সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

ফেসবুক সৃষ্টির ইতিহাস ও অনেক অজানা তথ্য

ফেসবুক ডট কম। কে না চিনে? যে ফেসবুক চিনে না সে কোনদিন এই লেখা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেনা বলে আমার ধারনা।
যাই হোক, ফেসবুক হলো সোশিয়াল নেটওয়ার্ক জায়ান্ট। নয় গুগল পেজ র‍্যাঙ্ক নিয়ে এলেক্সা ডট কমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সাইট। মাঝ খান দিয়ে একবার অনেক দিন বিশ্বের এক নাম্বার সাইট ছিলো।



ফেসবুক প্রথম পাতা
 ফেবুকের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে আজকে একটু গভীরভাবে জানবো।

১৯৮৪ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম নেওয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। ২০০৪ হলো ফেবুকের প্রতিষ্ঠা সাল। আমরা তার একটু আগে ফিরে যাবো।

 মার্ক জুকারবার্গ ও ফেসবুক
২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ফেসম্যাশ ডট কম নামে একটি সাইট প্রতিষ্ঠা করে। এই ফেসম্যাশ সাইটের কাজ খুব একটা ভালো কিছু ছিলোনা। এই সাইটে দুইটা ছবি পাশাপাশি রাখা হত। এই দুই ছবি থেকে ভিজিটররা কে “হট” আর কে “হট না/নট” তা তুলনা করতো।


এই রকমঃ
 
মার্ক জুকারবার্গ খুব ভালো কম্পিউটার প্রোগ্রামার স্কুল থেকেই ছিলেন, মানে আছেন এখনো। পরে তিনি হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। ফেসম্যাশ সেই সময়কার কথা। হার্ভার্ড কলেজের ডাটাবেজ হ্যাক করে স্টুডেন্টদের ছবি নিয়ে তা ফেসম্যাশে ব্যবহার করে ভিজিটরদের “হট” অথবা “নট” বের করার সুযোগ দেন।
পরে কলেজের স্টুডেন্টরা এই সাইট বন্ধ করতে তাকে বাধ্য করে। 





