে আপনি আপনার Boss কে প্রভাবিত করবেন?

সবাইকে শীতের ঠাণ্ডা শুভেচ্ছা!
(How To Impress Your Boss At Work ?) কিভাবে আপনি আপনার Boss কে প্রভাবিত করবেন? চলুন স্বল্প ভাবে অল্প আলোচনায়। সফল চাকরিজীবী হতে হলে বুদ্ধি, শ্রম, এবং আনুগত্ত্বতা থাকতে হবে। থাকতে হবে ধাপে ধাপে এগোনর চতুরতা। মনে রাখবেন......।

  • বস সব-সময় ঠিক (Boss is always right) - বস ঠিক নয় বা আমি বসের চেয়ে ভাল জানি- এমন ধারনা আমাদের ত্যাগ করা উচিৎ।
  • কাজে মন দিন (High concentration) - বসের তদারকিতে নয়, দায়িত্ব নিয়ে নিজেই কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিৎ।
  • আপনার বসকে বিজ্ঞ হিসেবে ডাকুন(Call your boss as a ‘Mentor’) - চাকরিজীবী হিসেবে আপনার ভুমিকা হচ্ছে আজ্ঞা পালনকারী
  • বিশ্বস্ততা তৈরি করুন(Create Loyalty)
  • আস্থার সাথে প্রকাশ করুন (Be expressive but confident)
  • আপনার বসকে নিরাপদ রাখুন(Keep your boss safe)
  • বসকে বুজিয়ে দিন আপনি তার উপর নীরবরশীল (Make him to feel like ‘Mr. Dependable’)
  • কথা কম কাজ বেশি এই মনস্তাত্ত্বিক ভাব তৈরি করুন( (Ask less do more)
  • সব সময় নতুনত্বের সাথে থাকুন (Keep yourself perpetually as an updated version)
  • সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করুন (Right perspective in right time)
  • বসকে বুজিয়ে দিন আপনি কর্তব্যে নিষ্ঠা(Let him to believe that you simply are perpetually on duty)
  • অফিসে ঠিক সময়ে আসুন, বসের অনুমতি ছাড়া অফিস ত্যাগ করবেননা।
  • Company র প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
সর্বশেষ একটি কথা মনে রাখবেন কোন প্রতিষ্ঠানকে একি সময়ে ১০০% ভাগ Performance না দেখিয়ে ধাপে ধাপে এগোতে থাকুন।

ওজন কমানোর ১০ টি সহজ পদ্ধতি না দেখলে মিস করবেন!!!

যারা নিজেদের মোটা বলে দাবি করেন বা যাদেরকে মটকু বলে খ্যাপানো হয় তাদের জন্য আমার এই পোষ্ট ।
দেখলে উপকার পেতে পারেন।

১. উঁচু ভবনে উঠার সময় লিফটের পরিবর্তে
সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
২. রিক্সার পরিবর্তে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করুন।
৩. নিয়মিত প্রতি মিনিটে ১১০ কদম হাঁটার অভ্যাস করুন ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত কমপক্ষে।
৪. নিজের কাজ নিজে কারার অভ্যাস করুন, যেমন কাপড় ধোয়া।(এই টিপস টা মহিলাদের জন্য অধিক প্রযোজ্য)
৫. আপনার খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করুন।অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের পরিবর্তে কম ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহন করুন। যেমন ফলমূল, শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে।
৬. খাওয়ার সময় টেলিভিশন দেখবেন না।(টেলিভিশন দেখতে দেখতে খেলে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে)
৭. ফাস্টফুড এর পরিবর্তে বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহন করুন।
৮. রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।
৯. আপনের BMI অনুযায়ী খাবারের পরিমান নির্ধারণ করুন।আপনার BMI জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
১০. বেশি বেশি পানি পান করুন।দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। যারা কম খেতে চান তারা খাবারের আগে পানি পান করতে পারেন তাতে খাওয়ার পরিমান কমে যাবে।খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে বেশি পানি পান করবেন না, আধা ঘণ্টা পর বেশি পানি পান করুন।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সুত্রঃ ইন্টারনেট

