সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

কী বোর্ডের ফাংশন(F1, F2……) কী(key) তো বহুত দেখলেন, এইবার ব্যবহার করা শিখুন।

আস্সালামুআলাইকুম। আজকে বহুদিন পরে আমি পোস্ট করতেছি। আগেই সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ এই লেখাটা মৌলিক লেখা নয়। এক অর্থে কপি-পেস্ট লেখাই বলা চলে। তবে এক জায়গা থেকে লেখাটা দেখে দেখে আমাকেই টাইপ করতে হয়েছে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য জাতীয় একটি পত্রিকার সাথে প্রকাশিত একটি ক্রোড়পত্রে আমি এই লেখাটা পেয়েছি। গতকালই একজনের বাসায় এইটা আমার চোখে পড়ে। যেভাবে আমি এই তথ্য গুলো মিস করেছি হয়ত অনেকেই আছেন আমার মতই মিস করেছেন। তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট।
বিষয়টা সম্পর্কে একটু ধারণা দিই। আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের কম্পিউটারের কি-বোর্ডে F1-F12 পর্যন্ত মোট ১২ টি ফাংশনাল বাটন আছে। এই বাটনগুলোর কিছু কিছু কাজ আমরা জানি। তবে সবগুলো জানা লোকের সংখ্যা খুবই কম। আমি উপকৃত হয়েছি। তাই আপনাদের জন্য কপি-পেস্ট করে দিচ্ছি। আর একটা কথা এর জন্য আমাকে 

কোন ধন্যবাদ দেবার প্রয়োজন নেই। কারণ লেখাটা আমার না। চলুন শুরু করা যাক।
এই ফাংশন কি উইন্ডোজের সব জায়গায় হেল্প মেনু হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনি যদি কোনো প্রোগ্রামে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ কোনো অংশের কাজ না পারেন বা কোনো সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে F1 চাপলে সেই প্রোগ্রামের সাহায্য পর্দায় চালু হয়ে যাবে। হেল্প দেখে সেই বিষয় শিখে নিতে পারবেন। SHIFT + F1 চাপলে সংবেদনশীল সাহায্য সেবা বিন্যাস আকারে প্রকাশ পাবে। CTRL + ALT+ F1 চাপলে মাইক্রোসফট সিস্টেম তথ্য দেখা যাবে।
এটি ব্যবহার করে যেকোনো ফাইল, ফোল্ডারের নাম বদলানো (রিনেম) যায়। যেকোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে F2 চাপলে সেই ফোল্ডারের নাম বদলের সুযোগ পাবেন। ওয়ার্ডে এই ফাংশন কির কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহার রয়েছে। ALT + CTRL +F2 চাপলে পুরোনো ডকুমেন্ট ফাইল খোলা যাবে। CTRL + F2 চেপে প্রিন্ট নমুনা (প্রিভিউ) দেখা যাবে। ALT + SHIFT  + F2 চাপলে ফাইল সেভ করা যাবে। SHIFT + F2 চেপে লেখা কপি করা যাবে। F2 কি চেপে কোনো কোনো মাদারবোর্ডের বায়োস সেটাপে এ ঢোকা যায়।
কম্পিউটারে কাজ করার সময় কোনো তথ্য খুঁজে নিতে হলে F3 চাপতে হবে। এমএস-ডসের নির্দেশনা আবার দেখানোর কাজে F3 ব্যবহার হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা নির্বাচন করে SHIFT + F3 কি চাপলে নির্বাচিত অংশের লেখা ছোট হাতের থেকে বড় হাতের লেখায় পরিণত হবে।
 
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার চালু করে F4 চাপলে ওয়েব ঠিকানা লেখার জায়গায় ‘হিস্ট্রি’ (সাম্প্রতিক সময়ে দেখা ওয়েবসাইটের তালিকা) দেখাবে। ALT + F4 চাপলে উইন্ডোজে চালু থাকা যেকোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে F4 কি চাপলে সর্বশেষ কাজ পুনরায় হবে (আনডু)। SHIFT + F4 চাপলে Find or Go To কাজ করবে। CTRL + F4 চাপলে চালু থাকা ডকুমেন্টসের উইন্ডো বন্ধ হবে।
 
এটি চাপলে চালু থাকা উইন্ডোজ রিফ্রেশ হবে। ইন্টারনেট দেখার সফটওয়্যারে F5 চাপলে ওয়েবসাইটের ওই পাতা আবার আসবে(লোড হবে)। পাওয়ার পয়েন্টে F5  চেপে স্লাইডশো দেখা যায়। ওয়ার্ডে F5 কি চাপলে Find and Replace window চালু হবে। SHIFT + F5 চেপে আগের রিভিশনে ফিরে যাওয়া যায়। CTRL + SHIFT + F5 চাপলে Bookmarks  সম্পাদন করা যাবে। ALT + F5 চাপলে ওয়ার্ড প্রোগ্রাম বন্ধ হবে।
 
এই কি চাপলে কারসর ইন্টারনেট ব্রাইজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেস বার)চলে যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে CTRL + F6 কি চাপলে চালু থাকা সব ডকুমেন্টকে পর্যায়ক্রমে দেখাবে। CTRL + SHIFT + F6 চাপলে আরেকটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট চালু হবে।
 
উইন্ডোজে এই কির খুব বেশি কাজ নেই। তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে SHIFT + F7 কি চাপলে এর অভিধান থেকে সমার্থক শব্দ খুঁজে নেওয়া যাবে।
 
উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময় এই কি চাপলে উইন্ডোজ সেফ মুডে কাজ শুরু করবে। ওয়ার্ডে SHIFT + F8 চাপলে নির্বাচিত অংশকে সংকোচন করা যায়। ALT + F8 চাপলে ম্যাক্রো চালু হবে।
 
এটি চাপলে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের আওয়াজ (ভলিউম) বাড়ানো যায়। ওয়ার্ডে CTRL + F9 কি চাপলে ফাঁকা ক্ষেত্র তৈরি হবে।
 
এটি চাপলে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের ভলিউম কমানো যায়। F10 চাপলে অধিকাংশ প্রোগ্রামের মেনু বার দেখায়। যেকোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে SHIFT + F10 চাপলে শর্টকাট মেনু দেখাবে।
 
যেকোনো ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজারে F11 চাপলে সেটি পর্দাজুড়ে (ফুলস্ক্রিন) দেখাবে। মাইক্রোসফট এক্সেলে SHIFT + F11 চাপলে নতুন স্প্রেডশিট খোলা যাবে। CTRL + F11 চাপলে নতুন ম্যাক্রো ওয়ার্ডবুকে যোগ হবে।
 
অভ্র বাংলা কি-বোর্ড বাংলা/ইংরেজি লেখা যাবে F12 কি চেপে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে CTRL + SHIFT + F12 কি চেপে যেকোনো ডকুমেন্টস প্রিন্ট করা যাবে। SHIFT + F12 কি চাপলে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট সেভ করা যাবে।

গ্রামীণফোন 3G এবং সাধারণ জিজ্ঞাসা

3G কি?
3G হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের ওয়ারলেস টেকনোলজি যা আপনাকে দেবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া সার্ভিসেস ও ভিডিও কল করার সুবিধা। সব মিলিয়ে 3G আপনার মোবাইল ইন্টারনেট এক্সপেরিয়েন্সকে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দিবে।
3G এর সুবিধাগুলো কী কী?
চলার পথে 3G আপনাকে দিবে দ্রুত গতির ইন্টারনেট এবং ডাটা সার্ভিস। 3G এর মাধ্যমে আপনি ভিডিও কল করতে পারবেন এবং এমন সকল মাল্টিমিডিয়া সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন যা কিনা 2G তে প্রযোজ্য নয়। 3G এর মাধ্যমে আপনি যা করতে পারবেন:

