সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

বিলাসিতা নাকি শখ নাকি অপচয় আপনারাই বলুন। সোনার গাড়ি যেন সোনার ছড়াছড়ি !!

আমরা অনেকে শখের বসে অনেক কিছুই করি। কারো শখ দিনে দুমুঠো খাবার, কারো শখ ভালো ড্রেসআপ করা, কারো শখ ভালো বাড়িতে থাকা, কারো বা শখ ভালো গাড়িতে চড়া। চলুন মুল বিষয়ে আসি।
 প্যারিস, ২৬ সেপ্টেম্বর- শখের তুলার অনেক দাম। তাই শখ করে এক ধনকুবের স্বর্ণ দিয়ে বাঁধিয়ে ফেললেন নিজের গাড়ি! তা-ও আবার দশ কিংবা বিশ কেজি সোনা নয়, পাক্কা পাঁচশ কেজি সোনার প্রলেপ দিয়েছেন দিয়েছেন তিনি গাড়িতে। আর একে মসৃণ করতে আরো ২৫ কেজি খাদও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ঐ ধনকুবের গাড়িটা বিক্রি করবেন বলে রেখে দিয়েছেন ফ্র্যান্সের একটি বিলাসবহুল হোটেলের সামনে। মাঝে মাঝেই প্যারিসের রাস্তায় বের করেন ওটা। আর গাড়িটি প্যারিসে আসা অন্যান্য ধনকুবেরদেরও চুম্বকের মতো টানছে। বিক্রেতা আপাতত চেয়ে আছেন মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। কারণ সাধারণত সৌদি প্লেবয় আর ধনকুবেরদের বিলাসবহুল গাড়ির দিকে ঝোঁক রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘরে ঘরেই গাড়ি নিয়ে বিলাসিতা দেখা যায়। প্রায় সময়ই ইউরোপের শহরগুলোতেও এ ধরনের গাড়ি চলতে দেখা যায়। তবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এগুলোর মালিক সেই মধ্যপ্রাচ্যের লোকই। অর্থাৎ হয় সৌদি, নয় কাতার, কুয়েত অথবা আমিরাতের। গাড়িটি তৈরী করেছে গুলপেন নামের এ জার্মান ইঞ্জিনিয়ার। এটি মূলত ল্যাম্বারঘিনি অ্যাভেনটাডোর ব্র্যান্ডের। ৬৯২ হর্স পাওয়ারের এ গাড়িটিতে মোট ইঞ্জিন আছে ১২টি। আর গাড়িটি কিনতে খরচ পড়বে ছয় মিলিয়ন ডলার।

আপনাদের কার কি শখ কমেন্ট করে জানাবেন। পুরন হোক বা না হোক জানাতও গেলো কার কি শখ। সবাই ভালো থাকবেন। 