লম্বা হওয়ার গোপন ট্রিকস!! লম্বা হোন স্বাভাবিক ভাবে প্রাকৃতিক নিয়মে

জিনতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভেবে থাকি যে আমদের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমাদের বংশের উপর। অর্থাৎ আমরা বংশগত ভাবে ঠিক যতটুকু বৃদ্ধি পাবো তার থেকে এক চুলও বেড়ে উঠা সম্বভ নয়। তবে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে আপনার বৃদ্ধির ৮০% নির্ভর করে আপনার বংশের উপর। আর বাকি ২০% ই আপনার উপর বা অন্যান্য কিছু কৌশল বা পরিবেশের উপর।
 তাহলে দাঁড়ায় যে যদি একজন ব্যক্তির উচ্চতা হয় ৫ফুট তাহলে তার উচ্চতা ২০% করলে হয় ১ফুট আর এর থেকে পরিবেশ গত ভাবে ৬ ইঞ্চি ধরলেও আরও ৬ইঞ্চি নিজে বাড়ার জন্য থেকে যায়।
The School of Medicine of the University of Southern California in Los Angeles এর একদল চিকিৎসক যাদের দলনেতা ডঃ মিচেল ই জেনিফার, তারা কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা চালিয়ে একটি চূড়ান্ত  উচ্চতার পূর্বাভাস সূত্র প্রকাশ করেছেন। তা হলঃ-
মেয়েদের জন্য: [(পিতার উচ্চতা - 5 ইঞ্চি) + মা এর উচ্চতা] দুই দ্বারা বিভক্ত
ছেলেদের জন্য: [(মায়ের উচ্চতা + 5 ইঞ্চি) + পিতার উচ্চতা] দুই দ্বারা বিভক্ত
তবে সকল ক্ষেত্রে যে তা হবে সেটা কিন্তু নয়।
আপনারা সবাই জানেন যে জেনেটিক্স এবং পুষ্টির মাধ্যমে উচ্চতা রয়েছে।  বেশী পরিমাণ ক্যালরি, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খাদ্যাভ্যাস যা আপনার নতুন কোষ এবং  হাড় নির্মাণ 'উপকরণ' এবং সেলের গঠন নির্মাণে সহায়তা করবে। এছাড়াও দিনে আট ঘন্টা ঘুম আপনার বৃদ্ধি ক্ষমতা বাড়াতে আরো সহায়তা করবে। এখন ব্যপার হল আপনি দিনে আট ঘন্টা কেন ষোল ঘন্টা ঘুমান তারপর আবার পরিমান মত খাবারও খান এর পর যথাযত উচ্চতা লাভ হচ্ছে না বা আপনি তার উপর সন্তুষ্ট না।

 তাই এবার আপনাদেরকে দেখানো হবে কিভাবে আপনি আপনার শরীরের ৯৯% উচ্চতা বৃদ্ধি করবেন। আসলে এটি একটি প্রক্রিয়া যা আপনি আপনার সর্বাধিক সম্ভাব্য বৃদ্ধি নিতে সাহায্য করবে।