 এ ব্যপারে মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলো;
“ একটা ব্যপার পরিষ্কার এই সাইট বানানোর জন্য আমি একটা জার্ক! যাই হোক, কেউ না কেউ এটা এমনেই করতো। ”
হাউজসিস্টেম নামে হার্ভার্ড কলেজে একটা ওয়েব সার্ভিস ছিলো। এরপর ঐ বছরই  “দি ফেসবুক” কনসেপ্ট আসে এই হাউজ সিস্টেমের একটা নতুন ফিচার হিসেবে। ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এরন গ্রীন্সপ্যান নামে এক স্টুডেন্ট আনেন এটি।
জুকারবার্গ পরে হার্ভার্ড কানেকশন নামে একটা সাইটে তার কিছু বন্ধুর ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) জন্য কাজ করা শুরু করেন।
মার্ক জুকারবার্গ  ২০০৪ সালের ১১ই জানুয়ারী দিফেসবুক ডট কম ডোমেইন কিনে নেন।  দি ফেসবুক ডট কমের চেহারা অনেকটা এরকমঃ
এই সেই... দি ফেসবুক
দি ফেসবুক ডট কম চালুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুকারবার্গ ১২০০ জন স্টুডেন্ট এর রেজিস্ট্রেশন দেখতে পান। এখানে তার সাথে কাজ করেন তার রুমমেট এডুয়ারড সারভেরিন,আন্ড্রো ম্যাক্কোলাম, ডাস্টিন মস্কভিটয।  মূলত হার্ভার্ড কানেশন ডট কমে কাজ করার সময়কার ফিচার এই দি ফেসবুক ডট কম। তাই জুকারবার্গ এর সেই বন্ধুরা ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) ছয় দিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির অভিযোগ আনে।
কিন্তু সে দিকে দেখে কে! ফেসবুকের ইউজার সংখ্যা খুব দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। ২ মাসের মাথায় হার্ভার্ড ছড়াও আরো বেশ কিছু কলেজে দি ফেসবুক পরিচিতি পায়।  জুন মাসের মধ্যে সাইটে প্রায় দেড় লাখ ( ১৫০,০০০ ) ইউজার প্রোফাইল খুলেছিলো। দি ফেসবুকের সম্ভাবনা দেখে ওই মাসেই পেপাল এর ফাউন্ডার ফেসবুকের ১০ দশমিক ২ পারসেন্ট এর শেয়ার কিনে নেয় পাঁচ লাখ ইউ এস ডলারে।
কিন্তু সেপ্টেম্বার মাসে এসে জেগে উঠে সেই পুরনো সমস্যা। ক্যামেরুন, টেলর ও ডিভিয়া মামলা করে বসে দি ফেসবুকের নামে।  যদিও সেই বছর ডিসেম্বারেই ১ মিলিয়ন ইউজার হয়ে যায় ফেসবুকে।
২০০৫ এর মে মাসে এক্সেল পারটনারস ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে দি ফেসবুক ডট কমে।
২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে দি ফেসবুক ডট কম কিনে নেয় ফেসবুক ডটকম ডোমেইনটি। তবে সহজে নয়, এতে তাদের গুনতে হয়েছে দুই লাখ মার্কিন ডলার।
২০০৬ সালে দেখা যায় গতবছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ফেসবুক সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলারের উপরে লস করে। এরপর ২০০৬ এর সেপ্টেম্বারে ১৩ বছর বয়সের উপরে সবার জন্য ফেসবুক ওপেন করে দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ফেসবুকে আরো বিশাল অঙ্কের দুটি ইনভেস্টমেন্ট দেখা যায়। হং কং এর এক লোক ষাট মিলিয়ন ডলার ও মাইক্রোসফট ২৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেসবুকের এক দশমিক ছয় পারসেন্ট কিনে নেয়।
২০০৮ এ এসে ফেসবুক আইনগত সমস্যাগুলো সমাধান করে এবং প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানীতে রুপ নেয়। ২০০৯ এসে দেখা যায় মাই স্পেস ডট কমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ফেসবুক, এবং তারা ফেসবুক থেকে আয় শুরু করেছে।
এরপর ফেসবুককে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১২ সালে দেখা যায় মার্ক জুকারবার্গ এর সম্পত্তির পরিমান প্রায় সাড়ে নয় বিলিয়ন ডলার। জুকারবার্গ নিজ যোগ্যতায় হওয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ বিলিনিয়র।
২০১১ তে এসে ফেসবুকে ১০০ বিলিয়নের বেশি ছবি আপলোড করেছে ইউজাররা। এরপর ওই বছরই ফেসবুক ভিডিও কল এর জন্য স্কাইপ ও হিরুকুর সাথে চুক্তি করে ফেসবুক এর এপ্স অন্য প্ল্যাটফর্ম এ নিয়ে কাজ করানোর জন্য।  ২০১১ এর শেষ দিকে ফেসবুকে যোগ হয় টাইমলাইন ফিচার।
অক্টোবর ২০১২ তে ফেসবুকে ১ বিলিয়ন ইউজার রেজিস্ট্রেশন করে। এবং ২০১২ তেই মার্ক জুকারবার্গ বিয়ে করেন প্রিসিলা চ্যানকে। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসোন অব দি ইয়ার হন ফেসবুকের জনক মার্ক জুকারবার্গ!










বাংলাসংবাদ২৪


লবণ কম খান, দীর্ঘজীবী হোন

প্রতিদিন যে পরিমাণ লবণ খান, তা কিছুটা কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও নানা ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এতে আয়ু বেড়ে যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এদকল বিজ্ঞানীর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকী হাইপারটেনশন গত সোমবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মার্কিন নাগরিক প্রতিদিন লবণের এক চা-চামচের কিছু পরিমাণ কম খেলে এক দশকের মধ্যে তা কমে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এতে দুই লাখ ৮০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ মানুষের উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে। তাঁরা দীর্ঘজীবী হবেন।

ভোক্তা পর্যবেক্ষক সংগঠন সেন্টার ফর সায়েন্স ইন দ্য পাবলিক ইন্টারেস্টের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জ্যাকবসন বলেন, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় সোডিয়াম খাওয়া কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তিনি জানান, গবেষকেরা তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে পৃথক পদ্ধতি অনুসরণ করে গবেষণা চালিয়ে একই ফল পেয়েছেন।
একজন মার্কিন নাগরিক দিনে যে পরিমাণ খাবার খান তাতে গড়ে তিন হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম লবণ থাকে।

বাংলাসংবাদ২৪
educarebd24 educarebd24 educarebd24