প্রতারনার নয়া কৌশল. আসুন জেনেনি। সকলকে জানাই এবং সকলে সচেতন থাকি।

প্রতারনার নয়া কৌশল..!
১) বিক্রয় ডট কমে একটা অ্যাড দেখল ফারহান, ম্যাকবুক এয়ার ল্যাপটপ মাত্র ২৫০০০টাকা,দেখেই মাথা খারাপ। এত কম কেন? অ্যাডে আবার লেখা বিদেশ থেকে পাঠিয়েছে ব্যবহার করতে পারিনা বলে সেল করে দিচ্ছি। ফারহান ভেবে নিল অন্তত আর যাই হোক নষ্ট তো না, ইউজ করতে পারেনা বলে সেল করে দিচ্ছে। অ্যাডের নাম্বারে ফোন দিতেই এক সুকন্ঠি মেয়ে ফোন ধরে বলল, বিদেশ থেকে গিফট দিয়েছে আঙ্কেল, ইউজ করা হয়না বলে কম দামে সেল করে দিবে। ফারহান আর অত চিন্তা করল না, তাকে বলে দিল সে নিবে। মেয়েটি জানাল মগবাজার থেকে কালেক্ট করতে হবে। ভালো লাগলে ক্যাশ টাকা দিতে হবে। খুশিতে বাগবাকুম হয়ে মগবাজার গেল। ল্যাপটপ তো দূর সাথে যা ছিল সব রেখে দিল সেই অ্যাড দেয়া ছিনতাইকারী দল।
২) সেল-বাজারে আইফোন ৫ এর অ্যাড দেখে ফোন দিল ওমর ফারুক। দাম অনেক কম মাত্র ১৬ হাজার। লোকেশন চট্টগ্রাম। এত কম দামে পেয়ে সাথে সাথেই ফোন। কথা হল সব কিছু ঠিক ঠাক। ৩০% টাকা এডভান্স বাকিটা এস এ পরিবহনে পণ্য পেয়ে। অ্যাডভান্স দিয়ে দিল।
তারপর অ্যাড উধাও, নাম্বার অফ !আর আসেনি তার আইফোন ৫।
৩) রিক্সায় করে ফার্মগেট থেকে বসুন্ধরা সিটিতে শপিং করতে যাচ্ছিল সবুজ।
হঠাৎ রিক্সাওয়ালা নীরব এক জায়গাতে রিক্সা থামাল। ভয় পেয়ে গেল সবুজ। রিকশাওয়ালার শরীর কাঁপছে। লুঙ্গির কাছা থেকে একটা ছোট্ট প্যাকেট বের করে বলল এক মহিলা যাত্রী ফেলে গেছে এই গহনা টা। স্বর্ণের! ১ ভরির উপরে হবে। রিক্সাওলা বলে কোন দোকানে সেল করতে পারব না। সবুজ কিনবে কিনা? যা দিবে তাই নেবে। দেখে আর না করতে পারলনা। পকেটে ১১ হাজার টাকা ছিল, সব দিয়ে কিনে নিল। ১১ হাজার টাকায় ৪৫ হাজার টাকার উপরে পাবে। শপিং তো হবেই সাথে একটা দামি মোবাইলও নেয়া যাবে। বসুন্ধরা সিটি তে গিয়ে জুয়েলারি দোকানে এটার দাম জিজ্ঞেস করতেই সেলসম্যান বলে দিল আমরা ইমিটিশন কিনি না !!!
৪) ফার্মগেটে হাঁটছে রাজীব। পথে একলোক দাড়া করিয়ে বল আমার কাছে ২০ ডলার আছে, আমি ড্রাগ নেই তাই ইমার্জেন্সি টাকা দরকার। মাত্র ৫০০টাকা দিলেই হবে। রাজীব ভাবল নিয়ে নেই বন্ধুর মানি একচেঞ্জ থেকে ক্যাশ করে নিব। লাভ হবে অনেক টাকা। ৫০০টাকায় নিয়ে নিল। জিজ্ঞেস করল আর আছে কিনা। লোকটা বলল এসব সাথে নিয়ে ঘুরল পুলিশ ধরবে, জানেনই তো টানা মাল। এক বিদেশীরে পাইছিলাম, মালদার পার্টি। ফোন নাম্বার নিয়ে নিল রাজীব, বলল ওই ডলার যাতে কাউকে না দেয়, সব সে নিবে। ফোন করে জানালেই কত ডলার সে পরিমাণ টাকা নিয়ে আসবে। ওই ২০ ডলার ক্যাশ করে নিল, কোন সমস্যা হয়নি। পরের দিন ধার টার করে ২০ হাজার টাকার মত নিয়ে আসল, ৫০০ ডলার দিবে। এবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ তার নেশা নাই এখন আর। রাজীব ভাবল তারপরেও প্রায় ডাবল লাভ। ফার্মগেট পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, লোকটার দেখা নেই, মনে মনে ভাবছে লোকটা বেচে দিল না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর দূর থেকে লোকটাকে দেখা গেল। কাছে আসতেই একটা খাম ধরিয়ে বলল পুলিশ পিছনে পরছে তাই টাকা টা দিয়ে কেটে পরতে। রাজীব তাই করল। বাসায় আসার আগে খুলেও
দেখেনি খামে কি আছে। কি আর হতে পারে একগাদা কাগজ ছাড়া !
৫)গাবতলি বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে কথা বলছে রাজু, বাসা থেকে ফোন দিয়েছে মা, মা জিজ্ঞেস করছে টাকা ঠিকঠাক রেখেছে কিনা। সেও মাকে জানাল হা টাকা ঠিক আছে, সাবধানেই যাচ্ছে সে। যাবে আদাবর, বোনের বাসা, সেখান থেকে পরের দিন আইডিবি থেকে ছোট ভাইয়ের ল্যাপটপ কিনবে। একটু পরেই একটা মেয়ে আসল,টুকটাক কথা বার্তায় রাজু তাকে জানাল আদাবর যাবে, মেয়েটি বলল আমি ঢাকার তেমন কিছু চিনি না, যাবো আঙ্কেলের বাসায়, বাসাটা শ্যামলীতে। কিভাবে যাব? রাজু প্রস্তাব দিল তার সাথেই যেতে। শ্যামলীতে নামিয়ে দিয়ে যাবে। মেয়েটা সামনের সিএনজি দেখেয়ে প্রস্তাব দিল সিএনজি তে যাবে এবং রাজুকে ভাড়া দিতে দিবেনা। হাসি মুখে রাজু মেনে নিল।
ফলাফল - দিনে দুপুরে পথে পিস্তল ধরে ব্যাগ মানিব্যাগ, মোবাইল সহ যা যা ছিল রেখে নামিয়ে দিয়ে সিএনজি উধাও ...!
৬) শফিক সাহেব বাসে করে অফিসে যাচ্ছেন হঠাৎ তার ফোনে অদ্ভুত নাম্বার থেকে কল আসল। বলা হল রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি। আমাদের সিগনালে কিছু সমস্যা হচ্ছে,আপনার মোবাইল ঠিক মত সিগনাল ধরতে পারছেনা এতে এমন হতে পারে যে সেটের ব্যাটারি শর্টসার্কিট হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। আপনি দয়া করে আগামী ২ ঘণ্টা মোবাইল অফ করে রাখবেন। ভুলেও মোবাইল অন করবেন না। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। শফিক সাহেব অত কিছু না ভেবে মোবাইল বন্ধ করে দিলেন। কি দরকার অন রেখে বিপদে পরার। ওই দিকে উনার ওয়াইফের কাছে ফোন দিল কেউ, বলল শফিক সাহেবের বাস এক্সিডেন্ট করেছে। উনি ইমার্জেন্সিতে আছেন, জরুরী কিছু ওষুধ, ইঞ্জেকশন এবং অক্সিজেনের জন্য টাকা লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই কিছু টাকা বিকাশে দিতে হবে তা না হলে সাহায্যকারী কিছু করতে পারবেন না, তিনি স্টুডেন্ট হাতে টাকা নেই। ভদ্র মহিলা দিশেহারা হয়ে তার মেয়ে কে বললেন শফিক সাহেবের মোবাইলে কল দিতে, মোবাইল বন্ধ। উনারা বিশ্বাস করলেন যে শফিক সাহেব আসলেই এক্সিডেন্ট করেছেন যেহেতু উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতেই অনেক সময় লেগে যাবে তাই বাসায় যা ছিল বিকাশ করে দিলেন এবং মা মেয়ে আত্মীয় স্বজন কে জানিয়ে সিএনজিতে করে মতিঝিলের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিলেন। টাকা পাঠানোর পর কথা হলেও সিএনজি থেকে কল দিয়ে আর ওই লোকের ফোন অন পাওয়া যায়নি। মতিঝিল যে ঠিকানা দিয়েছিলসেখানেও কোন হাসপাতাল নেই। অনেক পরে শফিক সাহেবের ফোন অন পাওয়া গেল এবং বুঝতে পারলেন যে উনারা প্রতারিত। শফিক সাহেব সুস্থ আছেন।
৭) স্যামসাং এস ৪ কিনতে বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিল সাদি। অনেক দোকান ঘুরেও যখন দাম কমাতে পারছিল না তখন একটা ছেলে বলল একটা টানা সেট আছে লাগবে কিনা? মাত্র ১৫হাজার টাকা দিলেই হবে। সাদি চিন্তা করল কম দামে যখন পাওয়া যাচ্ছে খারাপ কি। দরদাম করে ১০ হাজার টাকাতে ঠিক করে ফেলল। যে বসুন্ধরা সিটির পেছন থেকে সেট টা হাতে নিবে এমন সময় দেখল আরও কয়েকজন বখাটে মতন ছেলে ওই দিকে আসছে। ভয় পেয়ে গেল সাদি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটে ছুড়ি ধরে টাকা, মোবাইল, এটিএম কার্ড সহ যা পেল নিয়ে গেল সাদি কিছুই করতে পারল না!
৮) ফেসবুকে রিয়ার পরিচয় নিলয়ের সাথে। দেখতে অনেক স্মার্ট, বড়লোকের ছেলে। ঈদের শপিং সাথে নিলয়ের সাথে দেখা ২টাই হবে ভেবে নিলয়কে বসুন্ধরা সিটিতে আসতে বলল। যদিও নিলয় বলেছিল পিঙ্ক সিটিতে দেখা করতে। বসুন্ধরা সিটি তে দেখা হল দুজনের। দেখতে বেশ স্মার্ট। নিলয় জানাল সে মোবাইল কিনবে। রিয়া যেটা চয়েস করবে সেটাই কিনবে। খুশীতে বাকবাকুম হয়ে রিয়া নিলয়ের সাথে মোবাইল দেখতে গেল, কয়েকটা দোকান ঘুরে রিয়ার পছন্দ হল সনি এক্সপেরিয়া জেড। নিলয়ও বলল এটা নিয়ে নিবে। দাম দর হয়ে গেল। মোবাইলে সিম লাগিয়ে নিলয় বলল তুমি একটু বস আমি সামনেই আছি, এখানে নেটওয়ার্কে সমস্যা। কল করে চেক করে আসি। দোকানের সামনে থেকে কখন যে হারিয়ে গেল নিলয়, রিয়া টেরও পেল না। নিলয়ের নাম্বার ও বন্ধ। ফেসবুক আইডিও ডিএকটিভ। কোন ছবিও সেভ করে রাখিনি সে। দোকানদার কিছুক্ষণ পরপর জিজ্ঞেস করছে যে সাথের লোক কই? এখন রিয়া কিভাবে বলবে সে নিলয়ের প্রতারণার স্বীকার। ওর শপিং এর টাকা এবং জমানো টাকা থেকে মোবাইলের দাম দিতে হবে।
৯) নিউমার্কেট থেকে জিনিস কিনল আতিক। দোকানে মারাত্মক ভিড়। ১ হাজার টাকার নোট দিয়ে পে করল সে। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসবে এমন সময় জাঁদরেল মত এক লোক হাত চেপে ধরল। বলল টাকা না দিয়ে কই যান? আতিক যতই বলে টাকা দিয়েছে সেলস-ম্যান গুলোও বলে না টাকা দেয়নি। আতিক কোনভাবেই বুঝাতে পারে না টাকা টা সে আসলেই পে করেছিল। জাঁদরেল মত লোকটি বলল তাড়াতাড়ি টাকা দেন নাহলে চোর বলে গণধোলাই দিব। দিশেহারার মত চারদিকে তাকালেও কারো চোখে তার প্রতি সহমর্মিতার ছোঁয়া দেখতে পেল না। এভাবেই কিছু মানুষ সহজ সরল পেয়ে টাকা রেখে দেয়।
১০) আসলাম বাবুর অভিজ্ঞতা: জুলাই ১২, ২০১৪, রাত ১০;৩০ মিনিট এ মহাখালি ফ্লাই ওভার ব্রিজ এর গোঁড়া থেকে বাস এ উঠবো, অপেক্ষায় আসি ২৭ নাম্বার বাস এর জন্য। এই মুহূর্তে একটা বাস আসল অন্য একটা বাস,খালি বাস দেখে আমার সাথে আরও ২ জন ছিল, তাদের সাথে আমিও বাস এ উঠলাম, একটু পরে বাস ভাড়া দিলাম ১০ টাকা, খিলখেত নামবো। শুধু দেখলাম বাস এর মেইন দরজা লাগিয়ে দিল আর সাথে সাথে ৪-৫ জন লোক আমার গলা চেপে ধরল হাত আর চোখ বেধে ফেললো সাথে থাকা iPhone, ৩০০০ টাকা নগত, নরমাল Symphony Mobile নিয়া নিল। আর ফেলে দিলো আশুলিয়া এর মধ্যে একটা ঝোপ এর ভিতর। সাথে আর ও ২ জন কে। কোন রকম জানে বেঁচে ফিরলাম। কিছু দূর সামনে এসে একটা চা এর দোকান এ কিছু লোককে বললাম তারা সাহায্য করলো, রুম মেট কে কল দিলাম, আজিমপুর থেকে নিয়া আসল বাসায়। গলায় দাগ হয়ে আছে। এখন সুস্থ আছি।
- সংগৃহীত

পুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি দেখে কিনবেন? না জানা থাকলে জেনে নিন।

আপনার বাজেটে যদি একটি নতুন ল্যাপটপ পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি কিনে ফেলতে পারেন একটি পুরাতন/ সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ অনেক কম দামে।
কিন্তু আপনি যখন একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই সেটা ঠিক ভাবে কাজ করে নাকি দেখে নিবেন। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব জিনিস দেখে নেয়া অত্যন্ত জরুরী সেগুলি হল-