এই উপাদান কি
আপনার উচ্চতা বাড়ার মূল উপাদান হল একটি পদার্থ যা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এবং এটাকে বলা হয়: মানুষের গ্রোথ হরমোন। এটি একটি হরমোন যে আপনার শরীরের উত্পাদন (ভালো টেসটোসটের এবং ইস্ট্রজেন)
শুধু তাই নয় উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী - এই বায়োকেমিক্যাল রসূল যার মাধ্যমে আপনি লম্বা হন, এটি আপনার শরীরের হাড় বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এবং আপনার কোষ প্রয়োজনিও সেল গুলিকে দ্রুততর বিভক্ত করে। এটা 1920 এর মধ্যে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এবং এর উচ্চতা বৃদ্ধির উপকারিতা শুধুমাত্র সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। 
আপনি কি জানেন যে দ্রুত বড় হওয়া  শিশুদের হরমোন স্বাভাবিক বড় হওয়া শিশুদের থেকে খুব উচ্চ স্তরের আছে। তাই, এখানে আপনাদেরকে বলা হবে কিভাবে আপনি আপনার হরমোনকে সেই স্তরে নিয়ে যাবেন যা আপনার পরিপূর্ণ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
হরমোনের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি সংক্রান্ত মাত্রা পদ্ধতি খুব কার্যকর, বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত যে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ!
৮সহজ স্বাভাবিকভা উপায়ে উচ্চতা বৃদ্ধি 
১. এই বৃদ্ধি পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এই পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দ্বারা  মানবদেহে হরমোন বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বেআইনি যার কারনে একজন ডাক্তার কখনই আপনাকে এরকম কিছু প্রেস্ক্রাইব করবে না, এবং এটি খুবই ব্যায়বহুল যার কারনে আমিও আপনাকে সাজেশ করব না।
২. দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ায় অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীররের হাড় এর বৃদ্ধি ঘটায়, আরেকটা বেপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরু মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, এবং সেই প্রকিয়াজাতকরন দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প।
৩. নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম (ওজন উদ্ধরণ) হরমোন  (HGH) বৃদ্ধি করে।  এটি বৃদ্ধি সংক্রান্ত হরমোনের মাত্রা আরও উন্নত করার জন্য বহুল পরিচিত এবং পদ্ধতি খুবই কার্যকর. আর অতিরিক্ত পেশী আপনাকে আরো সাহয্য করবে আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হতে।
৪. তীব্র sprinting ব্যায়াম মানব বৃদ্ধির হরমোনে একটি বিস্ফোরণ ঘটায় এছাড়াও আপনার হরমোনকে আরও উন্নত করে।  আসলে, যে কোনো কঠিন শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই সেটা ২১বছর বয়স হওয়ার পর।
৫. Niacin supplementation :  Niacin একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন নামক ভিটামিন B3. একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ৫০০গ্রাম নিয়াসিন নেওয়া মানুষের থেকে সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি কম ঘটে।
৬.মানসিক চাপ কমানঃ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যা হচ্ছে আপনার  লম্বা বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাঁধা। যাতে আপনার  হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং করটিসল উত্পাদিত হয়। ভিটামিন C সম্পূরকসমূহ যা  করটিসল কমাতে জোর সহায়তা করে।
৮. ঘুমঃ  কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘমানো । এটি সবচেয়ে সহজ এবং অনেক কার্যকরী উপায়। সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ঘোমানো আপনার দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে।
তবে আপনাকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে ঃ
ড্রাগ এবং এলকোহল এই ২টিই আপনার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বড় বাঁধা। ধূমপান যেমনি সাস্থের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহের হরমোন গঠনও কমিয়ে ফেলে। ( জানি এ বেপারটা আপনাদের অনেকেরই ভাল লাগেনি। তবুও এটি সত্য)
তবে ১৮ বছরের পর যারা তাদের উচ্চতা বারানোর জন্য বিস্তারিত এখানে দেখে আসতে  পারেন। নেট এ সার্চ দিয়ে আরও অনেক ফলাফল পাবেন।
এবার আপনাদের লম্বা হওয়ার জন্য বায়মের কিছু স্টেপ দেখাব যেগুলো আপনি প্রতিদিন করলে মাত্র ৬ সপ্তাহের মাথায় আপনার উপকারিতা দেখতে পাবেন।

স্টেপ ১

স্টেপ ২


স্টেপ ৩

স্টেপ ৪

আপানাদের আরো সুবিদার জন্য এই ভিডিও লিঙ্কটি দেওয়া হল
আশা করি মুটামটি ভাবে সবাই বোঝতে এবং জানতে পেরেছেন। আর ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে ইউটিউব এর সার্চ দিলেই পেয়ে জাবেন।
ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পরে কেন??? আসুন জেনে নেই!!