  • মাল্টিমিডিয়া স্ট্রিমিং এবং ডাউনলোড
  • দ্রুত গতির মোবাইল ব্রডব্যান্ড
  • ভিডিও কল
  • লাইভ টিভি
  • বড় ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট দ্রুত ডাউনলোড সুবিধা
  • ভিডিও কল কনফারেন্স
3G কি 2G থেকে আলাদা?
হ্যাঁ, এটি 2G প্রযুক্তি থেকে আলাদা। সর্বাধুনিক হাই স্পিড প্যাকেট অ্যাকসেস (HSPA) টেকনোলজির উপর নির্ভর করে তৈরী হবে গ্রামীণফোনের 3G নেটওয়ার্ক। গ্রামীণফোনের 3G নেটওয়ার্ক আপনাকে দেবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া সার্ভিসেস ও ভিডিও কল সহ 3G সার্ভিসের সুবিধা।
WCDMA ও HSPA এর মধ্যে পার্থক্য কী?
WCDMA ও HSPA উভয়ই দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি। তবে HSPA হলো WCDMA এর পরবর্তী প্রজন্ম।
  • WCDMA এমন একটি 3G টেকনোলজি যেটা শুধুমাত্র কম 3G স্পিড সাপোর্ট করে যা ভাল কাভারেজ এলাকায় সর্বোচ্চ ৩৮৪ Kbps। WCDMA বেশ খারাপ 3G এক্সপেরিয়েন্স দেয় HSPA ডিভাইস এর 3G এক্সপেরিয়েন্সের তুলনায়।
  • আমরা গ্রাহকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি সেরা 3G এক্সপেরিয়েন্স পাওয়ার জন্য তারা যেন HSPA- তে তাদের ডিভাইস আপগ্রেড করেন।
  • WCDMA সর্বোচ্চ ৩৮৪ kbps স্পীড দিতে সক্ষম। অপরপক্ষে, HSPA ২১.১ mbps (থিওরেটিকাল) স্পিডি দিতে সক্ষম।
3G হাই স্পিড ডাটার জন্য পূর্বশর্ত কী?
3G হাই স্পিড ডাটার জন্য ৩টি পূর্বশর্ত:
(১) আপনার 3G এনাবল্ড ডিভাইস থাকতে হবে
(২) আপনাকে 3G নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে
(৩) 3G কাভারেজ এরিয়ার মধ্যে থাকতে হবে
3G সামঞ্জস্যপূর্ণ মোবাইল হ্যান্ডসেট অথবা ডঙ্গল এ 3G ভ্যালু প্যাক ব্যবহার করে 3G নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় এমন এলাকায় একজন গ্রাহক 3G এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন।

সার্ভিস সম্পর্কিত

সার্ভিসের জন্য কি আলাদা সিম লাগবে?
না, আপনার বর্তমান সিমটিই চমৎকার কাজ করবে যদি আপনার ফোনটি 3G সমর্থিত হয় এবং জিপি 3G নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকে।
3G সার্ভিস কি প্রিপেইড এবং পোষ্টপেইড উভয়টাতেই কাজ করে?
হ্যাঁ, জিপি 3G সার্ভিস প্রিপেইড এবং পোষ্টপেইড উভয়টাতেই কাজ করে।
থ্রিজি ভিডিও কল করার সময় কতটুকু ডাটা খরচ হবে?
গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্কে থ্রিজি ভিডিও কল ডাটা চ্যানেল ব্যবহার না করে বরং ভয়েস চ্যানেল ব্যবহার করবে বিধায় আপনার ডাটা খরচ হওয়ার বদলে প্রতি মিনিটের কলরেটের সাথে আপনার ব্যবহৃত ভিডিও কলের মিনিট গুণ করে বিল হিসেব করা হবে। চালু করার সময় ভিডিও কলরেট সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে।
উপযুক্ত হ্যান্ডসেট এবং জিপি 3G নেটওয়ার্ক যুক্ত থাকা সত্ত্বেও ভিডিও কল করা না গেলে কি করা উচিত?
ভিডিও কল করার জন্য উভয়েরই ভিডিও কল সমর্থিত 3G ফোন এবং 3G নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামুলক। তাই, এই পরিস্থিতিতে, আপনি যাকে ভিডিও কল করতে চাচ্ছেন তার 3G সমর্থিত ফোন এবং সে 3G নেটওয়ার্কে সংযুক্ত আছে কি না তা চেক করে নিন । সব শর্ত পূরণ হওয়ার পরও যদি ভিডিও কল করা না যায়, তবে গ্রাহককে আমাদের জিপি কাষ্টমার কেয়ারে ফোন করতে বলা হচ্ছে।
3G এর জন্য কোন ধরনের প্যাকেজ জিপি অফার করছে?
বিস্তারিত তথ্যের দেখুন http://www.grameenphone.com/products-and-services/gp-3g/3g-packages লিঙ্কে।
একবার 3G বেছে নিলে কি 2G প্ল্যান বাতিল হয়ে যাবে? 3G তে যুক্ত হওয়ার পর 2G তে ফিরে আসতে চাইলে কি করতে হবে?
না। জিপি 3G ডাটা প্ল্যান 2G তেও ব্যবহার করা যাবে। এমনকি 3G চালু করার পর 2G ডাটা প্যাক চালু করে 2G নেটওয়ার্কের ডাটা সার্ভিস উপভোগ করতে পারেন। যেমনঃ জিপি 2G ১জিবি ডাটা প্যাক (৩০০ টাকা) 2G স্পিডে 3G নেটওয়ার্কেও কাজ করবে।
ডাটা ডাউনলোড, আপলোড নাকি উভয়ের জন্যই ডাটা ইউসেজ হিসাব করা হয়?
ডাউনলোড ও আপলোড উভয়ের জন্যই ডাটা ইউসেজ হিসাব করা হয়।
3G কাভারেজ থেকে চলে গেলে কি ঘটবে?
যখন আপনি 3G কাভারেজ থেকে চলে যাবেন, তখন হ্যান্ডসেট কনফিগারেশন এবং বেস স্টেশনের সেবা প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে আপনাকে GPRS অথবা EDGE তে ট্রান্সফার করা হবে।
3G কাভারেজ থেকে GPRS কাভারেজে চলে গেলে ডাটা সেশনে কি পরিবর্তন ঘটবে?
চলতি ডাটা সেশনে কোন বিঘ্ন ঘটবে না কিন্তু GPRS বা EDGE –এ কিছুটা ধীর গতির ডাটা পেতে পারেন।
3G প্যাকেজ কিভাবে চালু করা যায়?
আপনি সবগুলো প্যাকেজ SMS, USSD, ই-কেয়ার, মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে অথবা আমাদের কাষ্টমার সার্ভিসের সাপোর্ট নিয়ে চালু করতে পারবেন।
কিভাবে 3G ব্যালেন্স চেক করা যায়?
ভলিউম বেসড প্যাকেজে অবশিষ্ট ব্যালেন্স চেক করতে *500*60# এবং সকল আনলিমিটেড ও স্মার্ট প্ল্যানের ব্যবহৃত ভলিউম জানতে *500*61# ডায়াল করতে হবে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়নের পর অব্যবহৃত ডাটা ভলিউম কি পরবর্তী মাসের সাথে যোগ হবে?
হ্যাঁ, শুধুমাত্র প্রিপেইড গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ভলিউম পরবর্তী মাসে ফরোয়ার্ড করা হবে। কিন্তু পোষ্টপেইড সংযোগে নির্ধারিত মেয়াদেই ভলিউম ব্যবহার করতে হবে।
সব প্যাকেজেই কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়নের ক্ষেত্রে ON/OFF ফিচার আছে?
হ্যাঁ, সব প্যাকেজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়নের ক্ষেত্রে ON/OFF ফিচার আছে।
2G প্যাকের মত 3G প্যাকেও কি ভলিউম সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং স্বয়ংক্রিয় নবায়নের SMS পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, 2G প্যাকের মত সকল 3G প্যাকেও ভলিউম সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং স্বয়ংক্রিয় নবায়নের SMS পাওয়া যাবে। তাই, আপনি ভলিউম সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং স্বয়ংক্রিয় নবায়নের SMS উভয়ই 3G প্যাকেজে পাবেন।
আমি কি সরাসরি 3G প্যাক থেকে 2G অথবা 2G থেকে 3G অথবা 2G থেকে 2G অথবা 3G থেকে 3G তে মাইগ্রেট করতে পারবো?
হ্যাঁ। তবে এক প্যাকেজ থেকে আরেক প্যাকেজে মাইগ্রেট করতে হলে আপনাকে কনফারমেশন SMS প্রয়োজন হবে। এই পরিবর্তন 2G প্যাকেজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আমি কি যেকোন সময় 3G প্যাকেজ বন্ধ করতে পারবো?
হ্যাঁ, আপনি যেকোন সময় STOP লিখে 5000-এ SMSপাঠিয়ে 3G প্যাকেজ বন্ধ করতে পারবো।
ই-কেয়ারে কি 3G প্যাকেজের বিস্তারিত পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, ই-কেয়ারে কি 3G প্যাকেজের বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
সিমকার্ড সাপোর্ট না করলে কি বিনামূল্যে সিম রিপ্লেস করা যাবে?
হ্যাঁ, সিমকার্ড সাপোর্ট না করলে যেকোন গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে বিনামূল্যে সিম রিপ্লেস করা যাবে।
পোষ্টপেইড –এর বিলের প্রকার কেমন হবে?
আনলিমিটেড প্যাকেজসহ সকল 3G পোষ্টপেইড –এর বিল আগেই নেয়া হবে।
আনলিমিটেড এবং স্মার্ট প্ল্যান প্যাকেজের ফেয়ার ইউসেজ পলিসি কি হবে?
আনলিমিটেড এবং স্মার্ট প্ল্যান প্যাকেজের ফেয়ার ইউসেজ পলিসির জন্য তাদের নিজ নিজ ফেয়ার ইউসেজ কোটায় পৌছার পর হবে 128 kbps যেটা প্যাকেজ তালিকায় উল্লেখ করা আছে।
ISD ডেস্টিনেশনে 3G সংযোগ থাকলে কি ইন্টারন্যাশনাল ভিডিও কল করা সম্ভব?
হ্যাঁ, যদি বিদেশী অপারেটরের প্রাপ্যতা এবং IGW –এর সাথে চুক্তি হয়, তবে ISD ডেস্টিনেশনে 3G সংযোগ থাকলে কি ইন্টারন্যাশনাল ভিডিও কল করা সম্ভব।
3G এর জন্য APN কি হবে?
এটা 2G –এর অনুরুপ হবে।
আমার ব্ল্যাকবেরী হ্যান্ডসেটে কিভাবে আমি উচ্চগতির 3G সার্ভিস ব্যবহার করতে পারি?
ব্ল্যাকবেরী ইউজার হিসেবে আপনি যদি উচ্চগতির 3G সার্ভিসের জন্য 3G ইন্টারনেট প্যাক সাব্সক্রাইব করে থাকেন তাহলে আপনার আর কোন সেটিংস প্রয়োজন নেই।
2G (EDGE)/ 3G প্যাকেজ একসাথে নেয়া কি সম্ভব?
না, 2G (EDGE)/ 3G প্যাকেজ একসাথে নেয়া সম্ভব না।

