বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২
Unknown
গ্রাফিক্স কার্ড বা ভিডিও কার্ডের সাথে আমরা কমবেশী সকলেই পরিচিত। কম্পিউটারে হাই ডেফিনেশন আউটপুট পেতে গ্রাফিক্স কার্ডের বিকল্প নেই। “ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল” সাধারণত এই দুই ধরনের গ্রাফিক্সকার্ড হয়ে থাকে।
নিচে গ্রাফিক্স কার্ড কেনার সময় বিশেষত যেসব বিষয়ে লক্ষ রাখা প্রয়জন, সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেয়া হল।
#গ্রাফিক্স কার্ড কেনার পূর্বে যা যা দেখে নেবেনঃ
পিসিআই ভার্সন : আপনার মাদারবোর্ড এর স্লট কোনটি সেটি দেখে কিনুন।
ট্রানজিস্টর সংখ্যা : কার্ডে যত বেশি ট্রানজিস্টর, নয়েজ লেভেল তত কম। ফলে ভিডিও ভালোভাবে ফিল্টার হবে। বিষটির প্রতি লক্ষ রাখুন।
বাস স্পীড : বাস হল- প্রসেসর একবারে কতটুকু ডাটা নিয়ে কাজ করবে তার পরিমান। বাস বেশি হলে খুব দ্রুত আউটপুট পাবেন। কিন্তু বাস খুব বেশি হলে আবার পাওয়ার খরচের পরিমানটাও বেড়ে যাবে। উপরন্তু আপনার মনিটর ছোট হলে বাস অব্যাবহৃত থেকে যাবে।
ক্লক স্পীড : এটা যত ভালো এবং বেশি হবে তত ভাল মানের performance পাবেন।
মেমরি : আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী কিনুন।
মেমরি টাইপ : DDR, DDR2, GDDR3… দেখে নিন। যত ভালো হবে, তত ভালো পারফরমেন্স পাবেন। অবশ্য GDDR5 এর দাম তুলনামূলক বেশি। আপনার মাদারবোর্ড এর RAM এর সাথে এটির কোন সম্পর্ক নেই।
সফটওয়্যার সাপোর্ট: আপনি যে অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করেন, সেই সিস্টেমে কার্ড এর ড্রাইভার পাবেন কিনা তা দেখে নিন।
ডিরেক্ট এক্স : ডিরেক্ট এক্স হল মাইক্রোসফট এর অনন্য একটি সংযোজন। নতুন নতুন হার্ডওয়্যার, ভিডিও এক্সিলারেশান, সর্বপরি নতুন গেমস চালানোর জন্য এটি অপরিহার্য। তাই গ্রাফিক্স কার্ড নতুন ভার্সন এর ডিরেক্ট এক্স সাপোর্ট করে কিনা দেখে নিন।
ম্যাক্স আউটপুট : বর্তমানে প্রায় সব কার্ডের আউটপুট ১৬০০ X ১২০০ থেকে ২৫৬০ X ১৬০০ এর মধ্যে। তাই এনিয়ে আপাতত চিন্তা না’করলেও চলবে।
পাওয়ার : কার্ডটি কত ওয়াট সাপ্লাইয়ের সেটি দেখুন। প্রয়োজনীয় পাওয়ার দিতে না পারলে কিন্তু কাজ করতে সমস্যা হতে পারে। সাধারনত ৪০০ থেকে ৮০০ ওয়াট দরকার হয়।
পিক্সেল শেডার : ভিন্ন মাত্রার পিক্সেল এবং আলোর তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পিক্সেল শেডার প্রয়োজন। আপনার গ্রাফিক্স কার্ড কত সাপোর্ট করে তা দেখে নিন। বর্তমানে এর ভার্সন ৫ বাজারে রয়েছে।
মাল্টি আউটপুট : আপনি যদি একসাথে দুই বা ততোধিক মনিটরে সংযোগ দিতে চান সেক্ষেত্রে এটি কাজে আসবে। খেয়াল করে দেখবেন যে প্রায় সব কার্ডেই দুই বা তিনের বেশি পোর্ট থাকে। এগুলো দেওয়া হয় যেন একই সাথে সকল মনিটরে দেখা সম্ভব হয়।
মাল্টি-জিপিইউ : একাধিক কার্ড লাগাতে চাইলে এটার দিকে লক্ষ রাখুন। পাশাপাশি মাল্টি-জিপিইউ সাপোর্ট করে এরকম মাদারবোর্ডেরও প্রয়োজন হবে।
অ্যান্টি-অ্যালাইনিং : এটা আপনার ছবি ফেটে যাওয়া বা ঘোলাটে ভাব দূর করতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন গেম ও অ্যাপ চালাতে এটা খুবই প্রয়োজন বিশেষ করে লো রেজ্যুলেশনের গেমের জন্য।
রিফ্রেশ রেট: আউটপুট কত রেটে পাবেন, অর্থাৎ মনিটরে কত হার্টজে ভিডিও আসবে তা দেখে নিন। এর ডিফল্ট মান ৬০। আপনার মনিটরের জন্য কোনটি দরকার সেটি দেখুন।
এনার্জি সেভিং: আপনার চিপটি এনার্জি সাশ্রয়ী কি’না দেখে কিনুন।
#গ্রাফিক্স কার্ড ভালো রাখার উপায়:
ড্রাইভার আপডেট রাখুন।
পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই দিন।
ধুলোবালি জনিত সমস্যা এড়াতে কিছুদিন পর পর মাদারবোর্ড থেকে কার্ড খুলে স্লটটি পরিষ্কার করুন।
নিয়মিত তাপমাত্রা মনিটর করুন। বেশি গরম হয়ে গেলে পিসি অফ করে ঠান্ডা হতে দিন। ফ্যান কন্ট্রোল করতে সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে পারেন।
চাইলে কেসিং খুলেও রাখতে পারেন। তবে ইন্টার্রনাল যন্ত্রাংশে বাইরের আঘাত লাগে এমন সম্ভাবনা থাকলে কেচিং বন্ধ রাখাই ভালো। তবে লক্ষ রাখবেন যেন কুলিং সিষ্টেম ঠিকমত কাজ করে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আশাকরি লেখাটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
আপনার জন্য আরও পোস্ট :
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, এই পোস্ট পড়ার পর আপনার ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে মন্তব্য প্রদান করুন। যা ব্লগিং চালিয়ে যেতে অনেক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জাগাবে। আপনার একটি মন্তব্যই এডুকেয়ারবিডি২৪ এর নিকট অনেক মূল্যবান। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। --- এডুকেয়ারবিডি২৪