১) স্ক্রীন- সম্ভবত এটি সবচেয়ে জরুরী জিনিস যেটা ল্যাপটপ কেনার আগে দেখা উচিত কারণ আমরা সবসময় এই স্ক্রীনের দিকেই তাকিয়ে থাকব, কিন্তু আমরা অনেকেই এটিকে তেমন গুরুত্ব দেইনা। আপনার ল্যাপটপের স্ক্রীন যদি কোনভাবে ভেঙ্গে যায় তাহলে সেটা সারানো সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আপনি যদি অনেক কম দামে ল্যাপটপ পেতে চান তাহলে স্ক্রীনে সমস্যা সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই সেই সমস্যা যেন খুব বেশি না হয়। যেমন, কোন ল্যাপটপের যদি এক কোণ কাজ না করে তাহলেও আপনি তা দিয়ে আপনার কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন, অথবা যদি স্ক্রীনের ব্রাইটনেস অনেক কম হয় তাও
কাজ চালানো যায় বেশিরভাগ সময়।
যদি স্ক্রীনের সমস্যা সহ কিনতে আপনার আপত্তি থাকে, তাহলে আগে অবশ্যই জেনে নিন স্ক্রীনের সমস্যাটি কি, না হলে পরে আপনার পকেট থেকে অনেক টাকা চলে যেতে পারে সেটি ঠিক করাতে। আর যদি আপনি স্ক্রীনের কোন সমস্যা ছাড়া ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কেনার আগে অবশ্যই সেটা চালিয়ে ঠিক মত যাচাই করে নিন।

২) কীবোর্ড- কীবোর্ডও ল্যাপটপের অনেক জরুরী একটি অংশ, যদিও এটি বদলাতে তেমন খরচ পরে না, কিন্তু বদলানোটাই তো ঝামেলার কাজ, তাই আগেই দেখে নিন ঠিক আছে কিনা কীবোর্ডটি। কম ব্যবহৃত কীগুলোর একটি দুটি কম কাজ করলে বা কাজ না করলেও তেমন সমস্যা হয় না, কিন্তু খেয়াল রাখবেন বেশিরভাগ কীতে যাতে এই সমস্যা না থাকে। মাঝে মাঝে অনেক কী চাপতে অনেক জোড় দেয়া লাগে, আপনার ল্যাপটপটির ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে নাকি দেখে নিন, কয়েকটাতে সমস্যা থাকলেও জরুরী কীগুলিতে যাতে এই সমস্যাটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
অনেক সময় একেক ল্যাপটপের কী এর ফরম্যাট একেক রকম হয়, কীবোর্ড ছোট বা বড় করার জন্য অনেক সময় অনেক কী বাদ দেয়া হয় বা যোগ করা হয়। তাই দেখে নিন আপনি যেটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির ফরম্যাট কি আপনার পছন্দ হয় নাকি, আপনি সেই ফরম্যাটে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন কিনা।
কীবোর্ডের সাথে সাথে টাচপ্যাডটি ঠিক মত কাজ করছে কিনা তাও দেখে নিন। অনেক সময় ল্যাপটপের টাচপ্যাড কাজ করে না এবং আলাদা মাউস ব্যবহার করা লাগে, আপনি যেটি কিনবেন সেটি ভালোভাবে আগে চালিয়ে দেখে নিন।


৩) ব্যাটারি- বেশিরভাগ পুরাতন ল্যাপটপেই ব্যাটারি অনেক দুর্বল থাকে বা নষ্ট থাকে। কেনার আগে তাই অবশ্যই জেনে নিন পাওয়ার কর্ড ছাড়া ল্যাপটপের চার্জ কতক্ষন থাকে। আপনার যদি পাওয়ার কর্ড ছাড়া তেমন ব্যবহার করা না লাগে, তাহলে আপনার নতুন ব্যাটারি না কিনলেও চলবে, আপনি ল্যাপটপের সাথের কর্ড দিয়েই কাজ চালাতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি ল্যাপটপটি পোর্টেবল হিসেবে ব্যবহার করা লাগে। তাহলে অবশ্যই আগে ব্যাটারির অবস্থা জেনে নিন এবং বদলানো লাগলে খরচ কেমন পড়বে তাও জেনে নিন আগেই।
৪) ব্যাটারি চার্জার বা পাওয়ার অ্যাডাপ্টার- ব্যাটারি ঠিক মত চলছে নাকি জানার চেয়ে চার্জার ঠিক মত চলছে নাকি সেটা জানা বেশি জরুরী। কারণ ব্যাটারির চার্জ যখনি শেষ হোক আপনাকে সেটি রিচার্জ অবশ্যই করতে হবে। তাই চার্জারটি বা অ্যাডাপ্টারটি ঠিক আছে কিনা তা অবশ্যই আগে দেখে নিন।
কিছু কিছু ল্যাপটপের অ্যাডাপ্টার ইউনিভার্সাল হয় না, সেই ক্ষেত্রে আপনি যেটি কিনতে যাচ্ছেন সেটা কি আপনি চালাতে পারবেন নাকি অবশ্যই দেখে নিন।

৫) অপারেটিং সিস্টেম/ সফটওয়্যার- ল্যাপটপ চালাতে গেলে অবশ্যই একটি অপারেটিং সিস্টেম (যেমন- উইন্ডোজ, লিনাক্স ইত্যাদি) দরকার। বিভিন্ন সফটওয়্যারও দরকার হয় সেই সিস্টেমটি চালাতে গেলে। আপনি যেটি কিনবেন সেটাতে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে নাকি দেখে নিন। যদি না থাকে তবে বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করে নিন তার কাছে অরিজিনাল ডিস্ক আছে নাকি, যদি না থাকে তাহলে আপনার আলাদা করে ইন্সটলেশন ডিস্ক কেনা লাগতে পারে।

৬) হার্ড ড্রাইভের সাইজ- আপনি যেই ল্যাপটপটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির হার্ড ড্রাইভের সাইজ দেখে নিন আগেই, কারণ আপনার যদি অনেক ডেটা স্টোর করা লাগে এবং হার্ড ড্রাইভে জায়গা কম থাকে তাহলে আপনার আবার আলাদা করে হার্ড ড্রাইভ কেনা লাগতে পারে। তাই বেশি জায়গার হার্ড ড্রাইভ সহ ল্যাপটপ কেনাই ভালো।

৭) মেমোরি সাইজ- হার্ডড্রাইভে অনেক জায়গা থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় র্যা ম কম থাকার কারণে আপনার ল্যাপটপ অনেক স্লো হয়ে যায়। কিন্তু র্যাকম আপগ্রেড করা হার্ডড্রাইভ আপগ্রেড করা থেকে সহজ, তাই কম মেমোরির ল্যাপটপ কিনলেও আপনি পরে র্যামম বদলে আপনার ল্যাপটপের মেমোরি বাড়াতে পারবেন।

৮) প্রসেসর- ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসরটিও দেখে নিন। আপনার যদি স্লো কম্পিউটার পছন্দ না হয় তাহলে ভালো প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনুন, যেমন কোর টু ডুও, কোর আই ৩, কোর আই ৫, কোর আই ৭ ইত্যাদি।
৯) ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়েবক্যাম- ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়েবক্যাম এগুলি ঠিকমত কাজ করছে নাকি দেখে নিন। আজকাল অনেকেই ওয়াই-ফাই দিয়ে নেট কানেক্ট করে থাকেন, তাই এটি ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরী। ব্লুটুথও কাজ করছে নাকি দেখে নিন। ওয়েবক্যামটি চলে নাকি দেখে নিন কেনার আগে।

১০) স্পিকার- ল্যাপটপের স্পিকারটি ঠিক আছে নাকি দেখা অনেক জরুরী। গান শুনতে বা মুভি দেখতে স্পিকার লাগে আমাদের। অনেক সময় স্পিকারের আওয়াজ স্পষ্ট থাকে না, বা ফাটা থাকে, সেটি আগেই দেখে নিন। হেডফোনের পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট ও অন্যান্য পোর্টগুলোও ঠিক মত কাজ করছে নাকি চালিয়ে দেখে নিন।

এ সব কিছু বাদেও আরও কিছু জরুরী জিনিস আছে, যেমন আপনার এই ব্র্যান্ডটি পছন্দ কিনা, এই ডিজাইনটি পছন্দ হচ্ছে কিনা, বা এই ল্যাপটপটি কি আপনার ভালো লাগছে কিনা ইত্যাদি। সব কিছু বিবেচনা করে যেই ল্যাপটপটি আপনার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে হবে এবং আপানার পছন্দসই হবে সেই ল্যাপটপটিই আপনার কেনা উচিত।

এবার Excel এ Table এর Headings গুলোর অবস্থান লক করুন খুব সহজে!