ডিভাইস সম্পর্কিত ইস্যু

3G সমর্থিত হ্যান্ডসেট কোনগুলো?
স্পষ্টতইঃ সকল স্মার্টফোন নেটওয়ার্ক সমর্থিত কিন্তু সব স্মার্টফোন, দামি হওয়া সত্বেও –এর সব ফিচার সাপোর্ট নাও করতে পারে। কারণ, নির্মাতারা তাদের নিজ ইচ্ছায় নানাবিধ ফিচার সম্বলিত মোবাইল স্টেশন তৈরি করে। কারিগরীভাবে, R99, HSPA এবং HSPA+ সাপোর্টেড হ্যান্ডসেট 3G সমর্থিত । তাত্বিকভাবে, সকল সমর্থিত স্মার্ট ডিভাইসের বিভিন্ন স্পিড লেভেলে ভয়েস এবং ডাটা সাপোর্ট করা উচিত। কিন্তু সব হ্যান্ডসেট ডিফল্ট টেলিফোনি সেবা সাপোর্ট করে না। যাই হোক, স্কাইপের মত অ্যাপ্লিকেশন এ সীমাবদ্ধতার সমাধান হতে পারে।
আমার হ্যান্ডসেট থ্রিজি সমর্থিত কিনা তা আমি কিভাবে জানবো?
আপনি যদি গ্রামীণফোন থ্রিজি কভারেজের আওতাভুক্ত অঞ্চলে থাকেন এবং আপনার হ্যান্ডসেটের স্ক্রিনের উপরের দিকে যদি ‘3G’ বা ‘H’ প্রদর্শিত হয়, তাহলে বুঝবেন যে আপনার হ্যান্ডসেটটি থ্রিজি সমর্থিত এবং আপনি থ্রিজি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে আরো নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার ফোন সেটিংস যাতে ‘2g Only’তে সেট করা না থাকে। এছাড়াও আপনি আপনার মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি বা http://www.grameenphone.com/products-and-services/gp-3g/3g-devices এই লিঙ্ক এর মাধ্যমেও হ্যান্ডসেটের থ্রিজি সমর্থনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন।
আমার ফোনে ব্যবহার করতে হলে কি বিশেষ কোন সেটিংস কনফিগার করতে হবে?
গ্রামীণফোন থ্রিজি ব্যবহারের জন্য আপনার ডিভাইসে কোন অতিরিক্ত কনফিগারেশনের প্রয়োজন নেই। থ্রিজি ডাটা প্যাকে সাবস্ক্রাইব করতে আমাদের Standard Data Configuration (Internet Settings) –ই যথেষ্ট। যদি এছাড়াও অন্য কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে দয়া করে আমাদের কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন।
ভিডিও কল করার জন্য কি বিশেষ কোন ধরণের হ্যান্ডসেটের প্রয়োজন হবে, নাকি আমি আমার বর্তমান থ্রিজি-সমর্থিত হ্যান্ডসেটটিই ব্যবহার করতে পারবো?
ভিডিও কল করার জন্য আপনার হ্যান্ডসেটের সামনের দিকে একটি ক্যামেরা থাকতে হবে এবং হ্যান্ডসেটটি ভিডিও কল সমর্থিত হতে হবে। দয়া করে থ্রিজি হ্যান্ডসেট কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে যেনে নিন হ্যান্ডসেটটি ভিডিও কল সাপোর্ট করে কিনা।
অন্য অপারেটর রোমং অবস্থায় থাকলে কি আমি ভিডিও কল করতে পারবো?
হ্যাঁ, অন্য অপারেটর রোমিং অবস্থায় থাকলে আপনি ভিডিও কল করতে পারবেন যদি সেই অপারেটরের সাথে আমাদের রোমিং চুক্তি থাকে।
থ্রিজি ভিডিও কল করা এবং রিসিভ করার জন্য কি উভয়েরই থ্রিজি ফোন থাকা বাধ্যতামূলক?
হ্যাঁ, উভয়েরই গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ডুয়েল ক্যামেরা সম্বলিত, থ্রিজি ভিডি-কল সমর্থিত একটি থ্রিজি ফোন থাকা বাধ্যতামূলক।
পিসি কিংবা ল্যাপটপে কি আমার হ্যান্ডসেট যুক্ত করে 3G সার্ভিস এবং উচ্চ গতির ইন্টারনেট চালাতে পারবো?
পিসি কিংবা ল্যাপটপে হ্যান্ডসেট যুক্ত করাকে বলা হয় টেদারিং (Tethering) এবং এটা অবশ্যই জিপি 3G তে সম্ভব যদি গ্রাহকের হ্যান্ডসেট টেদারিং সাপোর্ট করে।
যদি আমার একটি নতুন থ্রিজি ফোন প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি কি আমাকে শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের কাছ থেকেই কিনতে হবে, নাকি বাজারের অন্য যেকোন হ্যান্ডসেটও কাজ করবে?
শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের কাছ থেকেই থ্রিজি ডিভাইস কেনার প্রয়োজন নেই। বাজারের অন্য যেকোন হ্যান্ডসেটই আপনি কিনতে পারবনে তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটি যাতে 3G HSPA অথবা HSPA+ সমর্থন করে যাতে আপনি গ্রামীণফোনের দেয়া দ্রুতগতির থ্রিজি সেবা পেতে পারেন।
আমার হ্যান্ডসেট থ্রিজি সমর্থিত কিনা তা আমি কিভাবে জানবো?
আপনি গ্রামীণফোন 3G কাভারেজের মধ্যে থাকলে বা আসলে আপনার হ্যান্ডসেট স্ক্রিনের উপরে “3G” অথবা “H” লিখা প্রদর্শন করবে, তবে তা থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার হ্যান্ডসেটটি 3G উপযোগী এবং আপনি এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার হ্যান্ডসেটটি শুধুমাত্র “টুজি” উপযোগী কি না, সেটি অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে গ্রামীণফোন ওয়েবসাইটে গিয়েও হ্যান্ডসেটের কনফিগারেশন চেক করা যাবে।
মূলত ২ ধরণের হ্যান্ডসেট পাওয়া যায়- WCDMA (R99) এবং HSPA.
WCDMA (R99) ডিভাইসগুলো 3G ডিভাইস, কিন্তু তা সর্বোচ্চ ৩৮৪কেবিপিএস স্পিডে 3G সুবিধা প্রদান করে থাকে। অপরপক্ষে HSPA হ্যান্ডসেট হাইস্পিড ডিভাইস এবং এগুলো ৩.৬ থেকে ৭.২ এমবিপিএস স্পিডে 3G সুবিধা প্রদান করে থাকে। অতএব সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে আপনি HSPA হ্যান্ডসেট ব্যাবহার করতে পারেন।

নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত

কখন গ্রামীণফোন 3G আরম্ভ করবে?
গ্রামীণফোন প্রাথমিকভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে 3G চালু করেছে।গ্রামীণফোন সমগ্র বাংলাদেশে ধাপে ধাপে থ্রিজি চালু করবে। প্রতিটি অঞ্চল, শহর বা জেলা কভারেজের আওতায় এলে আমাদের ওয়েবসাইট বা অন্য কোন মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে কোন এলাকাতে বাণিজ্যিকভাবে 3G নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে?
নিচের শিডিউল অনুযায়ী ধাপে ধাপে সারা দেশে 3G কাভারেজ চালু হবে:
3G কাভারেজের সম্ভাব্য তারিখএলাকা
সেপ্টেম্বর ২০১৩জিপি হাউজ এবং নিটল নিলয় টাওয়ারে (শুধুমাত্র কর্মকর্তাদের জন্য)
অক্টোবর ২০১৩ঢাকা, চট্টগ্রাম(আগ্রাবাদ) এর কিছু অংশে বাণিজ্যিকভাবে চালু
নভেম্বর ২০১৩ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর
ডিসেম্বর ২০১৩৭ বিভাগীয় শহরে
মার্চ ২০১৪বাংলাদেশের সকল জেলায়
জিপি 3G কাভারেজের তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
কোন নতুন এলাকায় 3G কাভারেজ দেয়া হলে তা নিয়মিত আপডেট করা হবে। এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কের মাধ্যমেও কাভারেজ আপডেট পাওয়া যাবে।
জিপি নেটওয়ার্ক কাভারেজ কি সারাদেশে পাওয়া যাবে?
রাজনৈতিক এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে জিপি ধাপে ধাপে সারা দেশে 3G কাভারেজ বাড়াবে।
3G কাভারেজের বাইরে থাকা অবস্থায় কিভাবে 3G আমি ব্যবহার করতে পারবো?
3G কাভারেজের ভেতরে থাকলেই কেবল আপনি 3G ব্যবহার করতে পারবেন। কাভারেজ এলাকার বাইরে থাকলে আপনি 2G/EDGE গতি উপভোগ করতে পারবেন।
জিপি 3G নেটওয়ার্কে কিভাবে আমি যুক্ত হতে পারি?
প্রথম বারের মত ইউজার হিসেবে জিপি 3G নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে হলে আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
  • ধাপ-১: হ্যান্ডসেটের নেটওয়ার্ক মোড "Dual/WCDMA/3G/UMTS"নির্বাচন করতে হবে। ডাটা ইউসেজের ডুয়াল অপশন বাদ দেয়া যেতে পারে।
  • ধাপ-২: এরপর APN "gpinternet" দিয়ে আপনার প্যাকেট ডাটা সেটিংস কনফিগার করতে হবে। অথবা লিখে নাম্বারে পাঠাতে হবে যেটা গ্রাহককে তার মোবাইলে ১২৩৪ দিয়ে সেভ করতে হবে।
  • ধাপ-৩: Step-3: রেজিষ্ট্রেশনের পর আপনার ডিভাইসে 3G/3.5G/H দেখা গেলে এবং গ্রাহকের ডিভাইস ডাটা ট্রান্সফার সক্রিয় করে সাথে সাথে আপনি 3G সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন।

