সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

রমজানের ইফতার ও সেহরীর সময়সূচী,রমজানের কিছু হাদিস ও রমজান মাসের ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম ।সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালই আছেন । আগামীকাল থেকে মাহে রমজান শুরু । এই রমজানে আমাদের সবার অবশ্যয় ইফতার ও সেহরির সময়সূচীটা দেখতে হয়। আবার আমারা অনেকেই হয়তো জানি না এই পবিত্র মাসের ফজিলত সম্পর্কে। আমি চেষ্টা করব এ দুটি বিষয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। 




প্রথমে দেখবো রমজানের ইফতার ও সেহরীর সময়সূচী। এটি যে পি জি ফরমেটে দেওয়া। সুতারাং যে কেও চাইলেই এটি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। 


ঢাকার সময়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে (+)

ঢাকার সময় থেকে বিয়োগ করতে হবে (-)

 

এবার আসুন রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানি-

রমজান মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :—
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (يونس: 58)
বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম। সূরা ইউনুস : ৫৮
পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা। যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেন :—
أتاكم رمضان شهر مبارك
তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফজিলত বর্ণনা করে বলতেন :—
فرض الله عز وجل عليكم صيامه، تفتح فيه أبواب السماء، وتغلق فيه أبواب الجحيم، وتغل فيه مردة الشياطين، لله فيه ليلة خير من ألف شهر، من حرم خيرها فقد حرم. رواه النسائي
আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। অভিশপ্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়। এ মাসে রয়েছে একটি রাত যা হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে মূলত সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল। বর্ণনায় : নাসায়ি
আমাদের কর্তব্য : আল্লাহর এ অনুগ্রহের মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করা, এ মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য অনুধাবনে সচেষ্ট হওয়া ও ইবাদত-বন্দেগিসহ সকল কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত থাকা।

এ মাসের যে সকল ফজিলত রয়েছে তা হল :