অনেক সময় দেখা যায় আপনাকে একটা বড়সড় সাইজের কাজ Worksheet এ করতে হচ্ছে। মনে করুন আপনি একটা Salary Sheet বানাচ্ছেন। যাতে কয়েকশর মত Entry দেয়া লাগতে পারে। এবং এতে আপনাকে শিরোনাম অনুযায়ী ইনপুট দেয়া লাগে। যেমন -
Name, Designation, Basic ইত্যাদি ইত্যাদি।
আরো বিভিন্ন রকম কাজ আছে যাতে আপনার শিরোনাম অনুযায়ী কাজ করতে হয়। এ ধরনের কাজ করতে গেলে যে সমস্যাটা হয় তা হলো, উপরের দিক থেকে নিচের দিকে গেলে অনেক সময় আপনি বুঝতে পারবেন না কোন শিরোনামের অধীনে আপনি ফিগার বসাচ্ছেন।
আপনার হেডার সমূহ যাতে সারাক্ষণ Visible থাকে তার জন্য আপনাকে Freeze Panes নামে একটি অপশন ব্যবহার করতে হবে।
  • Office 2000 – Office 2013 পর্যন্ত সকল Version এ ই এই ফিচারটি বিদ্যমান আছে।
  • Office 2000/XP/2003 ব্যবহারকারীরা Freeze Panes অপশনটি পাবেন Window Menu তে।
  • আর Office 2007/2010/2013 ব্যবহারকারীরা এটি অপশনটি পাবেন View Tab এর Window  Section এ।
তবে অফিস এর পুরনো ভার্সনগুলোতে Freeze Panes অপশন ব্যবহার করাটা একটু টাফ। এতে কিছু কিছু ফিচার নেই। নতুন ভার্সনে কিছু নতুন Feature আছে। এখানে আপনি সরাসরি টপ রো Freeze করতে পারবেন। কিন্তু আগের গুলোতে আপনাকে ম্যানুয়ালী কাজটা করতে হবে। নতুনটাতে আপনি সরাসরি প্রথম কলামটিও লক করতে পারবেন।
যদি আপনার প্রথম ৩টি Row লক করা লাগে, তবে আপনি ৪ নম্বর Row তে কার্সর  রেখে Freeze Panes অপশনটি ব্যবহার করবেন। যে অংশটুকু ফ্রীজ করেছেন, আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করতে করতে একেবারে Worksheet এর শেষে চলে গেলেও সেগুলো দৃশ্যমান থাকবে।

মজার ব্যাপার হল এটা শুধু আপনার রো এর পজিশন লক করে দিবে। যদি আপনাকে ৫ টি পৃষ্ঠা প্রিন্ট করা লাগে তবে শুধু প্রথম পৃষ্ঠাতেই হেডারসমূহ প্রিন্ট হবে। সব পাতায় এটা আসবে না।

আজ এ পর্যন্ত। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেননা । সবাই ভালো থাকবেন। 

দুর্গা পূজা ও কিছু প্রচলিত কাহিনী।

দুর্গা মূলত শক্তি দেবী। বৈদিক সাহিত্যে দুর্গার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে দুর্গার বিশেষ আলোচনা ও পূজাবিধি তন্ত্র ও পুরাণেই প্রচলিত। যেসকল পুরাণ ও উপপুরাণে দুর্গা সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে সেগুলি হল: মৎস্যপুরাণ, মার্কণ্ডেয পুরাণ, দেবীপুরাণ, কালিকাপুরাণ ও দেবী-ভাগবত। তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন। বছরে দুইবার দুর্গোৎসবের প্রথা রয়েছে – আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে শারদীয়া এবং চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে বাসন্তী দুর্গাপূজা।

দেবী।হিন্দুরা তাঁকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। তাঁর অষ্টাদশভূজা, ষোড়শভূজা, দশভূজা, অষ্টভূজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দশভূজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। তাঁর বাহন সিংহ (কোনো কোনো মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী-মূর্তিতে তাঁকে মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধরত অবস্থায় দেখা যায়।

দুর্গা শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ শব্দকল্পদ্রুম-এ এই ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। “দ” অক্ষরটি দৈত্য নাশ করে, উ-কার বিহ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, “গ” অক্ষর পাপ নাশ করে এবং আ-কার শত্রু নাশ করে। যিনি দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ, ভয় ও শত্রু নাশ করেন, তিনিই দুর্গা।
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত। আশ্চিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে দুর্গাপূজা পালিত হয়। সেক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পূজা শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরের মৃন্ময়ী মন্দির এবং অনেক পরিবারে এই রীতি প্রচলিত আছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাতে মহাসপ্তমী থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মহাসপ্তমী থেকে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা পর্যন্ত) চার দিন সরকারি ছুটি থাকে। বাংলাদেশে বিজয়াদশমী সরকারি ছুটির দিন।
ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের সময় সর্বজনীন পূজা শুরু হয়। সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতারা বিভিন্ন সর্বজনীন পূজার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। এখন সর্বজনীন পূজায় “থিম” বা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। থিমগুলির শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে “শারদ সম্মান” নামে বিশেষ পুরস্কারও দেওয়া হয়। এছাড়া বেলুড় মঠ সহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন শাখাকেন্দ্র এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের বিভিন্ন কেন্দ্রে সন্ন্যাসীরা দুর্গাপূজার আয়োজন করেন।

দুর্গা সম্বন্ধে প্রচলিত গল্পঃ
দেবী দুর্গা মহাদেবের স্ত্রী৷ মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গচ্যুত দেবতারা ব্রহ্মার শরণ নিলে ব্রহ্মা, শিব ও অন্য সকলকে নিয়ে বিষ্ণু কাছে আসেন৷ তাঁদের দুর্দশার কথা জানিয়ে তাঁরা ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন, এর থেকে মুক্তির পথ কী? স্বয়ং ব্রহ্মার দেওয়া বরেই মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেনা কোনও পুরুষ৷ বিষ্ণু এর উত্তরে বলেন, এই পরাক্রমশালী অসুরকে বধ করতে হলে নিজের নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়ে নিজ নিজ তেজের কাছে প্রার্থনা করতে হবে যে তাঁদের মিলিত তেজ থেকে যেন এক নারীমূর্তির আবির্ভাব হয়৷ বিষ্ণুর কথা মতো কাজ শুরু করেন দেবতারা৷ দেবতাদের দেহ থেকে তেজ নির্গত হয়ে সৃষ্টি হয় এক অপরূপা দেবীর৷ যে দেবতাদের দেহ থেকে তেজ নির্গত হয়েছিল, তার মধ্যে ছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা, শিব, বিষ্ণু ও ইন্দ্র৷ দেবতারা তাঁদের নিজেদের অস্ত্র এই দেবীকে দান করেন৷ পুরুষদের ‘অবাধ্য’ মহিষাসুরকে তিন বার বধ করেন এই দেবী৷ প্রথম বার অষ্টদশভূজা উগ্রচণ্ডা রূপে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার দশভূজা দুর্গারূপে৷ রাতে স্বপ্নে ভদ্রকালীর মূর্তি দেখে মহিষাসুর বলেন, “আপনার হাতে মৃত্যু হতে আমার কোনও দুঃখ নেই৷ কিন্তু আমিও যেন আপনার সঙ্গে পুজিত হই, তারই ব্যবস্থা করুন৷ দেবীর উত্তর, “উগ্রচণ্ডা, ভদ্রকালী ও দুর্গা—এই তিন মূর্তিতে তুমি সব সময় আমার পদতলে থেকে দেবতা, মানুষ ও রাক্ষসদের পূজ্য হবে৷”
রাজা সুরথের গল্প
রাজা সুরথের গল্পটি শ্রীশ্রীচণ্ডী-র প্রধান তিনটি গল্পের অবতরণিকা ও যোগসূত্র। সুরথ ছিলেন পৃথিবীর রাজা। সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। কিন্তু একবার এক যুদ্ধে এক যবন জাতির হাতে তাঁর পরাজয় ঘটে। সেই সুযোগে তাঁর মন্ত্রী ও সভাসদেরা তাঁর ধনসম্পদ ও সেনাবাহিনীর দখল নেন। সুরথ মনের দুঃখে বনে চলে আসেন। বনের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধা নামে এক ঋষির আশ্রমে এসে উপস্থিত হন। মেধা রাজাকে সমাদর করে নিজের আশ্রমে আশ্রয় দেন। কিন্তু বনে থেকেও রাজার মনে সুখ ছিল না। সব সময় তিনি তাঁর হারানো রাজ্যের ভালমন্দের কথা ভেবে শঙ্কিত হতেন। এমন সময় একদিন বনের মধ্যে সুরথ সমাধি নামে এক বৈশ্যের দেখা পেলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সুরথ জানতে পারলেন, সমাধির স্ত্রী ও ছেলেরা তাঁর সব টাকাপয়সা ও বিষয়সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাও তিনি সব সময় নিজের স্ত্রী ও ছেলদের কল্যাণ-অকল্যাণের কথা চিন্তা করে শঙ্কিত হন। তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগল, যারা তাঁদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে, তাদের প্রতি তাঁদের রাগ হচ্ছে না কেন? কেনই বা তাঁরা সেই সব লোকেদের ভালমন্দের কথা চিন্তা করে করে শঙ্কিত হচ্ছেন? দুজনে মেধা ঋষিকে এই কথা জিজ্ঞাসা করলে, ঋষি বললেন, পরমেশ্বরী মহামায়ার প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে। সুরথ তাঁকে মহামায়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি একে একে তাঁকে তিনটি গল্প বলেন। এই গল্পগুলিই শ্রীশ্রীচণ্ডী-র মূল আলোচ্য বিষয়। বইয়ের শেষে দেখা যায়, মেধার গল্প শুনে সুরথ ও সমাধি নদীর তীরে তিন বছর কঠিন তপস্যা ও দুর্গাপূজা করলেন এবং শেষে দুর্গা তাঁদের দেখা দিয়ে সুরথকে হারানো রাজ্য ফিরিয়ে দিলেন এবং বৈশ্যকে তত্ত্বজ্ঞান দিলেন।