কোন কোন বিষয়ের উপর 3G গতি নির্ভর করে?
সাধারণত 3G গতি নির্ভর করে হ্যান্ডসেট, কাভারেজ, নেটওয়ার্ক এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতজন ইউজার একসাথে ব্যবহার করছে। দ্বিতীয়তঃ এটা নির্ভর করে গ্রাহক কোন ডাটা স্পিডের প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করেছেন। জিপি বিভিন্ন ধাপের ডাটা প্যাকেজ অফার করবে। যেমনঃ ১) 512Kbps এবং ২) 1Mbps
2G থেকে 3G‘র সুবিধাগুলি কি কি?
3G, 2G প্রযুক্তিকে পেছনে রেখে 4G প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আগেরটার সাথে তুলনা করা হলে, 3G নেটওয়ার্ক কাভারেজ কিছু উন্নত ফিচার অফার করে যা 2G-তে ছিল না। যেমনঃ দ্রুতগতির ওয়েব ব্রাওজিং, ত্রিমাত্রিক গেমিং, উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ইত্যাদি। এটার অনুন্নত সামঞ্জস্যতায়, 2G নেটওয়ার্কিং যা করতো 3G নেটওয়ার্কিং ও তাই করতে পারবে। যেমন, ডিজিটাল ভয়েস, ভয়েস মেইল, কনফারেন্স কল এবং ই-মেইলের মত সাধারণ ডাটা এপ্লিকেশন। 3G নেটওয়ার্কিং-এর উচ্চ পর্যায়ের ডাটা ট্রান্সফার ক্ষমতার কারণে এটা ভিডিও কনফারেন্স এবং মোবাইল টেলিভিশনের মত ফিচার সাপোর্ট করে।
HSPA+ কি এবং এটার সুবিধা কি?
গ্রামীণফোন হল একমাত্র বেসরকারি অপারেটর যে ১০ মেগা হার্টজ ব্যান্ড এবং নেটওয়ার্ক দ্রুততায় 3.9G অথবা HSPA+ চালু করেছে। এটা গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে আরো বেটার এক্সপেরিএন্স নিশ্চিত করবে।
কেন জিপি গ্রাহকদের জন্য এই “3.9G HSPA+” প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যেখানে বাজারের অন্য প্রতিযোগীরা এটা অফার করছে না?
গ্রামীণফোন 3G নেটওয়ার্ক তৈরী করছে যা পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা এবং উচ্চমানের কাষ্টমার এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করবে। গ্রাহকের হ্যান্ডসেট সক্ষমতার উপর নির্ভর করে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক HSPA (3.5G),Dual Carrier HSPA বা HSPA+ (3.9G) সুবিধা সাপোর্ট করবে। গ্রামীণফোন হল একমাত্র বেসরকারি অপারেটর যে ১০ মেগা হার্টজ ব্যান্ড এবং নেটওয়ার্ক দ্রুততায় 3.9G অথবা HSPA+ চালু করেছে। এটা গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে আরো বেটার এক্সপেরিএন্স নিশ্চিত করবে।
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কে সংকেত হিসেবে E, 3G এবং H বা 3.5G বলতে কি বুঝায়?
H বা 3.5 G মানে HSPA (High Speed Packet Access). HSPA হচ্ছে নতুন প্রজন্মের যোগাযোগ প্রটোকল যা প্রতি ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ১৪.৪ Mbps পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড এবং ৫.৮ Mbps পর্যন্ত আপলোড স্পিড দিয়ে থাকে। 3G মানে WCDMA (Wideband Code Division Multiple Access) যেটা একটা 3G প্রযুক্তির ভার্সন, যা ভাল নেটওয়ার্কে প্রতি ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ২ Mbps পর্যন্ত ডাটা সংযোগ নিশ্চিত করে। E মানে Enhanced Data Rates for GSM Evolution, যেটা EDGE নামে পরিচিত। যা 2.5 প্রযুক্তির ভার্সন যেটার গতি ২৬৪ Kbps পর্যন্ত হতে পারে।
HSPA-এর মাধ্যমে প্রতি ইউজারের ডাউনলোড স্পিড ১৪.৪Mbps এবং WCDMA–এর মাধ্যমে প্রতি ইউজারে ২ Mbps করা যদি সম্ভব হয়(৯ নং প্রশ্নের উত্তরে যা উল্লেখ আছে ), তাহলে কেন গ্রামীণফোন 3G প্যাকেজের সর্বোচ্চ স্পিড ১ Mbps?
সমগ্র নেটওয়ার্কে প্রতিশ্রুত লেভেলে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডাটা স্পিড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন কাজ করে যাচ্ছে। এবং এটা করতে সর্বাধিক ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় স্পিড লেভেল প্রয়োগ করা হচ্ছে।.
3G এবং Wi MAX এর মধ্যে পার্থক্য কি?
Wi MAX প্রধানত ব্যবহার করা হয় ডাটা স্থানান্তরের জন্য যদিও ইকো(echo) সিস্টেম যেটা যেটা Wi Max প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভয়েস সাপোর্ট করে, বর্তমানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় না। Wi MAX নেটওয়ার্ক কার্যগত দিক থেকে অনেকটা ব্যাপক, ইন্টিগ্রেটেড ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মত যদিও ডাটা হস্তান্তরের সুবিধা সেখানেও আছে।
সুলভ ইকো-সিস্টেমের মাধ্যমে একটি 3G নেটওয়ার্ক এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে ভয়েস এবং ডাটা ট্রাফিক উভয়-ই বিরামহীনভাবে সার্ভিস দিতে পারে।
3G নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে অন্য অপারেটরের 3G ফোনে কি আমি ভিডিও কল করতে পারবো?
হ্যাঁ, আপনি ভিডিও কল করতে পারবেন যদি সেই অপারেটরের সাথে আমাদের আন্তঃসংযোগ চুক্তি হয়ে থাকে।
3G কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভয়েস কোয়ালিটি উন্নত করবে?
না, তে একই ভয়েস কোয়ালিটি। এটা পিক আওয়ার ভয়েস-এ অতিরিক্ত সক্ষমতার সাপোর্ট দেবে।
থ্রিজি থেকে টুজি’তে যাওয়ার পর কি হবে?
যখন কোন গ্রাহক থ্রিজি থেকে টুজি’তে যাবেন ভিডিও কল, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ইত্যাদি থ্রিজি নেটওয়ার্ক সমর্থিত সেবা পাওয়া যাবে না। গ্রাহক এখনকার মতো বেসিক টুজি সেবা পাবেন। সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে কিন্তু থ্রিজি কভারেজ অঞ্চলের বাইরে চলে গেলে আপনার ডাটা বা ভয়েস সেশনে কোনরুপ পরিবর্তন ছাড়াই আপনি টুজি কভারেজে চলে যাবেন। ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার স্পিডও টুজি’র স্পিডে চলে আসবে।
আমি জিপি 3G সাবস্ক্রাইব না করা স্বত্বেও আমার ফোনে 3G দেখাচ্ছে। কেন?
আপনার হ্যান্ডসেটে তখনই 3G/3.5G সংকেত দেখাবে যেখানে এই সেবা রয়েছে। তবে, 3G প্ল্যান স্বয়ংক্রিয় চালু হয় না এবং অবশ্যই এ সেবা পেতে হলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। সাবস্ক্রাইব করতে 3G লিখে 5000 নাম্বারে SMS করুন।
দিনের বেলা আমি বেশ ভাল এক্সপেরিয়েন্স করছি, কিন্তু ব্যস্ত পিরিয়ডে আমি শুধু দেখি। কেন?
যখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ে, গ্রাহককে ভাল QoS দিতে টাওয়ারের কাভারেজ এরিয়া কমে যায়। এ কারণে কিছু গ্রাহক ব্যস্ত সময়ে 3G কাভারেজের বাইরে থাকেন।

এয়ারটেল 3G এবং সাধারণ জিজ্ঞাসা

১. 3G কি?
উত্তর: 3G হচ্ছে মোবাইল যোগাযোগের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সহজ কথায়, এটা একটি নেটওয়ার্ক যাতে আপনি আপনার ফোনে দ্রুত গতি সম্পন্ন ডাটা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন, ফলে আপনি শুধু কথা বলা ছড়াও আরো অনেক কিছু করতে পারেন। এতে থাকছে উচ্চ গতির ইন্টারনেট এক্সেস, ভিডিও কলিং এবং উন্নত মাল্টিমিডিয়া ।
 
