সকল এডুকেয়ারবিডি২৪ এর বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা। এডুকেয়ারবিডি২৪
নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। কারন আপনাদের সাজেশনই পারে এডুকেয়ারবিডি২৪ কে সমৃদ্ধ করতে।
আমাদের ইমেইলঃ
contact@educarebd24.com

এই সময়ে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট


হাঁপানি রোগীদের জন্য এই সময়টা সবচেয়ে খারাপ। বাতাসে উড়ছে প্রচুর ধুলাবালু, পরিবেশের তাপমাত্রা পাল্টাচ্ছে ঘন ঘন আর চারদিকে বাড়ছে ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপএই সব কটিই হাঁপানির আকস্মিক আক্রমণের জন্য আদর্শ। 

হাঁপানি কেন হয়?
 
বিশেষ কোনো পদার্থের প্রতি শ্বাসতন্ত্রের অতি সংবেদনশীলতা হলো হাঁপানির মূল কারণ। এটি হতে পারে ঠান্ডা হাওয়া, ধুলাবালু, সামান্য পরিশ্রম, জীবাণু, পোষা প্রাণীর লোম, ওষুধপত্র, এমনকি বাতাসে উড়তে থাকা ফুলের রেণু, তুলার কণা যেকোনো কিছু। ধরনের জিনিসের সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের পেশিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়, নিঃসৃত হতে থাকে নানা রাসায়নিক। শ্বাসনালি সরু হয়ে আসে, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। যাঁদের পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস আছে, অথবা নানা ধরনের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

কীভাবে বুঝবেন?

বছরে দু-তিনবার বা তার বেশিবার শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে কাশি, দম বন্ধ হয়ে আসা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বুকে শব্দএই হলো হাঁপানির লক্ষণ। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভোরের দিকে উপসর্গ বাড়ে। ধরনের সমস্যা থাকলে হাঁপানি নির্ণয় করা কঠিন নয়। তবে মাত্রার তীব্রতা দেখার জন্য স্পাইরোমেট্রি করা যেতে পারে। বুকের এক্স-রে সাধারণত স্বাভাবিক থাকে, তবে রক্তে অ্যালার্জির মাত্রা নিরূপণকারী বিভিন্ন পরীক্ষায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর মৃত্যু হচ্ছে ২৫ কোটি
বিশ্বজুড়ে হাঁপানিতে ভুগছে ৩০ কোটি

হাঁপানিকী করি

হাঁপানির রোগীরা আক্রমণকারী অ্যালার্জেনকে সাধারণত ভালো করেই চেনেন। এগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলবেন। ধুলাবালিতে নাক ঢেকে রাখবেন, ঝুল বা বিছানা বা কার্পেট ঝাড়ার মতো কাজ করবেন না। পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকুন। যাঁদের ফুলের রেণুতে অ্যালার্জি তাঁরা পার্কে বা বাগানে যেতে সাবধান। ঠান্ডা লাগাবেন না। ভোরে রাতে এই সময় গায়ে হালকা গরম কাপড় রাখুন। গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। ধূমপান বাদ দিন। সময় আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আগে থেকেই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইনহেলারের মাত্রা সময় ঠিক করে নিন।

২০২৫ সাল নাগাদ এই তালিকায় যুক্ত হবে আরও ১০ কোটি মানুষ। বিগত শতাব্দী থেকেই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে এই রোগের প্রকোপ, উন্নত উন্নয়নশীল সব দেশেই, শিশু বয়স্কসব বয়সের মানুষের মধ্যেই।

লিখেছেন ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
educarebd24 educarebd24 educarebd24

1 comments:

প্রিয় পাঠক, এই পোস্ট পড়ার পর আপনার ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে মন্তব্য প্রদান করুন। যা ব্লগিং চালিয়ে যেতে অনেক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জাগাবে। আপনার একটি মন্তব্যই এডুকেয়ারবিডি২৪ এর নিকট অনেক মূল্যবান। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। --- এডুকেয়ারবিডি২৪