শুম্ভ-নিশুম্ভের কাহিনি
দেবীমাহাত্ম্যম্-এ বর্ণিত দেবী দুর্গা সংক্রান্ত তৃতীয় ও সর্বশেষ কাহিনিটি হল শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের কাহিনি। গ্রন্থের উত্তর চরিত্র বা তৃতীয় খণ্ডে বিধৃত পঞ্চম থেকে একাদশ অধ্যায়ে এই কাহিনি বর্ণিত হয়েছে : শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই অসুরভ্রাতা স্বর্গ ও দেবতাদের যজ্ঞভাগ অধিকার করে নিলে দেবগণ হিমালয়ে গিয়ে বৈষ্ণবী শক্তি মহাদেবীকে স্তব করতে লাগলেন (পঞ্চম অধ্যায়ে উল্লিখিত এই স্তবটি অপরাজিতস্তব নামে পরিচিত; এটি হিন্দুদের নিকট অতিপবিত্র ও নিত্যপাঠ্য একটি স্তবমন্ত্র; “যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা” ও সমরূপ মন্ত্রগুলি এই স্তবের অন্তর্গত)। এমন সময় সেই স্থানে পার্বতী গঙ্গাস্নানে উপস্থিত হলে, আদ্যাদেবী ইন্দ্রাদি দেবতার স্তবে প্রবুদ্ধা হয়ে তাঁর দেহকোষ থেকে নির্গত হলেন। এই দেবী কৌশিকী নামে আখ্যাত হলেন ও শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। শুম্ভ-নিশুম্ভের চর চণ্ড ও মুণ্ড তাঁকে দেখতে পেয়ে নিজ প্রভুদ্বয়কে বললেন যে এমন স্ত্রীলোক আপনাদেরই ভোগ্যা হবার যোগ্য। চণ্ড-মুণ্ডের কথায় শুম্ভ-নিশুম্ভ মহাসুর সুগ্রীবকে দৌত্যকর্মে নিযুক্ত করে দেবীর নিকট প্রেরণ করলেন। সুগ্রীব দেবীর কাছে শুম্ভ-নিশুম্ভের কুপ্রস্তাব মধুরভাবে ব্যক্ত করল। দেবী মৃদু হেসে বিনীত স্বরে বললেন, “তুমি সঠিকই বলেছ। এই বিশ্বে শুম্ভ-নিশুম্ভের বীর কে আছে? তবে আমি পূর্বে অল্পবুদ্ধিবশতঃ প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে আমাকে যুদ্ধে পরাভূত করতে পারবে, কেবলমাত্র তাকেই আমি বিবাহ করব। এখন আমি প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করি কি করে! তুমি বরং মহাসুর শুম্ভ বা নিশুম্ভকে বল, তাঁরা যেন এখানে এসে আমাকে পরাস্ত করে শীঘ্র আমার পাণিগ্রহণ করেন। আর বিলম্বে কি প্রয়োজন?” সুগ্রীব ক্রোধান্বিত হয়ে দেবীকে নিরস্ত হতে পরামর্শ দিল। কিন্তু দেবী নিজবাক্যে স্থির থেকে তাকে শুম্ভ-নিশুম্ভের কাছে প্রেরণ করলেন।
দেবীর কথায় কুপিত হয়ে অসুররাজ শুম্ভ তাঁকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে দৈত্যসেনাপতি ধূম্রলোচনকে প্রেরণ করলেন। ধূম্রলোচনের সঙ্গে দেবীর ভয়ানক যুদ্ধ হল ও সেই যুদ্ধে ধূম্রলোচন পরাজিত ও নিহত হল। এই সংবাদ পেয়ে শুম্ভ চণ্ড-মুণ্ড ও অন্যান্য অসুরসৈন্যদের প্রেরণ করল। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য দেবী নিজ দেহ থেকে দেবী কালীর সৃষ্টি করলেন। চামুণ্ডা ভীষণ যুদ্ধের পর চণ্ড-মুণ্ডকে বধ করলেন। তখন দেবী দুর্গা তাঁকে চামুণ্ডা আখ্যায় ভূষিত করলেন।
চণ্ড-মুণ্ডের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সকল দৈত্যসেনাকে সুসজ্জিত করে প্রেরণ করলেন দেবীর বিরুদ্ধে। তখন তাঁকে সহায়তার প্রত্যেক দেবতার শক্তি রূপ ধারণ করে রণক্ষেত্রে উপস্থিত হলেন। এই দেবীরা হলেন ব্রহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী, নারসিংহী, ঐন্দ্রী প্রমুখ। এঁরা প্রচণ্ড যুদ্ধে দৈত্যসেনাদের পরাভূত ও নিহত করতে লাগলেন। এই সময় রক্তবীজ দৈত্য সংগ্রামস্থলে উপস্থিত হল। তার রক্ত একফোঁটা মাটিতে পড়লে তা থেকে লক্ষ লক্ষ রক্তবীজ দৈত্য সৃষ্টি হয়। এই কারণে দুর্গা কালীর সহায়তায় রক্তবীজকে বধ করলেন। কালী রক্তবীজের রক্ত মাটিতে পড়তে না দিয়ে নিজে পান করে নেন।
এরপর শুম্ভ আপন ভ্রাতা নিশুম্ভকে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর দেবী দুর্গা নিশুম্ভকে বধ করলেন। প্রাণপ্রতিম ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে আকুল হয়ে শুম্ভ দেবীকে বলল, “তুমি গর্ব করো না, কারণ তুমি অন্যের সাহায্যে এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছ।” তখন দেবী বললেন,
“একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মামপরা। পশ্যৈতা দুষ্ট মধ্যেব বিশন্ত্যো মদ্বিভূতয়।”
-একা আমিই এ জগতে বিরাজিত। আমি ছাড়া দ্বিতীয় কে আছে? রে দুষ্ট, এই সকল দেবী আমারই বিভূতি। দ্যাখ্, এরা আমার দেহে বিলীন হচ্ছে।
তখন অন্যান্য সকল দেবী দুর্গার দেহে মিলিত হয়ে গেলেন। দেবীর সঙ্গে শুম্ভের ঘোর যুদ্ধ আরম্ভ হল। যুদ্ধান্তে দেবী শুম্ভকে শূলে গ্রথিত করে বধ করলেন। দেবতারা পুনরায় স্বর্গের অধিকার ফিরে পেলেন।
কৃত্তিবাসি রামায়ণ
বাল্মীকির রামায়ণে রামের দুর্গাপূজার কোনো বিবরণ নেই। কিন্তু রামায়ণের পদ্যানুবাদ করার সময় কৃত্তিবাস ওঝা কালিকাপুরাণ ও বৃহদ্ধর্মপুরাণ-এর কাহিনি কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে সংযোজিত করেছেন। কৃত্তিবাসি রামায়ণ অনুসারে, রাবণ ছিলেন শিব ভক্ত। শিব তাঁকে রক্ষা করতেন। তাই ব্রহ্মা রামকে পরামর্শ দেন, শিবের স্ত্রী দুর্গার পূজা করে তাঁকে তুষ্ট করতে। তাতে রাবণ বধ রামের পক্ষে সহজসাধ্য হবে। ব্রহ্মার পরামর্শে রাম শরৎকালে দুর্গার বোধন, চণ্ডীপাঠ ও মহাপূজার আয়োজন করেন। আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিন রাম কল্পারম্ভ করেন। তারপর সন্ধ্যায় বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস করেন। মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজার পরেও দুর্গার আবির্ভাব না ঘটায়, রাম ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পূজার পরিকল্পনা করেন। হনুমান তাঁকে ১০৮টি পদ্ম জোগাড় করে দেন। দুর্গা রামকে পরীক্ষা করার জন্য একটি পদ্ম লুকিয়ে রাখেন। একটি পদ্ম না পেয়ে রাম পদ্মের বদলে নিজের একটি চোখ উপড়ে দুর্গাকে নিবেদন করতে গেলে, দুর্গা আবির্ভূত হয়ে রামকে কাঙ্ক্ষিত বর দেন।

সুত্র- প্রজন্ম ব্লগ 

যারা SEO শিখতে চান তাদের জন্য ১০ টি SEO টিপস। আসুন জেনেনি।

আপনারা যারা এসইও শিখতে চান তাদের জন্য আজ নিয়ে এলাম স্টেপ বাই স্টেপ ১০ টি SEO টিপস। আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট এর এসইও করতে চান তবে এই ধাপ গুলো অনুসরণ করে এসইও করতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

১। Keyword Research: প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে Keyword Research. এটি হচ্ছে এসইও এর মধ্যে সবেচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় কারন সার্চ ইঞ্জিন ও মানুষ উভয়ই নিদিষ্ট Keyword এর উপর ভিত্তি করে আপনার ওয়েবসাইট টিকে খুজে পাবে। Keyword Research এর জন্য অনেক গুল টুল পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Google Keyword Planner, Market Samurai, Long Tail Pro ইত্যাদি।

