কেমন আছেন । আশা করি ভালই আছেন। আমিও আছি একরকম।
ঘুর্নিঝড়ের কথা শুনলেই আর কারোর কিছুর না হোক আমরা বাঙালীরা একটু আঁৎকে ই উঠি বটে। এবং এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থায় যেখানে দ্রবমুল্য যেন লাগাম ছাড়া ঘোড়া সেখানে একটি ঘুর্নিঝড় আমাদের আপাত সুখটুকু ও এলোমেলো করে দিতে পারে।
শুধু আমার দেশ বলেই নয় পৃথিবীর বড় বড় দেশ, প্রযুক্তি যাদের ডাল ভাত হয়ে গিয়ছে তাদের ও মাঝে মাঝে ভালোই নাস্তা নাবুদ করে ঘুর্নিঝড়। এই ঘুর্নিঝড় কে কেউই নিজেদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাইবে না।
শুধু আমার দেশ বলেই নয় পৃথিবীর বড় বড় দেশ, প্রযুক্তি যাদের ডাল ভাত হয়ে গিয়ছে তাদের ও মাঝে মাঝে ভালোই নাস্তা নাবুদ করে ঘুর্নিঝড়। এই ঘুর্নিঝড় কে কেউই নিজেদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাইবে না।
কিন্তু কানাডিয়ান ইজ্ঞিনিয়ার লুইস মিকাওড এর দৃড় বিস্বাস ঘুর্নিঝড় কে ও সে একদিন মানুষের উপকারে ব্যবহার করতে সমর্থ হবেন।
লুইস একজন অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম ইজ্ঞিনিয়ার যিনি কনভনেশনাল পাওয়ারপ্ল্যান্টের অপচয় হয়ে যাওয়া তাপ কে কাজে লাগিয়ে একটি এ্যামসফিরিক ভর্টেক্স ইজ্ঞিন বানানোর প্রস্তাব করেছেন। এটি ই হবে ছোটখাটো একটি ঘুর্নিঝড় (নিয়ন্ত্রিত) যা টার্বাইনের ঘুর্ণনে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করবে।
তার মতে " আমি এই ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত যে আমরা কোন এক সময় এই ঘুর্নিঝড় কে নিয়ন্ত্রন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হব। এবং সোলার পাওয়ারের তাপ থেকে সোলার জেনারেটেড ঘুর্নিঝড় তৈরী করা সম্ভব হবে।"
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে তার সর্বশেষ ডিজাইনটি হল ২০০X১০০ মিটারের একটি ছাদ বিহীন একটি গোলাকার ওয়াল। ওয়েষ্ট হিট বহনকারী বাতাস কে যখন এর ভেতর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত করা হবে তখন এই গোলাকার দেয়ালের গা ঘেষে সেই বাতাস যখন প্রবল বেগে ঘুরতে থাকবে তখন তা একটি আসল ঘুর্নিঝড়ের রুপ নেবে।
মিকাওডের হিসাব অনুযায়ী এই ঘুর্নিঝড় সাইজ হবে 50 মিটার (ডায়ামিটার) এবং এটি ৫০ থেকে ৫০০ মেগা ওয়াটবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে।
১৯৭৫ সালে তার মাথায় প্রথম এই আইডিয়া আসে এবং সদিন থেকে সে এই প্রযেক্টের সাথে জড়িত।এই প্রজেক্ট সফল হোক বা না হোক আমি এই মহৎ উদ্যোগের জন্য এডুকেয়ারবিডি পক্ষ থেকে এই ভদ্রলোক এবং তার সকল সহকারীদের ধন্যবাদ জানাই এবং দোয়া করি যেন তারা এই প্রজেক্টকে বাস্তবে রুপ দিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
সবাই ভাল থাকবেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, এই পোস্ট পড়ার পর আপনার ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে মন্তব্য প্রদান করুন। যা ব্লগিং চালিয়ে যেতে অনেক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জাগাবে। আপনার একটি মন্তব্যই এডুকেয়ারবিডি২৪ এর নিকট অনেক মূল্যবান। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। --- এডুকেয়ারবিডি২৪