২. 3G দিয়ে আমি কি করতে পারব?
উত্তর: G দিয়ে আপনি উপভোগ করতে পারবেন...
  • আপনি আপনার ফোনে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
  • উচ্চ মানের ভয়েস সেবা: ভয়েস কলের মান 2G এর তুলনায় 3G এ অনেক ভালো।
  • দ্রুত ডাউনলোড: 3G ব্যবহারকারীরা গান, ভিডিও, হাই রেজল্যুশন ফটো এবং উচ্চ গতিতে অন্যান্য ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন।
  • মোবাইলে ব্রডব্যান্ড অভিজ্ঞতা: 3G কভারেজের আওতাধীন এলাকায় 3G গ্রাহকরা উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
  • ভিডিও পরিষেবা: 3G ব্যবহারকারীরা ভিডিও কলের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন যেখানে কথা বলার পাশাপাশি একে অপরকে দেখতে সক্ষম হবে যদি উভয়ই 3G সেবাগ্রহণকারী হয় ও উভয়েরই 3G-সক্রিয় হ্যান্ডসেট থাকে। 3G ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদের ভিডিও মেইল এবং ভিডিও ক্লিপ পাঠাতে পারবে। 
  • মোবাইল টিভি: 3G ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে বিভিন্ন চ্যানেলের টিভি প্রোগ্রাম দেখতে পারবে এমনকি যখন তারা চলাফেরার মধ্যে থাকবে তখনও।
 
৩. আমি কিভাবে 3G ব্যবহার করতে পারি? অথবা আমার জন্য 3G কি প্রয়োজন?
উত্তর: সকল এয়ারটেল সিম কার্ড 64K হয় যার মানে তারা 3G সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, সিম পরিবর্তন এর কোন প্রয়োজন নেই, এয়ারটেল 3G সেবা পেতে আপনার নিম্নলিখিত চাহিদা পূরণ করার প্রয়োজন:
  • আপনাকে এয়ারটেল এর 3G নেটওয়ার্ক আওতায় আসতে হবে
  • আপনার এক 3G সক্রিয় হ্যান্ডসেট থাকতে হবে 
  • আপনার 3G  প্যাক অথবা 3G সাবস্ক্রিপশন থাকতে হবে 
 
৪. আমাদের কেন 3G তে যেতে হবে
উত্তর:-  থাকছে মোবাইলে উচ্চগতির অভিজ্ঞতা
       -  উচ্চ গতির মোবাইল ইন্টারনেট
       -  ভিডিও স্ট্রেমিং, টি ভি সম্প্রচার 
       -  ভিডিও কল, ভিডিও ক্লিপ্স -নিউজ,মিউজিক,স্পোর্টস 
       -  থাকছে গেইমিং, চ্যাট, লোকেশন সার্ভিস
 
৫.  কীভাবে জানব যে আমি এয়ারটেল এর 3G নেটওয়ার্কে আছি ?
উত্তর: আপনি যখন একটি 3G প্যাক দিয়ে 3G সার্ভিস সক্রিয় করবেন এবং আপনার হ্যান্ডসেট এর নেটওয়ার্ক সেটিংস  Dual mode / UMTS & GSM Mode / Auto Mode থাকবে, তখন আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের 3G নেটওয়ার্কের আওয়তায় চলে আসবেন।
আপনি আপনার ফোনের পর্দায় আপনার নেটওয়ার্ক বার এর পাশে 3G/3.5G / H প্রদর্শিত দেখতে পাবেন।
 
৬. আমার কি একটি পৃথক নম্বর অথবা একটি নতুন 3G সিম প্রয়োজন?
উত্তর: না, আপনার একটি আলাদা নম্বর বা 3G সক্রিয় একটি নতুন সিম প্রয়োজন হবে না। আপনার বর্তমান সিম 3G সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমরা আপনার বিদ্যমান মোবাইল নম্বর ও সিম কার্ডেই একটি 3G প্যাক সক্রিয় করতে পারব।
 
৭. 3G তে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS) পণ্য কী কী?
উত্তর: যেহেতু 3g ভাল ব্রাউজিং গতি দেয়, এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল  দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট এক্সেস সহ ভিডিও কন্টেন্ট। যেসব পণ্য এবং অ্যাপ্লিকেশন 3G থেকে উপকৃত হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি হল:
  • সম্পূর্ণ গান ডাউনলোড - একটি 3MB গান যা সাধারণত ১ মিনিট সময় নিত, এখন সময় নিবে মাত্র ৬ সেকেন্ড এর মত। 
  • মোবাইল টিভি - আপনি আপনার মোবাইলে পছন্দের সব ঘরানার চ্যানেল-খবর, বিনোদন, ক্রীড়া সহ টিভি দেখতে পারেন।
  • মাল্টি প্লেয়ার গেমিং - এখন আপনি গেম খেলা এবং মাল্টি প্লেয়ার গেমিং মাধ্যমে অন্য মানুষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন
  • ভিডিও টকিজ  - স্বল্পদৈর্ঘের সম্পাদিত সংস্করণ এর ছায়াছবি দেখতে পারবেন চলাফেরা কালিন সময়ে।
  • ভিডিও অ্যালার্ট - আপনি  আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফিটনেস, বলিউড,  ক্রীড়া এবং অন্যান্য অনেক অপশন থেকে দৈনিক ভিডিও অ্যালার্ট পাতে পারেন।
 
৮. আমি কিভাবে আমার নেটওয়ার্ক সেটিংস 3G তে পরিবর্তন করব?
উত্তর: ফোন সেটিংস যান,
নেটওয়ার্ক সেটিংস / নেটওয়ার্ক মুড সিলেক্ট করুন,
Dual Network / 2G & 3G mode / 2G & UMTS mode সিলেক্ট করুন,
এবং সেইভ করতে OK চাপুন।
 
৯. 3G ব্যবহার করার সময় কেন আমার ফোন ব্যাটারি স্তর দ্রুত কমে যায় কেন?
উত্তর: 3G এর উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ফোনের ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়।
 
১০.  3G পেতে হলে কি আমার সিম পরিবর্তন করার প্রয়োজন?
উত্তর: না, এয়ারটেল সিম কার্ড 64K হয় যার মানে তারা 3G সামঞ্জস্যপূর্ণ সুতরাং,সিম এর পরিবর্তন প্রয়োজন নেই।
 
১১. 3G সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী কী?
  • উচ্চ ক্ষমতা এবং পরিষ্কার ভয়েস
  • উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং ওয়ারলেস অ্যাপ্লিকেশন প্রোটোকল
  • ভিডিও কলিং
  • মোবাইল টিভি
  • মোবাইল সঙ্গীত
  • উন্নত ভিডিও এবং অডিও স্ট্রীমিং
  • ভিডিও কনফারেন্সিং
  • অনলাইন এইচডি গেমিং
  • এম কমার্স
  • লোকালাইজেশন ভিত্তিক সেবা
  • মেসেজিং সেবা
  • Convergence
  • ইউনিভার্সাল রোমিং
  • সকল প্রকার মাল্টিমিডিয়া সেবা
 
১২. 3G এর গতি কি বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে?
উত্তর: প্রথমত গতি উপর নির্ভর করে হ্যান্ডসেট, কভারেজ, নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এবং বর্তমানে সময় একটি নির্দিষ্ট  পয়েন্টে একটি নির্দিষ্ট  সময়ে 3G নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
দ্বিতীয়ত, এটা আপনার সাবস্ক্রাইব করা ডেটা প্যাকেজ এর গতির উপর নির্ভর করে.
 