২। Keyword Density: ভালোভাবে সাইট কে অপটিমাইজ করতে হলে Keyword Density ২ থেকে ৪% হওয়া বাঞ্ছনিয়। দ্রুত গুগল এর প্রথম পেজ সাইট কে নিয়ে আসার জন্য আপনি যদি Keyword Density ৫% এর উপরে করেন তবে গুগল আপনার সাইট কে পেনাল্টি বা সাইট ব্যান করে দিতে পারে।

৩। Optimize Page Titles & Meta Description: প্রতিটি পেজ এর জন্য আলাদা আলাদা উনিক টাইটেল থাকতে হবে। এক্ষেত্রে টাইটেল যেন ৭০ অক্ষরের বেশি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঠিক তেমনি প্রতিটি পেজ বা পোস্টের মেটা ডিস্ক্রিপসন ও থাকতে হবে। মেটা ডিস্ক্রিপসন ১৫০-১৬০ অক্ষরের মধ্যে হলে ভাল।

৪। Duplicate Content: এখন বলা হয় Content is the king তাই বুঝা যাচ্ছে গুগল এখন কনটেন্ট কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই আপনাকে উইনিক কনটেন্ট লিখতেই হবে। কোন মতেই কপি পেস্ট করা চলবে না।

৫। XML Sitemap: XML সাইটমেপ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট এর প্রতিটি লিঙ্কের একটি পেজ। এই পেজ টির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন দ্রুত আপনার সাইট কে ইনডেক্স করতে পারে। এর মূল উদ্দেশ্য হল সার্চ ইঞ্জিন যেন সহজেই বুঝতে পারে আপনার সাইট এ কোন কোন পেজ বা পোস্ট আছে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তবে Google XML Sitemaps এই প্লাগিন টির মাধ্যমে সহজেই এক্সএমএল সাইটমেপ তৈরি করতে পারবেন।

৬। Broken Links: আপনার ওয়েবসাইট এ যেন কোন প্রকার Broken Links না থেকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তবে Broken Link Checker প্লাগিন টি ব্যাবহার করতে পারেন।

৭। Backlinks: একটি ওয়েবসাইট এর জন্য Backlinks খুবি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকলিঙ্কস হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক টি অন্য কোন ওয়েবসাইট এ উল্লেখ থাকা। যত বেশি ব্যাকলিঙ্ক তত বেশি ভাল। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ১০০ টি পেজ রেঙ্ক ছাড়া ব্যাকলিঙ্ক থেকে ১ টি PR 8-9 এর ব্যাকলিঙ্ক অনেক বেশি ভাল।

৮। Image Optimization: বলা হয়ে থাকে যে ১০০০ ওয়ার্ড এর চেয়ে একটি ছবির মূল্য অনেক বেশি। তাছাড়া আপনি যদি ইমেজ সার্চ থেকে ট্রাফিক পেতে চান তবে ইমেজ এর ALT Tag এর মধ্যে আপনার কি ওয়ার্ড টি বসিয়ে অপটিমাইজ করতে হবে।

৯। Google Webmaster And Google Analytics: ভাল এসইও করতে হলে আপনাকে অবশ্যই গুগল ওয়েব মাষ্টার টুল এবং গুগল এনালিটিক্স টুল ব্যাবহার করা প্রয়োজন।

১০। Robots.txt: Robots.txt ফাইল টি ওয়েবসাইট এর রুট ডাইরেক্টরি তে রাখতে হয়। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে পেজ ইনডেক্স করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ওয়েবসাইট এর কোন পেজ টি ইনডেক্স করতে হবে বা হবে না তা এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কে বলে দেওয়া যায়।

আশাকরি আপনারা যারা নতুন তাদের কাজে দিবে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।  ধন্যবাদ

আম্বুস (AMBOOS)টুলস এর মাধ্যমে কিভাবে কম্পানির এড ডিজাইন করা হয় আসুন দেখি। পর্ব- ৪

বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন।গত পর্বগুলোতে আমরা ফটোশপ সম্পর্কে এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি।আজ ফটোশপ টিউটোরিয়াল এর মেইন পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত জাদের কাছে অ্যাডবি ফটোশপ সফটওয়্যার টি নাই তারা এখনি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন
আজকে আমরা আলোচনা করব ফটোশপ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ টুলস নিয়ে। আজ আমরা আম্বুস (AMBOOS)টুলস নিয়ে আলোচনা করব। আমরা এখানে দেখবো বিভিন্ন লেয়ার ইফেক্ট এর মাধমে কিভাবে কোন কম্পানির এড ডিজাইন করা হয়। আপনারা উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেখানে একটি নাভানা কম্পানির এড তৈরি করা হয়েছে। চুলুন কথা না বাড়িয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালটি দেখি এবং নিজে নিজে চেষ্টা করি। 



ভিডিওটি চাইলে কেও ডাউনলোড করে রাখতে পারেন তবে শুধু ডাউনলোড করলে হবে না অবশ্যই নিওমিত চর্চা করতে হবে।
আগামি পর্বে আমরা কলন(COLONE) টুলস নিয়ে আলোচনা করব। সে পর্যন্ত সাথে থাকবেন। কোন বিষয় জানার থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। সবার সুস্ততা কামনা করছি। ধন্যবাদ ।   

মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলার কিছু টিপস। আসুন জেনেনি এখুনি।

যুগের বিবর্তনে এবং প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন আমাদের হাতের মুঠোয় আমরা যে স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করি এগুলোতে অনান্য কম্পোনেন্টের পাশাপাশি ক্যামেরা ইউনিটেও চমৎকার কিছু সুবিধা যোগ করা হচ্ছে। এবং এরই প্রেক্ষিতে ছবি তোলা এখন শুধু পয়েন্ট অ্যান্ড শুট অথবা ডিএসএলআরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এখন কেউ কোথাও ঘুরতে বা কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হাতে করে একটি বাড়তি ডিভাইস নিয়ে যেতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না, স্মার্টফোনকেই যথেষ্ট মনে করেন। তবে অবশ্যই সিরিয়াস ফটোগ্রাফারদের কথা আলাদা। ইদানিং ফেসবুক, টুইটার এবং এরকম অনান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে এখন সাধারণ মানুষও বেশ ছবি তুলে থাকেন। কেননা এখনকার বেশির ভাগ লো-এন্ড মোবাইল ফোনগুলোতেও ছবির মান মোটামুটি ভালোই আসে, আর এখান থেকেই সাধারণ মানুষের মাঝেও জন্ম নিচ্ছে একটি করে ফটোগ্রাফারের স্বত্বা। হয়তো আপনিও একজন শখের এবং এক্সট্রিম ফোনোগ্রাফার অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোনটি দিয়েই ছবি তোলেন। আর আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা ইউনিটটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন, জেনে নেয়া যাকঃ

১। ফটোগ্রাফির বেসিক নিয়ম গুলো জানুনঃ ফটগ্রাফির কিছু বেসিক নিয়ম কানুন রয়েছে, আপনি ইন্টারনেট ঘাটলেই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন, সূর্যের সাত নিয়ম, রুল অফ থার্ড – ইত্যাদি। এগুলো জেনে নেয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই ভালো ফ্রেম নির্ধারন করতে পারবেন এবং ছবি তোলার পর অন্তত আগের কম্পোজিশন গুলোর ভিন্নতা আপনি নিজেই ধরতে পারবেন। এই বেসিক নিয়ম গুলো আপনার ফটোগ্রাফির বেস শক্ত করে নিতে (ভিত্তি) পারবেন এবং এই নিয়ম গুলো মেনে ছবি তুললে অতি সাধারণ একটি ছবিকেও অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারবেন।

২। আলোর কথা মাথায় রাখুনঃ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় এখনো একটি সীমাবদ্ধতা রয়েই গিয়েছে। বেশির ভাগ মোবাইলের ক্যামেরাই লো-লাইটে ভালো ছবি তুলতে সক্ষম নয়। তাই ছবি তোলার ক্ষেত্রে প্রথমে এমন একটি দিক নির্বাচন করুন যেন সেই দিকের বিপরীতে অবজেক্টকে রাখলে অন্তত ক্যামেরা প্রয়োজনীয় আলো পেতে পারে। স্থির সাবজেক্টের ক্ষেত্রে আপনি আপনার অবস্থান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ‘সিল্যুয়েট’ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এই দিক নির্দেশনা বিপরীত হবে।

