কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতার থ্রিজি
নেটওয়ার্ক চালু নেই। থ্রিজি আছে ১৫ কিলোমিটার দূরের ভৈরব পর্যন্ত। ইউএসবি
মডেম দিয়ে কুলিয়ারচরে যে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়, সেটার গতি ১০-২০
কেবিপিএসের বেশি নয়। কিন্তু বাড়িতে আসা অস্ট্রেলিয়া-প্রবাসী এক ব্যক্তির
আরও বেশি গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন। কম্পিউটার সফটওয়্যার বিষয়ে
ডিপ্লোমাধারী স্থানীয় যুবক ফজলে রাব্বি ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ
করেন। সেই ব্যক্তি গেলেন ফজলে রাব্বির কাছে। কুলিয়ারচরে বসে দ্রুতগতির
থ্রিজি ইন্টারনেট পাওয়ার কোনো উপায় আছে কিনা।
প্রযুক্তি নিয়ে কৌতূহলী ফজলে রাব্বি স্থানীয় মানুষের অনেক কাজই করে দেন।
‘দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, আমি সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু
করলাম। কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করলাম। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি জিনিসপত্র
পরিমাপের পাল্লা দিয়ে বানালাম অ্যান্টেনা। যেটা দূরের থ্রিজি নেটওয়ার্কের
সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এর সঙ্গে ইউএসবি মডেম লাগিয়ে দ্রুতগতির
ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছি।’ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি
এই অ্যান্টেনা দিয়ে এখন ১.৫ থেকে ২ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার
করা যাচ্ছে।
ফজলে রাব্বি জানালেন, রেডিও মোবাইল নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ফ্রিকোয়েন্সি পরিমাপ করেন। এর জন্য কোন ধরনের অ্যান্টেনা লাগে, সেই মাপজোক বের করেন। এরপর বাজার থেকে ৬০ টাকা দিয়ে অ্যালুমিনিয়ামের পাল্লা কেনেন। এর ব্যাসার্ধ ৩০০ মিলিমিটার। অ্যান্টেনার মাঝখানে বসিয়ে দেন গ্রামীণফোনের ইউএসবি মডেম। তবে মডেমের মধ্যে এখন ব্যবহার করছেন বাংলালিঙ্কের সিমকার্ড।
মডেমসহ এই অ্যান্টেনা বসানো হয়েছে দোতলা বাড়ির ছাদে। অ্যান্টেনা থেকে ১০ মিটার লম্বা ইউএসবি তার ল্যাপটপ কম্পিউটারে যুক্ত করা হয়েছে। সেই ল্যাপটপ থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে। ‘চাইলে এই ল্যাপটপকে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানিয়ে তার ছাড়া মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো যন্ত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।’ বললেন ফজলে রাব্বি।
কুলিয়ারচর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ফজলে রাব্বি। ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর সফটওয়্যার তৈরি বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এখন তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
ফজলে রাব্বি জানালেন, রেডিও মোবাইল নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ফ্রিকোয়েন্সি পরিমাপ করেন। এর জন্য কোন ধরনের অ্যান্টেনা লাগে, সেই মাপজোক বের করেন। এরপর বাজার থেকে ৬০ টাকা দিয়ে অ্যালুমিনিয়ামের পাল্লা কেনেন। এর ব্যাসার্ধ ৩০০ মিলিমিটার। অ্যান্টেনার মাঝখানে বসিয়ে দেন গ্রামীণফোনের ইউএসবি মডেম। তবে মডেমের মধ্যে এখন ব্যবহার করছেন বাংলালিঙ্কের সিমকার্ড।
মডেমসহ এই অ্যান্টেনা বসানো হয়েছে দোতলা বাড়ির ছাদে। অ্যান্টেনা থেকে ১০ মিটার লম্বা ইউএসবি তার ল্যাপটপ কম্পিউটারে যুক্ত করা হয়েছে। সেই ল্যাপটপ থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে। ‘চাইলে এই ল্যাপটপকে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানিয়ে তার ছাড়া মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো যন্ত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।’ বললেন ফজলে রাব্বি।
কুলিয়ারচর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ফজলে রাব্বি। ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর সফটওয়্যার তৈরি বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এখন তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
সুত্র- প্রথম আলো
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, এই পোস্ট পড়ার পর আপনার ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে মন্তব্য প্রদান করুন। যা ব্লগিং চালিয়ে যেতে অনেক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জাগাবে। আপনার একটি মন্তব্যই এডুকেয়ারবিডি২৪ এর নিকট অনেক মূল্যবান। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। --- এডুকেয়ারবিডি২৪