এক. এ মাসের সাথে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকনের সম্পর্ক রয়েছে ; আর তা হলে সিয়াম পালন।
হজ যেমন জিলহজ মাসের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে সে মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এমনি সিয়াম রমজান মাসে হওয়ার কারণে এ মাসের মর্যাদা বেড়ে গেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :—
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ. سورة البقرة : 183
হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর-যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার। সূরা বাকারা : ১৮৩
রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ইসলাম যে পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তার একটি হল সিয়াম পালন। এ সিয়াম জান্নাত লাভের একটি মাধ্যম ; যেমন হাদিসে এসেছে :—
من آمن بالله ورسولـه، وأقام الصلاة، وآتى الزكاة، وصام رمضان، كان حقاً على الله أن يدخله الجنة ... رواه البخاري
যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনল, সালাত কায়েম করল, জাকাত আদায় করল, সিয়াম পালন করল রমজান মাসে, আল্লাহ তাআলার কর্তব্য হল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো...। বোখারি
দুই. রমজান হল কোরআন নাজিলের মাস : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন -
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ : البقرة : 184
রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে আল-কোরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। সূরা বাকারা : ১৮৫
রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। শুধু আল-কোরআনই নয় বরং ইবরাহিম আ.-এর সহিফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ সকল ঐশী গ্রন্থ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে বলে তাবরানী বর্ণিত একটি সহি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। (সহি আল-জামে)
এ মাসে মানুষের হেদায়াত ও আলোকবর্তিকা যেমন নাজিল হয়েছে তেমনি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছে সিয়াম। তাই এ দুই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। প্রতি বছর রমজান মাসে জিবরাইল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তাকে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন। আর জীবনের শেষ রমজানে আল্লাহর রাসূল দু বার পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। সহি মুসলিমের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত।
তিন. রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় শয়তানদের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—
إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وأغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين. وفي لفظ : (وسلسلت الشياطين) رواه مسلم
যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের আবদ্ধ করা হয়। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে-শয়তানের শিকল পড়ানো হয়। (মুসলিম)
তাই শয়তান রমজানের পূর্বে যে সকল স্থানে অবাধে বিচরণ করত রমজান মাস আসার ফলে সে সকল স্থানে যেতে পারে না। শয়তানের তৎপরতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে দেখা যায় ব্যাপকভাবে মানুষ তওবা, ধর্মপরায়ণতা, ও সৎকর্মের দিকে অগ্রসর হয় ও পাপাচার থেকে দূরে থাকে। তারপরও কিছু মানুষ অসৎ ও অন্যায় কাজ-কর্মে তৎপর থাকে। কারণ, শয়তানের কু-প্রভাবে তারা অনেক বেশি প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।
চার. রমজান মাসে রয়েছে লাইলাতুল কদর। আল্লাহ তাআলা বলেন :—
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ﴿3﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ ﴿4﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿5﴾ (القدر: 3-5)
লাইলাতুল কদর সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সে রজনি উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। সূরা আল-কদর : ৩-৫
পাঁচ. রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :—
لكل مسلم دعوة مستجابة، يدعو بـها في رمضان. رواه أحمد
রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসনাদ আহমদ)
অন্য হাদিসে এসেছে -
إن لله تبارك وتعالى عتقاء في كل يوم وليلة، (يعني في رمضان) وإن لكل مسلم في كل يوم وليلة دعوة مستجابة. صحيح الترغيب والترهيب.
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের প্রতি রাতে ও দিনে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং প্রতি রাত ও দিবসে মুসলিমের দোয়া-প্রার্থনা কবুল করা হয়। (সহি আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব)
তাই প্রত্যেক মুসলমান এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কল্যাণের জন্য যেমন দোয়া-প্রার্থনা করবে, তেমনি সকল মুসলিমের কল্যাণ, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জ্ঞাপন করবে।
ছয়. রমজান পাপ থেকে ক্ষমা লাভের মাস। যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপসমূহ ক্ষমা করানো থেকে বঞ্চিত হলো আল্লাহর রাসূল তাকে ধিক্কার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন :—
.. رغم أنف رجل، دخل عليه رمضان، ثم انسلخ قبل أن يغفر له. .رواه الترمذي
ঐ ব্যক্তির নাক ধুলায় ধূসরিত হোক যার কাছে রমজান মাস এসে চলে গেল অথচ তার পাপগুলো ক্ষমা করা হয়নি। (তিরমিজি)
সত্যিই সে প্রকৃত পক্ষে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত যে এ মাসেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল।
সাত. রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির লাভের মাস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—
إذا كان أول ليلة من رمضان صفدت الشياطين ومردة الجن، وغلقت أبواب النار، فلم يفتح منها باب، وفتحت أبواب الجنة فلم يغلق منها باب، وينادي مناد كل ليلة : يا باغي الخير أقبل! ويا باغي الشر أقصر! ولله عتقاء من النار، وذلك في كل ليلة. رواه الترمذي
রমজান মাসের প্রথম রজনির যখন আগমন ঘটে তখন শয়তান ও অসৎ জিনগুলোকে বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, এ মাসে আর তা খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এ মাসে তা আর বন্ধ করা হয় না। প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে ঘোষণা দিতে থাকে যে, হে সৎকর্মের অনুসন্ধানকারী তুমি অগ্রসর হও ! হে অসৎ কাজের অনুসন্ধানকারী তুমি থেমে যাও ! এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।  (তিরমিজি)
আট. রমজান মাসে সৎকর্মের প্রতিদান বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। যেমন হাদিসে এসেছে যে, রমজান মাসে ওমরাহ করলে একটি হজের সওয়াব পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, বরং, রমজান মাসে ওমরাহ করা আল্লাহর রাসূলের সাথে হজ আদায়ের মর্যাদা রাখে। এমনিভাবে সকল ইবাদত-বন্দেগিসহ সকল সৎকাজের প্রতিদান কয়েক গুণ বেশি দেয়া হয়।
নয়. রমজান ধৈর্য ও সবরের মাস। এ মাসে ঈমানদার ব্যক্তিগণ খাওয়া-দাওয়া, বিবাহ-শাদি ও অন্যান্য সকল আচার-আচরণে যে ধৈর্য ও সবরের এত অধিক অনুশীলন করেন তা অন্য কোন মাসে বা অন্য কোন পর্বে করেন না। এমনিভাবে সিয়াম পালন করে যে ধৈর্যের প্রমাণ দেয়া হয় তা অন্য কোন ইবাদতে পাওয়া যায় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন :—
إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ. الزمر: 10
ধৈর্যশীলদের তো বিনা হিসাবে পুরস্কার দেয়া হবে। সূরা যুমার : ১০