৩। লেন্স পরিষ্কার রাখুনঃ মোবাইল ব্যবহার করতে করতে এক সময় দেখা যায় মোবাইলের বডিতে স্ক্র্যাচ (দাগ) পড়েছে। এবং ক্যামেরা পিছনে থাকায় ক্যামেরার উপরের নিরাপত্তা স্তরেও দাগের কারণে ছবি ঝাপসা আসতে পারে। এর জন্য হয় এমন কিছু ব্যবহার করুন যা আপনার মোবাইলটির ক্যামেরা প্রোটেক্ট করতে পারে। এবং যদি দাগ পড়েই যায় তবে আপনি ছবি তোলার সময় ব্যাক কভার (সব মডেল আবার এক নয়) খুলে ছবি তুলতে পারেন। আর, মোবাইলের ক্যামেরার লেন্সের উপর মাঝে মাঝে ধুলোবালি বা জলীয় বাষ্প জমে যেতে পারে,তাই মাঝে মধ্যেই লেন্স পরিষ্কার করুন।

৪। ডিজিটাল জুম ব্যবহার করবেন নাঃ নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন আপনার মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় জুম করে ছবি তুললে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছবির মান যাচ্ছেতাই হয়। কেননা, মোবাইলের ক্যামেরা গুলোতে ডিজিটাল জুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফলে জুম ব্যবহার করলে ছবি ফাটা ফাটা আসে এবং ছবিতে প্রচুর পরিমানে আইএসও দেখা যায়। তাই, চেষ্টা করবেন জুম না করে ছবি তোলার। দরকার হলে যতটা সম্ভব সাবজেক্টের কাছে গিয়ে ছবি তুলে দেখতে পারেন।

৫। ফ্ল্যাশ ব্যবহারে সতর্ক হনঃ এখন প্রায় মোবাইলের ক্যামেরা ইউনিটেই এলইডি ফ্ল্যাশ থাকে। ফ্ল্যাশে ব্যবহারে আপনার সতর্ক থাকা উচিৎ। কেননা, অটো ফ্ল্যাশ নামে যে অপশনটি ক্যামেরা অ্যাপে ইন্টিগ্রেট করা থাকে তা মাঝে মধ্যেই সঠিক ভাবে কাজ করেনা। দেখা গেল, আপনি ছবি তুলছেন দিনের আলোয় যেখানে পর্যাপ্ত আলো রয়েছে। কিন্তু আপনার মোবাইলের ফ্ল্যাশটা তবুও জ্বলে উঠে আপনার ছবিতে ১২টা বাজিয়ে দিল। আবার ধরুন, অন্ধকারে যখন আপনার ফ্ল্যাশ দরকার তখন হঠাত করে ফ্ল্যাশের অটো মোড কাজ করলো না। তাই, ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে চাইলে আপনার প্রয়োজন বুঝে হয় ফ্ল্যশ অন অথবা ফ্ল্যাশ অফ মোডে ব্যবহার করা উচিৎ। আর আপনার যদি ফ্ল্যাশের আলোটা কিছুটা রাফ মনে হয় বা নির্দিষ্ট একটি মুহুর্তের জন্য অতিরিক্ত মনে হয় তবে আপনি ফ্ল্যাশের সামনে একটি সাদা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পারেন, ভালো ফল পাবেন।

৬। রেজ্যুলেশন সেটিংস খেয়াল করুনঃ আপনি আপনার ক্যামেরা অ্যাপের অপশনে গিয়ে বিভিন্ন রকম অপশন দেখতে পারবেন, যার মাঝে ছবির কোয়ালিটি এবং রেজ্যুলেশন নির্ধারন করে দেয়া যায়। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ‘যে এখনো কেন রেজ্যুলেশনে ৬৪০x৪৮০ দেয়া থাকে?’ আসলে, আপনিতো আর একই পারপাসে ছবি তুলবেন না। ভিন্ন ভিন্ন কারণে আপনি একেক রেজ্যুলেশন নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন, আপনি একজনকে একটি ছবি তুলে এমএমএস পাঠাতে চাইছেন। তখন আপনি ছোট রেজ্যুলেশনের ছবি ব্যবহার করতে পারেন। ছোট রেজ্যুলেশনের ছবি গুলোর মান কিন্তু ভালো হয় এবং মেমরীতে সেভও হয় দ্রুত। আবার তাই বলে যেন এমন না হয় যে আপনি সারাদিন ছবি তুলে বাসায় গিয়ে কম্পিউটারে ছবিগুলো ট্রান্সফার করে দেখলেন ছবিগুলো সব ছোট সাইজের।

৭। হাত না কাঁপিয়ে ছবি তুলতে চেষ্টা করুনঃ আইফোন এবং অনান্য স্মার্টফোনের জন্যেও এখন ট্রাইপড পাওয়া যায় প্রযুক্তি বাজারে। সম্ভব হলে ট্রাইপড ব্যবহার করুন। কেননা, ছবি তোলার সময় যদি আপনার হাত সামান্য কাপে তবে তা আপনার স্মার্টফোনের ছোট পর্দায় না দেখতে পেলেও আপনি যখন কম্পিউটারে দেখবেন তখন আপনার চোখে সেই ত্রুটি ধরা পড়বে। এজন্যে, ট্রাইপড ব্যবহার করুন বা ছবিতোলার সময় যে হাত দিয়ে মোবাইলটি ধরবেন সেই হাতের কনুই পেটের সাথে লাগিয়ে ছবি তুলুন। এতে করে বাড়তি সাপোর্ট পাবেন।

৮। হোয়াইট ব্যালান্সঃ মূলত মোবাইলের ক্যামেরা সমূহ হোয়াইট ব্যালেন্স বেশ ভালো ভাবেই ডিটেক্ট করতে পারে কিন্তু সমস্যা হয় যখন আপনি ছবি তুলতে যাবেন লো-লাইট কন্ডিশনে। তাই, লো-লাইট কন্ডিশনে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ক্যামেরা অ্যাপ চালু করেই ছবি না তুলে ক্যামেরাকে নির্দিষ্ট সাবজেক্টের উপর ফোকাস করতে যথেষ্ট সময় দিন, ভালো ফল পাবেন। এছাড়াও আপনি ক্যামেরার অপশন থেকে বিভিন্ন রকম হোয়াইট ব্যালান্স সেটিং ব্যবহার করতে পারেন যেমন, ডে-লাইট, ফ্লুরোসেন্ট, ক্লাউডি ইত্যাদি। এগুলোও আপনার ছবিতে ভেরিয়েশন আনতে সাহায্য করবে।

৯। এক্সপোসারঃ এক্সপোসার – বিষয়টি যেমন ডিএসএলআরে গুরুত্ব পূর্ন তেমনি মোবাইল ক্যামেরাতেও। মূলত সমগ্র ফটোগ্রাফিক দুনিয়াতেই এর মহত্ব অনেক। এক্সপোসারের ভুল সিলেকশন যেমন চমৎকার পরিবেশের একটি ছবিকেও বিদঘুটে করে তুলতে পারে তেমনি বুঝে শুনে ব্যবহার করলে আপনি সাধারণ মানের একটি বিষয়কেও কিছু ক্ষেত্রে অসাধারণ করে তুলতে পারবেন। আপনি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা সেটিংসে গিয়ে দেখবেন এক্সপোসার বৃদ্ধি বা কমানোর সুবিধা আছে। লো-লাইট কন্ডিশনে যদি আপনি এক্সপোসার সামান্য বাড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন তবে আপনি বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

১০। পোস্ট প্রসেসিংঃ আপনি ছবিতোলার পর মোবাইলে বা কম্পিউটারে ছবি গুলো হয়ত কিছুটা এডিট করে থাকেন? এই প্রসেসটিকেই বলা হয় পোস্ট প্রসেসিং। কম্পিউটারে ফটোশপ, গিম্প টাইপের সফটওয়্যার দিয়ে ভালো মানের পোস্ট প্রসেসিং করে একটি ফেলে দেয়া ছবিকেও করে তুলতে পারেন সুন্দর। পোস্ট প্রসেসিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবিকে নতুন ভাবে অলংকৃত করে তুলতে পারেন। শেষ কথাঃ ইদানীং সময়ে সবারই মোবাইলে ছবি তোলার ক্রেজকে লক্ষ্য করেই আজ আমার এই ব্লগটি লেখা। ছবি যখন তুলবেনই, আরও একটু জেনে-বুঝে যত্ন করেই না হয় তুলুন? যাই হোক, আজ আর লিখবোনা। ভালো থাকুন, নিয়ম গুলো মানার চেষ্টা করুন।

ব্যাটারি সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারনা। আসুন জেনেনি এবং সচেতন থাকি।

মোবাইল চার্জিং কিংবা ব্যাটারি নিয়ে প্রতিনিয়তই আমরা বিভিন্ন ধরনের কথা শুনে থাকি। বিভিন্ন রকম গুজব প্রচলিত রয়েছে এই বিষয়কে ঘিরে। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে এমনি কয়েকটি ভুল ধারণা এবং সেগুলোর সঠিক দিকগুলো।
 ১. নন-ব্র্যান্ডেড চার্জার ব্যাটারির ক্ষতি করেঃ অন্য ব্র্যান্ডের কিংবা নন ব্রান্ডেড চার্জার, সন্তোষজনক না হলেও এগুলো বেশ ভালোই কাজ করে। তবে একদমই কমদামী নড়বড়ে চার্জার ব্যবহার না করাই ভালো। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, অফিসিয়াল চার্জারের মত কাজ না হলেও বেশ ভালোভাবেই এগুলো কাজ করে।