পেঁয়াজ কাটলে চোখ  দিয়ে পানি পরে কেন???
পেঁয়াজ কাটলে আপনার আমার চোখ দিয়ে যেভাবে অনবরত পানি পরে যেন কত কি হয়ে গেছে!!পেঁয়াজ থাকে অ্যামিনো এসিড sulfoxides যা পেঁয়াজ কোষে sulfenic অ্যাসিড গঠন করে। উভয় এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড পেঁয়াজ কোষে  আলাদাভাবে রাখা হয়।আপনি যখন পেঁয়াজ কাটেন,
তখন এনজাইম এবং sulfenic অ্যাসিড মিক্সিং শুরু করে  এবং propanethiol S-oxide উত্পাদন শুরু করে,যা একটি উদ্বায়ী সালফার যৌগ এবং আপনার চোখের দিকে  যাওয়া আরম্ভ করে। যে গ্যাস নির্গত হয় তা আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করে এবং সালফিউরিক অ্যাসিড উত্পাদন শুরু করে। এই সালফিউরিক অ্যাসিড আপনার চোখের টিয়ার গ্ল্যান্ড কে আরো অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে আর চোখ দিয়ে পানি পর শুরু হয়। পেঁয়াজ মধ্যে যে সালফার যৌগ থাকে তার কারনে আপনার হাতে এবং হারি পাতিলে গন্ধ হয়।
অশ্রুজল এড়ানো উপায়
১> ফ্যান অফ রাখুন। ফ্যান অন থাকলে আপনার চোখে সহজেই গ্যাস যাইতে পারে যা আপনার চোখে পানি আনতে সাহায্য করে।
২>পেঁয়াজ  কাটার আগে refrigerating করে নিতে পারেন। refrigerating করলে এনজাইম এবংsulfenic অ্যাসিড মিশতে পারে না তাই propanethiol S-oxide উত্পাদন হয় না।
৩>এছাড়াও একটি ভাল উপায়  হল কাটার আগে পানিতে ডোবানো। পানিতে ডোবানো হলে  গ্যাস পানি শোষণ করে নেয়।
৪>রুট পর্যন্ত পেঁয়াজ কাটা এড়িয়ে চলুন।
৫>অশ্রুজল এড়ানো আরেকটি কার্যকর উপায় হল একটি মোমবাতি বা কাছাকাছি একটি বাতি আলো রাখা , এটা করলে পেঁয়াজ কাটার সময় যে গ্যাস তৈরি হয় তা চোখের দিকে না গিয়ে  মোমবাতি বা বাতির আলোর  দিকে যায়।

বানিয়ে নিন একটি প্রজেক্টর! কিঞ্চিত মজা পাবেন!

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সিনেমাহলে নিশ্চয়ই গেছেন। আর তা না গেলেও বর্তমানে কোথাও না কোথাও অবশ্যই প্রজেক্টর নামক বস্তুটি দেখেছেন। প্রজেক্টরের কাজ মুলত ইনপুটকে তীব্র আলোকমালায় রুপান্তরিত করে নিক্ষেপ করা। সেই আলোকমালা যখন কোন অবজেক্টে বাধা পায় তখন আমরা সেখানে আমাদের ইনপুটকৃত ইমেজটির প্রতিফলন দেখতে পাই।

প্রজেক্টর যেমন ইমেজকে বহুগুনে বর্ধিত করে তেমনি এর মুল্যও আমাদের বতমান বাজারে বহুগুনে বর্ধিত। মানসম্মত একটি প্রজেক্টর বগলদাবা করতে হলে আপনাকে গুনতে হবে কমকরে হলেও পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাই বলে কি আমরা বড়পর্দায় কোন কিছু দেখার স্বাদ পেতে পারিনা? অবশ্যই। যদিও ব্যাপারটি অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো তবুও চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি?