১৩. কোন হ্যান্ডসেট 3G নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
উত্তর: স্মার্ট ফোন 3G সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রতিটি স্মার্ট ফোন সব বৈশিষ্ট্য সমর্থন করতে পারে না। কারণ নির্মাতারা তাদের নিজস্ব বিবেচনার ভিত্তিতে বহুমুখী বৈশিষ্ট্য সঙ্গে মোবাইল স্টেশন বিকাশ করে। টেকনিক্যালি, R99, HSPA এবং HSPA + + সমর্থিত হ্যান্ডসেট 3G নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং অন্তত ভয়েস সমর্থন পরিষেবা থাকে। কিন্তু ডেটা সেবা এর প্রাপ্যতা হ্যান্ডসেট এর ধরণ উপর নির্ভর করে।
 
১৪. R99 এবং HSPA কি?
উত্তর: R99 হলো হ্যান্ডসেট এর তথ্য বাহক পরিষেবা 384kbit/s, যা  সাধারণত Release 99  বা R99 হিসাবে পরিচিত ।
HSPA মানে হাই স্পিড প্যাকেট এক্সেস। এটা HSUPA (হাইস্পিড আপলিঙ্ক প্যাকেট এক্সেস) & HSDPA (হাইস্পিড ডাউনলিঙ্ক প্যাকেট এক্সেস) যা সমর্থন করে সর্বাধিক 42Mbit/s ।
 
১৫. আমি কিভাবে  সংযোগ সহ 3G সিম পেতে পারি?
উত্তর: আপনি আপনার কাছাকাছি AEC / ARC থেকে সংযোগ কিনতে পারেন
 
১৬. আমি যদি 3G কভারেজ এর বাইরে থাকি তাহলে কি হবে?
উত্তর:  যদি কোন এলাকায় 3G কভারেজ না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি 2G/2.5G সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। 
 
১৭. 3G নেটওয়ার্ক কি সারা দেশে পাওয়া যাবে?
উত্তর: এয়ারটেল প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় ও চট্রগ্রামের কিছু এলাকায় অক্টোবরের মধ্যে 3G সেবা চালু করবে এবং পরবর্তী বছরের জানুয়ারির মধ্যে সব গুলো বিভাগীয় শহর 3G এর আওতায় আসবে।  
 
১৮. 2G তুলনায় 3G এর উপকারিতা কি কি?
উত্তর: 2G নেটওয়ার্ক এর সকল কাজ করতে সক্ষম 3G নেটওয়ার্ক,  যেমন ডিজিটাল ভয়েস, ভয়েস মেইল, কনফারেন্স কলিং এবং সহজ তথ্য অ্যাপ্লিকেশন যেমন ইমেল। যেহেতু 3G নেটওয়ার্ক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তথ্য আদানপ্রদান নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম, সেহেতু এটি ভিডিও কনফারেন্সিং ও মোবাইল টেলিভিশন মত বৈশিষ্ট্য সমর্থন করে। 3G মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া সেবা, নতুন ভিডিও, অডিও এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করে, ফলে সঙ্গীত ও টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট  মোবাইল টার্মিনাল থেকে অ্যাক্সেস করা যাবে। 
 
১৯. আমি  কোন সার্ভিসটি গ্রহন করব, “পে পার ইউজ” অথবা “বান্ডেল অফার” ?
উত্তর: 3G চালু হওয়ার পরে 3G সংযোগ এবং পরিষেবার জন্য  আপনি  www.bd.airtel.com ওয়েবসাইট  থেকে বিস্তারিত ট্যারিফ প্ল্যান পেতে পারেন।

দির্ঘায়ীত করুন আপনার মোবাইল ব্যাটারির জীবন ।

মোবাইল ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাটারি নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়নি এমন লোক হয়ত খুজে পাওয়াটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ব্যাটারির নান ধরনের সমস্যায় জর্জরিত মোবাইল ব্যবহারকারীরা। কারও চার্য তারাতারি শেষ হয়ে যায়, কারও ব্যাটারি চার্যে দেয়ার সাথে সাথে চার্য ফুল হয়ে যায় আবার একটু পরে মোরাইল অফ, কারও সেট হঠাৎ গরম অতঃপর শাটডাউন। এইরকম নানা সমস্যায় আমরা ভূগছি।

আমরা কিন্তু একটু সতর্ক হলেই এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি। আমি আপনাদের সামনে সহজ কিছু টিপস তুলে ধরছি যা আপনাদের মোবাইল ব্যাটারির জীবনকে দির্ঘায়ীত করবে এবং প্রয়েজনের সময় আপনাকে সবার সাথে সংযুক্ত রাখবে বলে আশা করি

১. ব্লু-টুথ, ইনফ্রারেড এবং ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন : ডাটা প্রসেসিং এর পর আমরা অনেকেই আমাদের ব্ল-টুথ অথবা ইনফ্রারেড বন্ধ করতে ভূলে যাই। এই কাজটি আমাদের মোবাইলের ব্যাটারি থেকে অনবরত পাওয়ার লস করে থাকে। তাই এখন থেক মনে করে ডাটা পাসিং এর পর ইনফ্রারেড এবং ব্লু-টুথ বন্ধ করে রাখুন।

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কমিয়ে নিন আপনার মোবাইল ডিসপ্লের ব্রাইটনেস : আপনার মোবাইলে যদি ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করার অপশনটি থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কমিয়ে নিন আপনার মোবাইল ডিসপ্লের ব্রাইটনেস। নকিয়ার স্মার্টফোন গুলোতে লাইট সেন্সর ব্যবহার করা হয় যাতে এক এক ধরনের আলোতে ব্রাইটনেস এর পরিবর্তন হতে পারে। তবে আপনার মোবাইলে যদি অপশনটি থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের ব্রাইটনেস মিডিয়াম করে রাখতে পারেন যা আপনার ব্যাটারির অনেক চার্য বাচাবে। আর যখন আপনি বাড়ির বাইরে আছেন এবং আপনার মোবাইল চার্য ক্ষুধায় ভূগছে, হাতের কাছে চার্যারটিও নেই তখন আপনি আপনার মোবাইলের ব্রাইটনেস মিনিমাম করে রাখতে পারেন। আর একটি ছোট্ট টিপস্ হল আপনি আপনার মোবাইল এর কলিং অপশনের ব্যাকলাইট এর টাইম কমিয়েও রাখতে পারেন।

৩. যতটা সম্ভব ভাইব্রেশন বন্ধ রাখুন : এই টিপস্ যখন আপনি কোন কনফারেন্স রুমে, হসপিটালে অথবা ক্লাসরুমে থাকবেন সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ আপনাকে তখন মোবাইল সাইলেন্ট মোডে রাখতে হয়। তবে একটা জিনিস করা যায়, যেহেতু আপনি ক্লাসরুমে কোন কল রিসিভ করতে পারবেন ই না, তাই মোবাইল এর রিংটোন ও ভাইব্রেটর দুটোই অফ রাখতে পারেন। পরে দেখে নিতে পারবেন। ( এই ক্ষেত্রে একটা ভয় : প্রেমিকার ফোন আসলে আপনি না ধরায় রেগেমেগে ব্রেকআপ ও হয়ে যেতে পারে )। অন্নান্য সময় আপনার মোবাইলের রিংটোনের লেভেল কমিয়ে রাখতে পারেন যা কিছুটা হলেও আপনার ব্যাটারি সঞ্চয় করবে।

৪. নেটসার্ফিং থেকে বিরত থাকুন : এজ সার্ভিসের কল্যানে আমরা সবাই কানেক্টেড। কিন্তু আপনার মোবাইল ব্যাটারির প্রান যখন যায় যায় তখন নেট সার্ফিং থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। নতুবা এক ঘন্টা আগেই আপনি শাটঅফ হয়ে যেতে পারেন। তাছারা গেমস, ভিডিও ও এমপিথ্রি থেকে বিরত থাকুন।