 ২. চার্জ দেওয়া অবস্থায় ফোন ব্যবহার ঠিক নাঃ অনেকেই মনে করে, ফোন চার্জ দেওয়ার সময় এটি ব্যবহার করলে ব্যাটারির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এটি একেবারেই ভুল কথা। আপনি যদি ফোনের অরিজিনাল চার্জার কিংবা ভালো মানের থার্ড পার্টি চার্জার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে এটা নিয়ে আপনার একদমই চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

 ৩. রাতভর চার্জ দিলে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ঃ এই উপদেশ শোনেননি, এমন মানুষ কমই আছে। তবে মানুষের চেয়ে তাদের মোবাইল ফোন বেশি স্মার্ট। আপনার ফোনের ব্যাটারি পূর্ন চার্জ হয়ে গেলে এটি নিজে থেকেই চার্জিং বন্ধ করে দিতে পারে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, একটি গ্লাস পানিতে পূর্ন থাকলে আপনি কি আরো পানি রাখতে পারবেন? আপনার ব্যাটারির চার্জ ৪০% থেকে ৮০% রাখুন। ব্যাটারি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

 ৪. আপনার ফোন কখনোই বন্ধ করার দরকার নেইঃ আপনার ফোন একটি যন্ত্র হতে পারে, কিন্তু তারপরেও এর বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। অ্যাপলেরর একজন বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন," আপনার ফোনের পারফর্মেন্স ঠিক রাখতে বিভিন্ন সময় এটিকে বন্ধ রাখা প্রয়োজন, বিশেষ করে আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যান।" তবে আপনার ব্যাটারি লাইফ ঠিক রাখতে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার হলেও বন্ধ করুন। আর একবার ফোন রিস্টার্ট দিলে ব্যাটারি লাইফ বেশ ভালোই বেড়ে যায়।

 ৫.ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ না হলে চার্জ দেওয়া যাবে নাঃ একবারে অনেকক্ষণ চার্জ না দিয়ে প্রতিদিন চার্জ দেওয়া ভালো। বর্তমানে অধিকাংশ ফোনে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। চার্জশূন্য হলে এসকল ব্যাটারি বেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লাইফ সাইকেল থাকে। একবার চার্জশূন্য হলে একটি সাইকেল শেষ হয়।

ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন। 

ডাউনলোড করে নিন অ্যাডবি ফটোশপ 7.0 সাথে থাকছে সিরিয়াল কি (মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক)। পর্ব- ৩

সবাইকে সালাম জানাই।আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং ভালো থাকবেন ।গত দুটি পর্বে আমরা ফটোশপ সম্পর্কে ও এর শর্ট-কাট কি গুলো সম্পর্কে জেনেছি।আজ আসলে আমরা কোন বিষয় সম্পর্কে জানবো না। আমাদের অনেকের কাছে অ্যাডবি ফটোশপ 7.0 আছে। এ পোস্টটি শুধু তাদের জন্য জাদের কাছে অ্যাডবি ফটোশপ 7.0 সফটওয়্যার টি নাই। আপনাদের ডাউনলোড করার সুবিদার জন্য সফটওয়্যার টি জিপ ফাইল আকারে দেয়া হল মাত্র ১৬০ মেগাবাইট ও মিডিয়া ফায়ার এর লিঙ্ক দেয়া হল।  চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ডাউনলোড করে ফেলি। 
প্রথমে নিচের লিঙ্ক হতে ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করার পর ইন্সটল করুন।

লিঙ্কঃhttp://www.mediafire.com/download/7otewa3p127k3p1/Photoshop+7.0+Full.zip

সিরিয়াল নাম্বার নিচে দেওয়া হল যে কোন একটি ব্যবহার করুনঃ 
  • 1045-1275-2546-0411-5466-5760
  • 1045-1209-6738-4668-7696-2783
  • 1045-1208-8261-8319-6942-3707



কোনো সমস্যা হলে কমেন্ট করুন।ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ...

হজ পালনের নির্দেশিকা মুঠোফোনে। হজ যাত্রীদের জন্য খুবই দরকারি একটা অ্যাপ্লিকেশান নিয়ে নিন এখুনি।

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য হজ পালনের নির্দেশনা নিয়ে মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। মুঠোফোনে হজের দরকারি সব তথ্য পাওয়া সহজ করতে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড পিলগ্রিম গাইড নামের এই অ্যাপ তৈরি করেছে। এটি ব্যবহার করতে চাইলে দরকার অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালিত স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ সৌদি আরবের কোনো একটি মোবাইল ফোন সংযোগ। গুগল অ্যানড্রয়েড স্টোর থেকে বা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের ওয়েবসাইট (www.hajj.gov.bd) থেকে পিলগ্রিম গাইড অ্যাপটি নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। 
পিলগ্রিম গাইড অ্যাপ ইনস্টল হলে সেটিংস থেকে হাজি তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বা পিলগ্রিম আইডি (৭ সংখ্যার নম্বর) ও জন্মতারিখ লিখে নিবন্ধন করবেন। এতে পথনির্দেশনা (ডিরেকশন), সংবাদ (নিউজ), নামাজের সময়, তথ্য (ইনফরমেশন), জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ এবং প্রোফাইল মেন্যু রয়েছে। 
নির্দেশনা (ডিরেকশন) মেনুতে আপনার গন্তব্যস্থান শুরু হবে কোথা থেকে, আর শেষ কোথায় হবে, এটা ঠিক করে নিলে গুগল ম্যাপসের মাধ্যমে পথের নির্দেশনা পাবেন। ধরা যাক আপনার মক্কার বাসা শুরুর স্থান নির্বাচন করলেন আর যেতে চান কাবা শরিফে। গন্তব্য হিসেবে কাবা শরিফ নির্বাচন করতে হবে। এরপর তা গুগল ম্যাপস গাড়ি বা পায়ে হাঁটা রাস্তার নির্দেশনা দেবে। একইভাবে মদিনা, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফার অবস্থানকে সেভ করে নিলে নির্দেশনা পাওয়া যাবে। 
সংবাদ মেনুতে সাম্প্রতিক সংবাদ থাকে। তথ্য (ইনফরমেশন) মেনুতে হারিয়ে গেলে কোথায় যাবেন। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ মেন্যুতে রয়েছে হজ কার্যালয় ঢাকা, হজ আইটি ডেস্ক মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টেলিফোন নম্বর। প্রোফাইল মেন্যুতে নাম, পিলগ্রিম আইডি, গাইড, ফোন, এজেন্সি ফোন, দেশে ফেরার তারিখ চাইলে আপনি দেখতে পারবেন।

সুত্র- প্রথম আলো 

অন্যের কম্পিউটার থেকে ফেসবুক লগ আউট করতে ভুলে গেলে কি করবেন! আসুন জেনেনি।

ফেসবুক আমরা সকলে ব্যবহার করি।  কোন কোন সময় এমন হয় যে, কোন সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার বা অন্য কার কম্পিউটারে ফেসবুক লগইন করেছেন কিন্তু আসার সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে বা আপনি লগ আউট করতে ভুলে গেছেন বা কারো মোবাইল থেকে ফেসবুক লগইন করেছেন লগ আউট করতে ভুলে গেছেন। এটা একটি বিশাল বিপদ। এখন যে কেউ ওই কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে আপনার ফেসবুক আক্সেস করতে পারবে । এখন আপনি কি করবেন?
আবার ওই কম্পিউটার বা মোবাইল এ গিয়ে লগ আউট করে আসবেন !! নাহ, ফেসবুক সিকিউরিটি এর দউলতে এটা আপনাকে করতে হবে না । আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকেই ঐ কম্পিউটার বা মোবাইল এর ফেসবুক লগ আউট করতে পারবেন।
এজন্য যা করতে হবে দেখে নিন ……
১. প্রথমে আপানার PC বা MOBILE থেকে ফেসবুক এ লগইন করুন।
২. এবার Account Setting এ যান।
৩. তারপর Security অপশনে Active Sessions এ ক্লিক করুন
৪. এখন Current Session   এ আপনার চলতি PC এর তথ্য দেখাবে আর Also Active এ শিরোনামে লগইন সক্রিয় আছে এমন কম্পিউটারের সময়, ডিভাইসের নাম, কোন শহর, আইপি কত, কোন ব্রাউজার, কোন অপারেটিং সিস্টেম তা দেখাবে।
৫. এবার ঐ আগের কম্পিউটার লগ আউট করতে End Activity ক্লিক করুন তাহলেই Computer থেকে লগ আউট হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ অন্যের মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে ফেসবুক এ লগইন করার সময় কখনই “Keep me login” এ ক্লিক করবেন না । আর , পাসওয়ার্ড ও সেভ করবেন না ।
আশা করি উপকারে আসবে ।
কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন ।
educarebd24 educarebd24 educarebd24