যা যা লাগবে-

১। একটি ব্যাডমিন্টন এর কর্কের খালি প্যাকেট।

২। ভালো মানের একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস।
৩। সাদা পর্দা (সাদা ওয়াল বা সাদা আর্ট পেপার টাঙ্গিয়ে নিন)
৪। একটি মাল্টিমিডিয়া মোবাইল সেট। (স্ক্রীন যত বড়, উজ্জল এবং বেশি রেজুলেশন হবে ছবি ততই স্পষ্ট হবে)

কাজের ধাপ-

১। প্রথমে কর্কের বক্সটি নিচের ছবির মতো করে কাটুন। তার আগে আপনার মোবাইলটির প্রস্থ মেপে নিন। এবং সেই অনুযায়ী কাটতে পারলে ভালো।
২। ম্যাগনিফাইং গ্লাসটা এই ভাবে বক্সের মাথায় সেট করুন। ম্যাগনিফাইং গ্লাস যত বড় এবং উন্নত হবে আপনার ছবি তত ভালো হবে।
৩। এবার আপনার পছন্দের একটি গান মোবাইলে চালু করে সেটাকে ফুলস্ক্রীন করুন। তার আগে যদি আপনার সেটে ডিসপ্লে লাইট এডজাষ্ট করা যায় তবে সেটাকে যথা সম্ভব উজ্জল করে নিন।
৪। এখন ছবিতে দেখানো মতো মোবাইলটি বক্সের মধ্যে সেট করুন।


৫। সাদা পর্দা তৈরি করেছেনতো? নাহলে সেটার ব্যবস্থা করুন।
৬। আপনাকে আর আলোতে রাখা সম্ভব নয়। ঘরের দরজা জানালা লাগিয়ে লাইট অফ করে ঘরকে একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার করে ফেলুন।
৭। এবার রাইফেল স্টাইলে আপনার যন্ত্রপাতি সাদা পর্দার দিকে তাক করুন। আপনার মোবাইলে যে মুভি চলছে তার উল্টো প্রতিবিম্ব পর্দায় দেখতে পাবেন।
৮। যদি ঝাপসা আসে তবে মোবাইলটি লেন্স থেকে কাছে দুরে করে এডজাষ্ট করে নিন।


এবার উপভোগ করুন ঘোলের থুড়ি প্রজেক্টরের স্বাদ।
* আমি আমার ল্যাপটপ দিয়ে এই দুষ্কর্ম সাধনের অপচেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ম্যাগনিফাইং গ্লাস ছোট হওয়ায় সেটা সফলতার মুখ দর্শন করেনি। তবে ছোট পর্দা করে গান বা টিভি চালিয়ে ছাদের দিকে তাক করে চিতপটাং হয়ে শুয়ে মাঝে মাঝে উপভোগ করি।
* চেষ্টায় আছি মোবাইলের স্ক্রীনে অস্ত্রপচার করে সেটার পিছনে লাইট লাগিয়ে কোনভাবে জোরাল ফ্লাশ করা যায় কিনা। কিন্তু সামনে পরীক্ষা। গবেষনার পিছনে সময় দেয়া যাচ্ছেনা। সফল হলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
* আবারোও বলছি ম্যাগনিফাইং গ্লাস এবং আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে যত উন্নত হবে রেজাল্ট ততই ভালো পাবেন।
* এত ঝামেলা না করতে চাইলে অপেক্ষায় থাকুন কখন ইন্ডিয়ার Spice ফোনটি আমাদের বাজারে আসে। বিশ্বকাপ চলাকালীন সবাই নিশ্চয়ই দেখেছেন ফোনটার এ্যাড। আমিও ওই অপেক্ষাতেই আছি।


educarebd24 educarebd24