রোজা সম্পর্কিত জরুরি কিছু মাসআলা - 

  • নিয়ত:- আরবিতে নিয়ত করা জরুরি নয় বরং যেকোনো ভাষা তেই নিয়ত করা শুদ্ধ  হবে  ।
  • সেহরী খাওয়া :-সেহরী খাওয়া সুন্নাত এবং এর অনেক ফজিলত ও রয়েছে । তাই ক্ষুধা না থাকা সত্তেও কিছু পরিমানে খাবার খাওয়া উত্তম । তবে কেউ প্রবল নিদ্রার কারণে ঘুম থেকে উঠতে না পারলে শুধু নিয়ত করেই রোজা রেখে দেবে । সেহরী না খেলে রোজা তরক করতে পারবেনা  ।     (ফাতওয়া এ জামিয়া )
  • কাজা:-কাজা হচ্ছে একটির বদলে একটি, অর্থাত কেউ যদি এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ে তাহলে তাকে পরে সেই ওয়াক্ত টি পড়ে নেওয়াকে  কাজা বলে । তদ্রুপ যে সমস্ত কারণে রোজার কাজা ওয়াজিব হয় সেই ক্ষেত্রে তার একটি রোজা রাখাই যথেষ্ট ।
  • কাফফারা :- আর কাফফারা হছে একটির বদলে ৬০ টি এবং ৬০ টি রোজা একাধারে রাখতে  হবে যদি মাঝ থেকে এক টি রোজা ছুটে যায় তবে আবার ৬০ টি রোজা রাখতে হবে । তবে যদি ৬০ টি রোজা একাধারে রাখতে সক্ষম না হয়, তাহলে ৬০ জন মিসকিন কে তৃপ্তি সহকারে ২ বেলা খাওয়াতে হবে,অথবা একজন মিসকিন কে ৬০ দিন ২ বেলা করে খাওয়াতে হবে ।
  •  রোজা অবস্থায়  ইচ্ছা কৃত ভাবে কোনো কিছু খেলে অথবা পান করলে তার উপর রোজার কাজ ও কাফফারা উভয় টিই ওয়াজিব হবে ।
  • রোজা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী ইচ্ছাকৃত ভাবে দৈহিক মিলন ঘটলে তাদের উপর রোজার কাজা ও কাফফারা উভয় টিই ওয়াজিব হবে ।
  • অনিচ্ছায় পানি/ খাবার খেলে/গোসলের /অজুর সময় পেটে  পানি চলে গেলে / স্ত্রী কে স্পর্শ করার কারণে  বীর্য পাত ঘটলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং তার কাজা আদায় করতে হবে কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হবেনা ।
  • ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় কোনো কারণে রোজা ভেঙ্গে গেলে সেটির পুনরাবৃতি যেন না ঘটে অর্থাত ভুল বসত কেউ রোজা অবস্থায় খাবার  খেয়ে ফেলল, “পরবর্তিতে সে চিন্তা করলো যে যেহেতু রোজা ভেঙ্গেই ফেলেছি সেহেতু আজকে আর রোজা রাখবোনা” এমন টি কিন্তু ঠিক নয় বরং যখনি তার রোজার কথা মনে পড়েছে তখন থেকেই সে যেন এলার্ট হয়ে যায় বাকি দিনে যেন এমনটি না হয় এবং ইফতারের আগ পর্যন্ত আর যেন কোনো কিছু না খায় ।
  • আর যারা রোজা রাখবেননা তাদের কে বলছি প্লিজ একটু দয়া করে হলেও রোজাদার দের সামনে কোনো কিছু খাবেননা যদি একটু চক্ষু লজ্জা থেকে থাকে ।
আর আসুন পবিত্র এই মাসটির কথা মাথায় রেখে সব ধরনের পাপ কে বর্জন করি । আমিন




সুত্র-বাংলা ব্লগ
 


মুঠোফোন চুরি ঠেকাতে‘কিল সুইচ’ আসছে........................