৫. যেখানে নেটওয়ার্ক সিগনাল নেই সেখানে মোবাইল অফ রাখুন : যে এলাকায় আপনার ব্যবহার করা মোবাইল অপারেটর এর নেটওয়ার্ক সেবা পৌছায়নি সে সমস্ত এলাকায় আপনি আপনি আপনার মোবাইল অফ রাখলেই অন থাকতে পারবেন! একটু অবাক হলেন? হুম, বুঝিয়ে বলি….আপনি আপনার ইউনিভার্সিটির আন্ডারগ্রাউন্ড স্টাডি এরিয়াতে বসে স্টাডি করছেন কিন্তু সেখানে কোন মোবাইলের সিগনালই পৌছাতে পারেনা। তখন আপনার মোবাইল অনবরত আপনার মোবাইল অপারেটর এর সিগনাল খুজতে থাকে যা অনেক দ্রুত আপনার ব্রাটারি শেষ করে দিতে পারে। এই সময় গুলোতে আপনি আপনার মোবাইলকে খানিকটা সময়ের জন্য বিশ্রামে রাখতে পারেন।

৬. চার্জিং এবং ডিসচার্জিং : এই ব্যাপারটা আমদের অনেকর কাছেই ঘোলাটে। আসলে এই ব্যাপারটা জানার চেষ্টাই করিনা আমরা। আমরা অনেকেই যখনই পারি তখনই ব্যাটারি চার্জ করি। আবার অনেকে অর্ধেক ব্যাটারি ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পর চার্য করি। আসলে মোবাইলের লম্বা জীবনের জন্য এই দুটো কাজের কোনটাই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে তখনই ব্যাটারি চার্য করা উচিৎ যখন ব্যাটারি লেভেল অনেক নিচে নেমে আসে। আর ব্যাটারির লম্বা জীবন নিশ্চিত করতে সম্তাহ অথবা মাসে অন্তত একবার ফুল ব্যাটারি ব্যবহারের পর চার্য করা উচিত।

৭. ব্যাটারি মেইনটেইনেন্স : আপনার মোবাইলের ব্যাটারিকে আদ্রতা ও তাপ থেকে সাবধানে রাখুন। বর্ষাকালে আপনার মেবাইল ব্যাটারির বিশষ যত্ন নিন। যদি অনেক দিন যাবৎ দেশের বাইরে থাকেন অথবা কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে মোবাইল ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে মোবাইল ব্যাটারিটি খুলে কোন শুকনো জায়গায় সাবধানে রেখে দিন।

এই টিপস গুলো মোটামুটি মেনে চললেও আমাদের মোবাইল ব্যাটারি দীর্ঘ জীবন লাভ করবে.....

কিডনি বিকল থেকে রক্ষা পেতে ৭ খাবার, কিডনি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ l

কিডনি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের মধ্যে একটি। অভ্যন্তরীণ এই অঙ্গটি বিকল হওয়ার অর্থ মৃত্যু অবধারিত। কিডনির কাজ শরীরের অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বা বর্জ্যকে ছেঁকে বের করে দিয়ে পুষ্টি উপাদানটুকু গ্রহণ করা। দুটি কিডনির মধ্যে একটিও যদি বিকল হয় কিংবা দুটি কিডনিই যদি আংশিক বিকল হয়, তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে বহু খাবার চিরতরে বাদ পড়ে যাবে। অনিয়ম করলে কিছুদিনের মধ্যে বাকি অংশটুকুও বিকল হয়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকবে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। কিডনির জন্য উপকারি ও অপরিহার্য ৭টি খাবারের তালিকা নিচে দেয়া হলো: 

১) ডিমের সাদা অংশ: যদি কিডনির সমস্যা থাকে, আপনার শরীরে প্রয়োজন হবে এ ধরনের প্রোটিন যাতে ফসফরাসের মাত্রা কম। আর সেখানেই ডিমের সাদা অংশের ভূমিকা অপরিসীম। প্রোটিনজাতীয় খাবারের অন্য যে উৎসসমূহ রয়েছে, তার মধ্যে ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কিডনির সমস্যা থাকলে, আপনার উচিত ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশ সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা।

 ২) ফুলকপি: সবজির মধ্যে ফুলকপি কিডনির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফুলকপি কেটে তাতে গোলমরিচ ও লবণ মিশিয়ে সেদ্ধ করা বা স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে রান্না করা যেতে পারে। এই সবজিটি আপনার শরীরে প্রতিদিন প্রবেশ করা বিষাক্ত উপাদানসমূহের শত্রু। 

৩) বাধাকপি: কিডনি সমস্যা প্রতিরোধে ও এ সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বাধাকপি আরেকটি অপরিহার্য সবজি। বহুস্তরবিশিষ্ট এ সবজিটি ফাইটোকেমিক্যালসের অন্যতম উৎস। শরীর ও ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বাধাকপি বরাবরই অপ্রতিদ্বন্দ্বী একটি সবজি। যারা কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন, চিকিৎসকরা তাদের কাঁচা বাধাকপি সুন্দর করে কেটে কাঁচা খাওয়ার পরামর্শ দেন। অবশ্য, সাধারণভাবে অন্যদের জন্য বাধাকপি স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন তারা। 

৪) মাছ: মাছে রয়েছে প্রদাহ রোধকারী তেল, ওমেগা-৩, যা কিডনি সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে প্রোটিনের একটি ভালো উৎস মাছ। যে কোনভাবেই মাছ খাওয়া যেতে পারে। রান্না করে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে, পরিমিত ও ভালো তেলে মাছ ভেজেও খেতে কোন বারণ নেই।

 ৫) জুস: ফল কিংবা সবজির জুস দুটিতেই রয়েছে শরীরের বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় গুণাগুণ। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করতে ভালো ও তাজা সবজি বা ফলের জুসের বিকল্প খুব কমই আছে। বিশেষ করে টাটকা সবজির জুসে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস। যারা ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এটা বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, জুস কিডনি বিকল হওয়া প্রতিরোধ করে, কিডনির স্বাস্থ্য ভালো করে। আর ফলটা কেনার সময় একটু সতর্কভাবে বাছাই করে নেয়াটা জরুরি। যদি সেটা সম্ভব হয়, তাহলে ফলের জুস বানিয়ে পান করতে বাধা নেই। 

৬) লাল ক্যাপসিকাম: লাল ক্যাপসিকাম বাজারে খুব একটা পাওয়া যায় না। কোনভাবে যদি এটা সপ্তাহের খাদ্য-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তবে অনেক উপকার পাবেন। যে কোনভাবে ক্যাপসিকাম খাওয়া যেতে পারে। সবুজ নয়, লাল ক্যাপসিকাম কিডনি সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য অন্যতম পাথেয়। 

৭) পানি: পানি যে কোন সমস্যায় মহৌষধ। প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। অতিরিক্ত পরিশ্রম হলে, প্রয়োজনে আরও ৩-৪ গ্লাস বাড়িয়ে নিতে পারেন। শরীরের অধিকাংশ বর্জ্য অপসারণ করে পানি ও সেই সঙ্গে রক্তকেও পরিষ্কার রাখে। কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রতিরোধ করে। খাবারের সঙ্গে টেবিল সল্ট বা কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা এখনই পরিহার করুন। রান্নাতেও পরিমিত লবণ ব্যবহার করুন। কারণ, মাত্রাটা একটু বেশি হলে, সেটা আপনার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তেলজাতীয় খাবার বা ভাজাপোড়া কিডনির শত্রু। এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। তেলে ভাজা খাবার খেলেও, তেলের পরিমাণটা যাতে নিতান্তই কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাইরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। কষ্ট করে হলেও বাড়িতেই রান্না খাবার খান ও সুস্থ থাকুন।

educarebd24 educarebd24 educarebd24