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে ‘কিল সুইচ’ নামে বিশেষ প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও সানফ্রান্সিসকোতে। আইফোন ৫ ও গ্যালাক্সি এস ৪ স্মার্টফোনে মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধের এ প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
মুঠোফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে বড় দুশ্চিন্তা থাকে ফোনটির অপব্যবহার নিয়ে। মোবাইল ফোন চালু রাখা ও বন্ধ রাখার প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু দূর থেকে মোবাইল ফোন অকেজো করে ফেলার কেনো পদ্ধতি নেই। যে কারণেই এ দুশ্চিন্তা। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দূর থেকে মুঠোফোন অকেজো করার প্রযুক্তি যুক্ত করার দাবি করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের কাছ থেকেও মোবাইল চুরি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার চিঠি পেয়েছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, স্যামসাং, গুগলসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মুঠোফোন ছিনতাই ও চুরিতে বিপর্যস্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সমাধান বের করার অনুরোধ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিসকোতে ২০১২ সালে সংগঠিত ছিনতাইয়ের অর্ধেকই ছিল মুঠোফোন ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনা। স্যানফ্রান্সিসকো ছাড়াও ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, মেক্সিকোতেও মুঠোফোন চুরি ঠেকাতে সমাধান বের করার অনুরোধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যেও স্মার্টফোন চুরি ঠেকাতে সচেতনতা বাড়ছে। দূর থেকে যাতে মুঠোফোন অকেজো করে দেওয়া যায় এমন ‘কিল সুইচ’ স্মার্টফোনে যুক্ত করার দাবির কারণে এ ধরনের প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।


সুত্র- প্রথম আলো 

লাইভ টিভি। ফুটবল খেলা দেখুন এখান থেকে।লাইভ ফিফা দেখুন ।


বন্ধুরা সবাই ক্যামন আছেন আশাকরি সবাই খুব ভালো ও সুস্থ আছেন । আমার মতো যারা ডিশ অথবা টিভির অভাবে যারা খেলা দেখতে পাচ্ছেন না তাদের জন্য এই পোস্টটি ।সব খেলা দেখুন অনলাইনে স্লো স্পীডে (256 kbps) । 




চলুন দেখা যাক--------------------
আর একটি কথা, খেলা চলাকালে লোডিং দেখালে দয়া করে পেজটি রিফ্রেশ করবেন। 
 

ভুঁড়ি নিয়ে আর চিন্তা নয় !

ভুঁড়ি হলে যে শুধু দেখতে খারাপ লাগে তা কিন্তু নয়, এটি অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকরও বটে। ভুঁড়ি কমাতে কেউ কেউ দিনের পর দিন না খেয়ে শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেন। ডায়েটিং না করে কিছু বিষয় মেনে চললেই আপনি দ্রুত কমিয়ে আনতে পারেন আপনার ভুঁড়ি।
প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাটুন। নিয়মিত হাটলে ভুঁড়ি কমবে।

সিড়ি দিয়ে উপর নিচ উঠা-নামা করুন। লিফটের বদলে সিড়ি ব্যবহার করলে ভুঁড়ি বাড়বে না বরং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি কমবে।
একটানা বসে কাজ করবেন না। প্রতিঘণ্টা অন্তর অন্তর একবার হলেও উঠে দাড়ান। এবং সব সময় সোজা হয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন। দীর্ঘসময় কুজো হয়ে একটানা কাজ করবেন না। এতে ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

অল্প সময়ে ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায় হচ্ছে বসে হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ১০ মিনিট করে এই ব্যায়াম করলে ভুঁড়ি কমবে।
একবারে বেশি করে খাবেন না। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল খান।  
দিনে কমপক্ষে ১০ গ্লান পানি খান। পানি হজম করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের অবাঞ্জিত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না।
প্রতিদিন খালি পেটে ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন খান। রসুন খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না।
মিষ্টি, ভাজা পোড়া ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত জাতীয় খাবার পরিহার করুন।



তথ্য সূত্রঃ সময়কাল

educarebd24 educarebd24 educarebd24